রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে

বাণী

		রাঙা জবার বায়না ধ’রে আমার কালো মেয়ে কাঁদে
সে		তারার মালা সরিয়ে ফেলে এলোকেশ নাহি বাঁধে॥
		পলাশ অশোক কৃষ্ণচূড়ায়, রাগ ক’রে সে পায়ে গুঁড়ায়
সে		কাঁদে দু’হাত দিয়ে ঢেকে যুগল আঁখি সূর্য চাঁদে॥
		অনুরাগের রাঙাজবা থাক না মোর মনের বনে
আমার	কালো মেয়ের রাগ ভাঙাতে ফিরি জবার অন্বেষণে।
		মা’র রাঙা চরণ দেখতে পেয়ে, বলি এই যে জবা হাবা মেয়ে
(সে)		জবা ভেবে আপন পায়ে উঠলো নেচে মধুর ছাঁদে॥

বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা

বাণী

বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা
তব পথ চাহি ভারত-যশোদা কাঁদিছে নিরালা।।
কৃষ্ণা-তিথির তিমির হারী; শ্রীকৃষ্ণ এসো, এসো, মুরারি
ঘরে ঘরে আজ পুতনা ভীতি হানিছে কালা।।
কংস-কারার ভাঙো ভাঙো দ্বার
দেবকীর বুকের পাষাণ ভঅর নামাও নামাও
যুগ যুগ সম্ভব পুর্ণাবতার!
নিরানন্দ এ দেশ হাসুক আবার, আনন্দে হে নন্দলালা।।

আজ প্রভাতে বাহির পথে

বাণী

আজ প্রভাতে বাহির পথে কে ডাকে কোন্‌ (সই) ইশারায়।
সিঁথিতে তার সিঁদুর মাখা কে পরালে নিরালায়।।
	ঘুম ভরা তার নয়ন দুটি
	ফুলেরি মত উঠল ফুটি,
সুখের আভায় ঢেউ খেলে যায় আজকে ধরার আঙিনায়।।
হাততালি দেয় গ্রামের বঁধু পল্লীপথের ধারে;
জলের পথে যাবার বেলায় কুলের বধূ আড়ে।
	লুট করে আজ তারার আলো
	গহীন রাতে আঁধার কালো
কে এলে আজ বঁধুর বেশে আমার ঘরের কিনারায়।।

আমার মানস-বনে ফুটেছে রে

বাণী

আমার	মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি।
সেই	মঞ্জু-বনে ফির্‌ছে রে তাই ভক্তি-ভ্রমর গুঞ্জরি।।
	সেথা	আনন্দে দেয় করতালি
		প্রেমের কিশোর বনমালী,
সেই	লতামূলে শিবের জটার গঙ্গা ঝরে ঝর্ঝরি।।
	কোটি তরু শাখা মেলি’ এই সে-লতার স্পর্শ চায়,
	শিরে ধ’রে ধন্য হ’তে এই শ্যামারই শ্যাম শোভায়।
		এই লতারই ফুল-সুবাসে
		কোটি চন্দ্র সূর্য আসে নীল আকাশে,
এই	লতার ছায়ায় প্রাণ জুড়াতে ত্রিলোক আছে প্রাণ ধরি’।।

১. হাসে

মোর বেদনার কারাগারে জাগো

বাণী

মোর  বেদনার কারাগারে জাগো, জাগো- বেদনাহারী হে মুরারি।
	অসীম দুঃখ ঘেরা কৃষ্ণা তিথিতে এসো এসো হে কৃষ্ণ গিরিধারী।।
	ব‍্যথিত এ চিত দেবকীর সম মূর্ছিত পাষাণেরি ভারে
	ডাকে প্রাণ-যাদব, এসো এসো মাধব উথলিছে প্রেম আঁখিবারি
		মুরারি উথলিছে প্রেম আঁখিবারি।।
	হৃদয়-ব্রজে মম ভক্তি প্রীতি জাগিয়া আছে আশায়,
কদম্ব ফুল সম উঠিছে শিহরি’ মম শ‍্যাম-বরষায়।
ওগো বনশীওয়ালা, তব না শোনা বাঁশি
	শোনে অনুরাগ রাধা প্রণয় পিয়াসি,
গোপন ধ‍্যানের মধুবনে তব নুপুর শুনি, হে কিশোর বনচারী।।

গভীর নিশীথে জাগি’ খুঁজি তোমারে

বাণী

গভীর নিশীথে জাগি’ খুঁজি তোমারে।
দূর গগনে প্রিয় তিমির-‘পারে।।

জেগে যবে দেখি হায় তুমি নাই কাছে
আঙিনাতে ফুটে’ ফুল ঝ’রে পড়ে আছে,
বাণ-বেঁধা পাখি সম আহত এ প্রাণ মম —
লুটায়ে লুটায়ে কাঁদে অন্ধকারে।।

মৌন নিঝুম ধরা, ঘুমায়েছে সবে,
এসো প্রিয়, এই বেলা বক্ষে নীরবে।

কত কথা কাঁটা হ’য়ে বুকে আছে বিঁধে
কত আভিমান কত জ্বালা এই হৃদে,
দেখে যাও এসো প্রিয় কত সাধ ঝ’রে গেল —
কত আশা ম’রে গেল হাহাকারে।।