বাণী

রহি' রহি' কেন সে-মুখ পড়ে মনে
ফিরায়ে দিয়াছি যারে অনাদরে অকারণে।
উদাসী অলস দুপুরে
মন উড়ে' যেতে চায় সুদূরে
যে বন-পথে সে ভিখারির বেশে
করুণা জাগায়ে ছিল সকরুণ নয়নে।।
তার বুকে ছিল তৃষ্ণা মোর ঘটে ছিল বারি
পিয়াসি ফটিকজল জল পাইল না গো
ঢলিয়া পড়িল হায় জলদ নেহারি।
তার অহ্জলির ফুল পথ-ধূলিতে
ছড়ায়েছি-সেই ব্যথা নারি ভুলিতে
অন্তরালে যারে রাখিনু চিরদিন
অন্তর জুড়িয়া কেন কাঁদে সে গোপনে।।

বাণী

রাখ রাখ রাঙা পায়, হে শ্যামরায়!
ভুলে গৃহ স্বজন সবই সঁপেছি তোমায়॥
সংসার মরু ঘোর, নাহি তরু-ছায়া,
নব নীরদ শ্যাম, আনো মেঘ-মায়া;
আনন্দ-নীপবনে নন্দ-দুলাল এসো,
বাহও উজান, হরি, অশ্রুর যমুনায়॥
একা জীবন মোর গহন ঘন ঘোর,
এসো এ বনে বনমালী, গোপ কিশোর,
কুঞ্জ রচেছি দুখ-শোক তমাল-ছায় -  
প্রেম-প্রীতির গোপী চন্দন শুকায়ে যায়॥
দারা সুত প্রিয়জন, হরি হে, নাহি চাই,
পদ্মা-পলাশ-আঁখি যদি দেখিতে পাই;
রাখাল-রাজা এসো, এসো হে ঋষিকেশ,
গোকুলে লহ ডাকি’, অকূলে ভাসি হায়॥

বাণী

রক্ষা-কালীর রক্ষা-কবচ আছে আমায় ঘিরে
মায়ের পায়ের ফুল কুড়িয়ে বেঁধেছি মোর শিরে॥
	মা’র চরণামৃত খেয়ে
	অমৃতে প্রাণ আছে ছেয়ে,
দুঃখ অভাব ভাবনার ভার দিয়েছি মা ভবানীরে॥
তারা নামের নামাবলী জড়িয়ে আমার বুকে,
মায়ের কোলে শিশুর মত ঘুমাই পরম সুখে।
	মা’র ভক্তের চরণ ধূলি
	নিয়েছি মোর বক্ষে তুরি
মায়ের পূজার প্রসাদ পেতে আমি আসি ফিরে ফিরে॥

বাণী

রেশ্‌মি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে মরম কথা
পথের মাঝে চম্‌কে’ কে গো থম্‌কে’ যায় ঐ শরম-নতা।।
	কাঁখ-চুমা তার কলসি-ঠোঁটে
	উল্লাসে জল উল্‌সি’ ওঠে,
	অঙ্গে নিলাজ পুলক ছোটে
			বায় যেন হায় নরম লতা।।
অ-চকিতে পথের মাঝে পথ-ভুলানো পরদেশিকে
হান্‌লে দিঠি পিয়াস-জাগা পথ্‌বালা এই উর্বশীকে!
	শূন্য তাহার কন্যা হিয়া
	ভর্‌ল বঁধুর বেদ্‌না নিয়া,
	জাগিয়ে গেল পর্‌দেশিয়া
			বিধুর বধূর মধুর ব্যথা।।

বাণী

রোজ হাশরে আল্লা আমার ক'রো না বিচার (আল্লা)
বিচার চাহি না তোমার দয়া চাহে এ গুনাহ্‌গার।।
	আমি জেনে শুনে জীবন ভ'রে
	দোষ করেছি ঘরে পরে
আশা নাই যে যাব ত'রে বিচারে তোমার।।
বিচার যদি করবে কেন রহমান নাম নিলে।
ঐ নামের গুণেই ত'রে যাব, কেন এ জ্ঞান দিলে।
	দীন ভিখারি ব'লে আমি
	ভিক্ষা যখন চাইব স্বামী
শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিতে পারবে নাকো আর।।

বাণী

রিম্ ঝিম্ রিম্ ঝিম্ বরষা এলো
আমারি আশালতা সজল হলো॥
কুসুম কলি মুঞ্জরিল
বিরহী লতিকা সহসা ফুটিল
মন এলোমেলো মেদুর ছাইলো॥