ফের্‌তা

  • রেশমি রুমালে কবরী বাঁধি

    বাণী

    রেশমি রুমালে কবরী বাঁধি’ —
    নাচিছে আরবি নটিনী বাঁদি।।
    বেদুঈনী সুরে বাঁশি বাজে
    রহিয়া রহিয়া তাঁবু মাঝে,
    সুদূরে সে-সুরে চাহে ঘোম্‌টা তুলিয়া শাহজাদী।।
    যৌবন-সুন্দর নোটন কবুতর নাচিছে মরু-নটী
    গাল যেন গোলাপ কেশ যেন খেজুর-কাঁদি।।
    চায় হেসে হেসে চায় মদির চাওয়ায়,
    দেহের দোলায় রং ঝ’রে যায় ঝর্‌ঝর্‌,
    ছন্দে দুলে ওঠে মরু মাঝে আঁধি।।
    
  • শিউলি তলায় ভোর বেলায়

    বাণী

    শিউলি তলায় ভোর বেলায় কুসুম কুড়ায় পল্লী-বালা।
    শেফালি পুলকে ঝ’রে পড়ে মুখে খোঁপাতে চিবুকে আবেশ-উতলা।।
    		ঘোম্‌টা খুলিয়া তার পিঠে লুটায়
    		শিথিল কবরী লুটিছে পায়,
    নৃত্যের ভঙ্গে ফুল তোলে রঙ্গে, আধো আঁধার বন তার রূপে উজালা।।
    নিলাজ পাঁয়জোরে তার ওঠে ঝঙ্কার রিনিঝিনি, মন কয় চিনি চিনি
    		এ কি গো বন-দেবীর সতিনী
    শিশির ধরে’ পায় আল্‌তার রঙ্‌ চায় পাখি তারি গান গায় বনে নিরালা।।
    

  • শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা

    বাণী

    শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা হারায়েছি শ্যামের হৃদয়
    আমি তারি তরে কাঁদি গো সেই নিদয়ের তরে নয়
    তার হৃদয়ের তরে কাঁদি গো হারায়েছি শ্যামের হৃদয়।
    যে হৃদয় ছিল একা গোপিকার রাধিকার কুবুজা করেছে তারে জয়, সখি গো
    কুবুজা তারে কু বুঝায়েছে
    যে রাধা ছাড়া জানত না সই কুবুজা তারে কু বুঝায়েছে
    কুবুজা করেছে তারে জয়।
    কি হবে মথুরা গিয়া, হেরি সে হৃদয়হীন পাষাণ দেবতায়
    সে কিছুই দেবে না, দেবতাই বটে গো সে দেবতাই বটে গো
    পাষাণ খুঁজে না রাধা তার প্রিয় আনন্দঘন শ্যামরায়
    তোরা যেতে চাস যা লো —
    ঠাকুর দেখিতে তোরা যেতে চাস যা লো, সখি গো
    ধরম-করম মম তনু-মন-যৌবন সঁপিনু চরণে যার
    সে পর-পুরুষ, হ’ল আজি অপরার পুরুষ স্বভাব ভ্রমবার।
    সে ভ্রমরাই সমতুল ফুলে ফুলে ভ্রমে সে ভ্রমরাই সমতুল
    তারে, দেখলে ভ্রমে জাতিকুল, ভ্রমরাই সমতুল পুরুষ স্বভাব ভ্রমরার
    যা’র হরি ছাড়া বোধ নাই প্রবোধ দিস্‌নে তায়, সজনী
    সবারই পোহাবে নিশি, পোহাবে না রাধারই এ আঁধার রজনী॥
    
  • সখি কই গোপীবল্লভ শ্যামল পল্লব কান্তি

    বাণী

    সখি কই গোপীবল্লভ শ্যামল পল্লব কান্তি
    সখি আমার হরি বিনে হরি চন্দনে নাহি শান্তি।
    ঐ দেখ্ দেখ্ শ্যাম দাঁড়িয়ে
    ও নহে কদম তমাল পিয়াল পিয়া মোর ঐ দাঁড়িয়ে।
    ও নহে তরুণ শাখা ও যে মোর বঁধু আসে বাহু বাড়িয়ে।
    পুষ্প পাগল তরু কি কখনো দুলে গো অমন করিয়া
    (ও যে) বনমালা গলে বনমালী মোর নাচিছে হেলিয়া দুলিয়া।
    তোরা দেখে আয় তোরা দেখে আয়
    অভিমানে শ্যাম আসিছে না কাছে ডেকে আয় তারে ডেকে আয়
    তারি বিগলিত নীল লাবনি কি ঐ যমুনার কালো জলে
    বিজলির আঁখি ইঙ্গিতে সে কি ডাকে মোরে মেঘ দলে।
    সখি গো! তোরা যেতে দে মোরে যেতে দে আর দিস্‌নে বাধা
    (ঐ) গহন কালোতে গাহন করিয়া জুড়াক আলোক রাধা।।
    
  • সখি গো বৃথা প্রবোধ দিস্‌নে ললিতে

    বাণী

    সখি গো বৃথা প্রবোধ দিস্‌নে ললিতে
    কোন্ প্রাণে তুই বলতে পারিলি মোর শ্রীকৃষ্ণে ভুলিতে।।
    সেই নন্দপুরের চন্দ্র বিহনে নাহি আনন্দ মোর।
    তারে না হেরিলে তিলেকের তরে বাঁচে না চিত-চকোর।।
    বলে দে বলে দে কোথা আমার প্রাণসখা
    				ভাসি আমি আঁখি-নীরে 
    কেঁদে কেঁদে অন্ধ হলাম ভাসি আমি আঁখি-নীরে।
    সখি, এই তো আমার সাধনা
    আমার মত জগত কাঁদুক, এই তো আমার কামনা।।
    কাঁদতে হবে — 
    যে হরিরে মোর হরিবে, তায় রাধার মত কাঁদতে হবে।
    সে কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে চিরজীবন কাঁদবে ভবে।
    সখি কাঁদলে তারে যায় না পাওয়া
    তাহলে সখি আমি পেতাম 
    যদি কাঁদলে তারে পাওয়া যেত যশোমতী তারে হারাত না।
    সে যে প্রেমের চির-কাঙাল 
    প্রেম বিনে তায় যায় না পাওয়া।
    
  • সখি তখন আমার বালিকা বয়স

    বাণী

    সখি তখন আমার বালিকা বয়স বেণু শুনেছিনু যবে।
    আমি বুঝিনি সেদিন, ডাকে বাশুরিয়া আমারেই বেণু রবে, 
    				সখি, আমারেই বেণু রবে।।
    তার বাঁশরির সুরে মাঝে মাঝে সখি শিহরিয়া উঠিতাম গো —
    মনে হ’ত ঐ সুরের আড়ালে আছে যেন মোর নাম গো।
    ডাকিত — ‌‘রাধা জাগো, জাগো প্রিয়া’,
    হের গো যমুনা তোমার বিরহে উঠিয়াছে উথলিয়া।।
    শিহরিত কলেবর, জাগিত ভীতি গো,
    ও কি পূর্বানুরাগ, ও কি প্রথম প্রীতি গো।সখি গো — 
    সখি, হেরিনু স্বপনে নব জলধর রসে-ঢলঢল কালা
    মোর বুকে এসে কাঁদে, বলে লহ, রাধে, কণ্ঠের বনমালা
    তার শিরে শিখি-পাখা, চাঁচর চিকুর দোলে কপোলের কাছে লো
    দোলে দোলে দোলে দোলে গো —
    সে বাঁশী রেখে পায় মুখপানে চায়, কি যেন ভিক্ষা যাচে।।
    আমি দিতে যে নারি লো, যাহা চায় তাহা আমি দিতে যে নারি লো;
    ও বোঝে না কুলবতী কুলের বাধা,
    দিতে যে নারী লো, দিতে যে নারি লো।
    
  • সখি বল কোন দেশে যাই

    বাণী

    সখি বল কোন দেশে যাই।
    সে বৃন্দা আছে সে বন আছে তবু সে বৃন্দাবন নাই —
    গোবিন্দ বিনে লো বৃন্দে (বৃন্দে গো) রাধার বৃন্দাবন হয়েছে আঁধার।
    বনে সীতার ছিল যে রাম, মোর বনে নাই ঘনশ্যাম।
    আমি কি লয়ে থাকি, কেন দেহ রাখি।
    পিঞ্জর আছে প'ড়ে, নাই শ্যাম পাখি,
    আর ময়ূর ডাকে না 'কে গো' বলিয়া।
    পাপিয়া ডাকে না পিয়া।
    কৃষ্ণপ্রিয়া গো 'প্রিয়া প্রিয়া' বলে পাপিয়া ডাকে না পিয়া।
    পথে পথে আর রহে না গো ব্রজগোপিনী আড়ি পাতিয়া।
    আজি রাধার সাথে সবার আড়ি,
    কৃষ্ণপ্রিয়ার কৃষ্ণ গেছে ছাড়ি'
    তাই রাধার সাথে সবার আড়ি, সখি গো —
    শুকায়ে গিয়াছে দ্বাদশ কুঞ্জ,
    পূর্ণ চাঁদেরই ব্রজে একাদশীর তিথি,
    হয়ত আবার বাজিবে বেণু তার, রবে না ব্রজে যবে রাধার স্মৃতি।।
    
  • সখি বাঁধো লো বাঁধো লো

    বাণী

    সখি বাঁধো লো বাঁধো লো ঝুলনিয়া।।
    নামিল মেঘলা ঘোর বাদরিয়া।।
    চল কদম তমাল তলে গাহি কাজরিয়া
    চল লো গৌরী শ্যামলিয়া।।
    বাদল-পরীরা নাচে গগন-আঙিনায়,
    ঝমাঝম বৃষ্টি-নূপুর পায়।
    শোনো ঝমঝম বৃষ্টি নূপুর পায়
    এ হিয়া মেঘ হেরিয়া ওঠে মাতিয়া।।
    মেঘ-বেণীতে বেঁধে বিজলি-জরীন্‌ ফিতা,
    গাহিব দু’লে দু’লে শাওন-গীতি কবিতা,
    শুনিব বঁধুর বাঁশি বন-হরিণী চকিতা,
    দয়িত-বুকে হব বাদল-রাতে দয়িতা।
    পর মেঘ-নীল শাড়ি ধানী-রঙের চুনরিয়া,
    কাজলে মাজি’ লহ আঁখিয়া।।
    
  • সখি যায়নি ত শ্যাম মথুরায়

    বাণী

    সখি যায়নি ত শ্যাম মথুরায়,
    আর আমি কাঁদব না সই।
    সে যে রয়েছে তেমনি ঘিরে আমায়।
    মোর অন্তরতম আছে অন্তরে অন্তরালে সে যাবে কোথায়?
    আছে ধেয়ানে স্বপনে জাগরণে মোর নয়নের জলে আঁখি-তারায়।।
    কে বলে সখি অন্ধকার, এ বৃন্দাবনে কৃষ্ণ নাই, সখি গো –
    আমি অন্তরে পেয়েছি লো, বাহিরে হারিয়ে তায়,
    যাক্‌ না সে মথুরায়, যেথা তা’র প্রাণ চায়।।
    শ্যামে হেরিয়াছি যমুনার কালো জলে, সাগরে,
    আষাঢ়ের ঘন মেঘে হেরিয়াছি নাগরে।
    হেরিয়াছি তায় শ্যাম-শস্যে হেমন্তে,
    পীত-ধড়া হেরি তায় কুস্‌মি বসন্তে।।
    এঁকেছিলাম শ্যামের ছবি সেদিন সখি খেলার ছলে,
    আঁকিনি লো চরণ তাহার, পালায়ে সে যাবে ব’লে।
    আনিয়া দে আজ সে চিত্রপট আঁকিব লো আজ চরণ তা’র,
    সে যায়নি মথুরা কাঁদিস নে তোরা আছে আছে শ্যাম হৃদে আমার।।
    
  • সখি সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল

    বাণী

    সখি, সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল আবার মাধবীলতা।
    মাধবী চাঁদ উঠেছে আকাশে, আমার মাধব কোথা।
    রাধা আজ নিরাধারা সখি রাধামাধব কোথা।
    মধুপ গুঞ্জরে মালতী-বিতানে, নূপুর-গুঞ্জরণ নাহি শুনি কানে।
    মোর মনো-মধুবনে মধুপ কানু কই –
    আনন্দ-রাস নাই – রাসবিহারী নাই, আমি আর রাধা নই।
    সখি পূর্ণ রাসে আমি জনম লভিয়া পুষ্প আহরণ তরে,
    কৃষ্ণ-পূজার লাগি পুষ্প আহরণ তরে ধেয়েছিনু বনে অনুরাগ ভরে,
    বৃন্দাবনচারী কৃষ্ণে না পেয়ে, রাধা কাঁদে ব্রজ-পথে ধেয়ে ধেয়ে –
    ‘প্রাণবল্লভ আমার কই গো, সখি আমায় বলে দে গো।’
    রাধা হ’ল আজি অশ্রুর ধারা
    কৃষ্ঞ-আনন্দিনী রাধা বিনোদিনী কবে হবে শ্রীকৃষ্ণ-হারা।।
    
  • সাত ভাই চম্পা কে কি হবি বল

    বাণী

    বোন		:	সাত ভাই চম্পা কে কি হবি বল। তোরা কে কি হবি বল 
    			কেলো, ভূলো, হেবো, পচা, ভুতো, ন্যাড়া, ডল্।
    প্রথম ভাই	:	আমি হব কাব্‌লিওয়ালা এক কুলো চাপ দাড়ি।
    			‘তেরে মুসে আগা, মোর মা গায়া, লেয়াও রূপী তাড়াতাড়ি’।
    দ্বিতীয় ভাই	:	আমি হব পন্ডিত মশাই, কাঁপবে ছেলের দল
    			দেখে কাঁপবে ছেলের দল।।
    তৃতীয় ভাই	:	আমি হব ফেরিওয়ালা চাই চানাচুর ঘুগ্‌নিদানা!
    			পাড়ায় পাড়ায় ফিরব ঘুরে পারবে না কেউ করতে মানা!
    			রাত্রে হাঁক্‌ব ‘কুলফী বরফ’ হায় কি মজার কল।।
    চতুর্থ ভাই	:	আমি হব জজ সাহেব, দিব ফাঁসি ছ’ মাস ক’রে
    পঞ্চম ভাই	:	দারোগা আমি, তোর জজকে চালান দিব থানায় ধ’রে।
    ষষ্ঠ ভাই	:	আমায় দেখে দারোগা গুড়ুম
    			আমি হব কনিষ্ঠ-বল।।
    সপ্তম ভাই	:	আমি হব বাবার বাবা মা সে আমার ভয়ে
    			ঘোম্‌টা দিয়ে লুকোবে কোণে চূনি-বিল্লি হয়ে!
    			বল্‌ব বাবায়, ওরে খোকা শিগ্‌গির পাঠশাল্ চল্।।
    
  • সাবিত্রী সমান হও লহ লহ এই আশিষ

    বাণী

    সাবিত্রী সমান হও, লহ লহ এই আশিষ।
    শ্বশুর শাশুড়ির মা বাপের, কুলের তারা হয়ে হাসিস।।
    রামের মত স্বামী পাস, সতী হ’স সীতার সম
    দশরথ কৌশল্যার মত শ্বশুর শাশুড়ি অনুপম।
    লক্ষ্মণ সম দেবর পেয়ে সুখের সায়রে ভাসিস।।
    গোয়ালে গরু, মরায়ে ধান সিঁথেয় সিঁদুর, মুখে পান
    আল্‌তা পায়ে চির-এয়োতি যায় সুখে দিন এক সমান
    অন্নপূর্ণা জগৎ জীবের মা হয়ে ফিরে আসিস।।
    সভা-উজ্জ্বল জামাই পাস ভুবন-উজ্জ্বল দুঃখ পাস
    ধরার মত সহ্য পাস জন্মায়স্তে কাল কাটাস।
    পাকা চুলে পরিস্ সিঁদুর হয়ে থাকিস্ স্বামীর গো।
    বেঁচে থাকিস্ যতকাল অক্ষয় থাক তোর হাতের নো।
    পুত্র দিয়ে স্বামীর কোলে গঙ্গাজলে দেহ রাখিস।।
    

    নাটিকাঃ ‘পুতুলের বিয়ে’

  • সুবল সখা এই দেখ্ এই পথে

    বাণী

    সুবল সখা! এই দেখ্ এই পথে তাহার, সোনার নূপুর আছে পড়ে,
    	বৃন্দাবনের বনমালী গেছে রে ইে পথ ধরে।
    	হরি চন্দন গন্ধ পথে পথে পাই
    	ঝরা ফুলে ছেয়ে আছে বনবীথি তাই।
    	ভ্রমে ভ্রমর শ্রীচরণ-চিহ্ন ঘিরে
    	রাঙ্গা কমল ভ্রমে, ভ্রমে শ্রীচরণ-চিহ্ন ঘিরে।
    	ভাসে বাঁশির বেদন তার মৃদু সমীরে।
    	তারে খুঁজবো কোথায় — সেই চোরের রাজায় খুঁজবো কোথায়?
    	তারে খুঁজলে বনে, মনে লুকায়, চোরের রাজায় খুঁজবো কোথায়?
    	সুবল রে —
    	শ্রীদাম দেখেছে তারে রাখাল দলে,
    	গোপিনীরা দেখিয়াছে যমুনা-জলে।
    	বাঁশরি দেখেছে তারে কদম শাখায়
    	কিশোরী দেখেছে তারে ময়ূর পাখায়।
    	বৃন্দা এসেছে দেখে রাজা মথুরায়,
    	যশোদানন্দ বলে কোলে সে ঘুমায়।
    	জানি না কোথায় সে দে রে দেখায়ে দে কোথা ঘনশ্যাম
    	কবে বুকে পাব তারে, মুখে জপি যাঁর নাম।।
    
  • সুরের ধারার পাগল-ঝোরা

    বাণী

    সুরের ধারার পাগল-ঝোরা নামিল সখি মোর পরানে।
    	ভরি’ মোর নিশীথ নিঝুম,
    	বাজে নূপুর কার রুমুঝুম,
    	মোর চোখে নাহি ঘুম —
    পাষাণ টুটে লো যায় ছুটে মন-তটিনী মোর সাগর পানে।।
    পান্‌সে চাঁদের জোছনাতে ঐ বেলের কুঁড়ি মুঞ্জরে,
    মন যেতে চায় ফুল-বিছানো বকুল-বীথির পথ ধ’রে।
    	আজ চাইবে যে, দিব তাকে
    	সেই ফুল ছুঁয়ে এই আপনাকে,
    অরুণ-রাগে হৃদয় জাগে, ভাসিয়া যাব নৃত্যে গানে।।
    
  • সেই পথে মন মম ধায়

    বাণী

    	সেই পথে মন মম ধায়।
    প্রিয়	রসুলে খোদার, নবীর সরদার —
    			যে পথে চলিলেন হায়।
    	পরান আমার বিকাতে চাহে
    	মাহে আরব লীলাভূমে বিকাতে চাহে।
    যাব	কমলিওয়ালা-পাশ ছাড়ি' গৃহবাস
    			কম্বল সম্বল করি'।
    পাক	রওজার ধূলি শিরে ল'ব তুলি'
    			পরিব অঞ্জন করি'।
    	অঙ্গে রবে ভূষণ হয়ে সদা —
    	পাক রওজার ধূলি ভূষণ হয়ে সদা অঙ্গে রবে।
    আমি	(ওগো) মম দুখ-ভার করিয়া উজাড়
    			দিব সে-চরণে ডারি।
    ওগো	যত দুখ মোর বহিবে অঝোর
    			হইবে নয়ন-বারি।
    	আমার যাবে গো ব'য়ে
    	আমার নয়নের ধারা যাবে গো ব'য়ে,
    	পাক রওজাতে নিতি লুকানো বহ্নি
    			নয়নের ধারা যাবে গো ব'য়ে।
    

    কীর্তন-সুরে নাত-ই-রসুল

  • সোনার বরণ কন্যা গো এসো আমার সোনার নায়ে

    বাণী

    পুরুষ	:	সোনার বরণ কন্যা গো, এসো আমার সোনার নায়ে
    		চল আমার বাড়ি
    স্ত্রী	:	ওরে অচিন দেশের বন্ধুরে,
    		তুমি ভিন্ গেরামের নাইয়া আমি ভিন্ গেরামের নারী।
    পুরুষ	:	গয়না দিব বৈচী খাড়ু শাড়ি ময়নামতীর।
    স্ত্রী	:	গয়না দিয়ে মন পাওয়া যায় না কুলবতীর।
    পুরুষ	:	শাপলা ফুলের মালা দেব রাঙা রেশমি চুড়ি।
    স্ত্রী	:	ঐ মন-ভুলানো জিনিস নিয়ে (বন্ধু) মন কি দিতে পারি?
    পুরুষ	:	(তুমি) কোন্-সে রতন চাও রে কন্যা, আমি কি তা জানি?
    স্ত্রী	:	তোমার মনের রাজ্যে আমি হ’তে চাই রাজরানী।
    দ্বৈত	:	হইও সাক্ষী তরুলতা পদ্মা নদীর পানি (আরে ও)
    		(আজি) কূল ছাড়িয়া দু’টি প্রাণী অকূলে দিল পাড়ি॥
    
  • স্যখিরী দেখেতো বাগমেঁ কামিনী

    বাণী

    স্যখিরী দেখেতো বাগমেঁ কামিনী
    জুঁহি চাম্বেলী কি ক্যয়সী বাহার হ্যায়।।
    আও আও হ্যর ডালি সে তোড়কে
    ক্যচ্চি কলিও কো গুঁন্ধে হাম জোড়কে
    প্রেমমালা পিন্‌হায়ে দিলদার ইয়ার কো
    মাস্ত হোক্যর গলে মিলতী হ্যয় ডার হ্যায়।।
    ম্যয় হুঁ সুন্দর নার নওয়েলী প্যরী
    প্যহেনা ফুলোঁ কা গ্যহনা যো ম্যায়নে স্যখি
    		দুলহান ব্যন গ্যই।
    প্যয়ারে প্রীতমসে মিলনে কি আই ঘ্যড়ি
    ইসী কারণ স্যখীরী ব্যনী সুন্দরী
    আয় বাল্যম কে ম্যন কো লুভাউঙ্গী
    ইসী আশা পে সারা ইয়ে সিঙ্গার হ্যয়।।
    
  • হিন্দু-মুসলমান দুটি ভাই ভারতের

    বাণী

    হিন্দু-মুসলমান দুটি ভাই ভারতের দুই আঁখি-তারা।
    এক বাগানে দুটি তরু — দেবদারু আর কদমচারা।।
    	যেন গঙ্গা সিন্ধু নদী
    	যায় গো ব’য়ে নিরবধি,
    এক হিমালয় হতে আসে, এক সাগরে হয় গো হারা।।
    	বুলবুল আর কোকিল পাখি
    	এক কাননে যায় গো ডাকি’,
    ভাগীরথী যমুনা বয় মায়ের চোখের যুগল-ধারা।।
    পেটে-ধরা ছেলের চেয়েও চোখে ধরার মায়া বেশি,
    অতীতে ছিল অতিথি, আজ সে সখা প্রতিবেশী।
    	ফুল পাতিয়ে গোলাপ বেলি
    	এক সে-মায়ের বুকে খেলি,
    পাগল তারা — ভিন্ন ভাবে আল্লা ভগবানে যারা।।
    
  • হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম

    বাণী

    নারদ	:	হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম।
    ধ্রুব	:	বাঁকা শিখী-পাখা নয়ন বাঁকা বঙ্কিম ঠাম॥
    নারদ	:	তুমি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে!
    ধ্রুব	:	অধরে মুরলী ধরি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে॥
    নারদ	:	সোনার গোধূলি যেন নিবিড় সুনীল নভে
    		পীতধড়া প’রো কালো অঙ্গে (হরি হে)
    ধ্রুব	:	নীল কপোত সম চরণ দুটি
    		নেচে যাক অপরূপ ভঙ্গে (হরি হে)
    উভয়	:	যেন নূপুর বাজে
    		হরি সেই পায়ে যেন নূপুর বাজে।
    		বনে নয় শ্যাম মনোমাঝে যেন নূপুর বাজে।
    		ঐ চরণে জড়ায়ে পরান আমার
    		(যেন) মঞ্জির হয়ে বাজে॥
    

    চলচ্চিত্রঃ ‘ধ্রুব’ (ধ্রুব ও নারদের গান)

  • হের আহিরিণী মানস-গঙ্গা

    বাণী

    কৃষ্ণ	: হের আহিরিণী মানস-গঙ্গা দুকূল পাথার।
    রাধা	: হরি ভয়ে মরি একা নারী কিসে হব পার।।
    কৃষ্ণ	: পারের কাণ্ডারি আমি প্যারী এসো আমার নায়।
    রাধা	: ওগো একেলা গোপের কুলবধু আমি, তুমিও তরুণ মাঝি তায়।।
    কৃষ্ণ	: যৌবন ভার ভারি পসার রাধে! তবু নাহি ভয়।
    রাধা	: ওইটুকু তরী, ভয়ে মরি হরি, ভার যদি নাহি সয়।
    উভয়ে	: হের মানস-গঙ্গায় উঠিয়াছে ঢেউ ঝড় বহে অনিবার।।
    রাধা	: নাই পারের কড়ি পারে যাব কি করি,
    কৃষ্ণ	: দিয়ে মন বাঁধা পারে চল কিশোরী।
    উভয়ে	: মোরা ভেসেছি অকূলে প্রেমের গোকুলে কুলের ভয় কি আর।।