বাণী

ঐ জল্‌কে চলে লো কার ঝিয়ারি। 
রূপ চাপে না তার নীল শাড়ি।। 
এমন মিঠি বিজলি দিঠি শেখালে তায় কে গো? 
রূপে ডুবু ডুবু রবির রঙ-ভরা ছবির, ছোঁয়াচ লেগেছে গো। 
মন মানে না, আর কি করি ! 
চলে পিছনে ছুটে’ তারি।। 
নাচে বুলবুলি ফিঙে ঢেউয়ে নাচে ডিঙে 
মাঠে নাচে খঞ্জন; 
তার দু’টি আঁখি-তারা নেচে হতো সারা —
দেখেছে বল কোন জন? 
আঁখি নিল যে মোর মন্‌ কাড়ি’ —
ঘরে থাকিতে আর নারি লো।। 
গোলাপ বেলী যুঁই-চামেলি - কোন্‌ ফুল তারি তুল্‌ গো
তার যৌবন-নদী বয় নিরবধি ভাসায়ে দু’ কূল গো 
নিল ভাসায়ে প্রাণ আমারি 
রূপে দু’কূল–ছাপা গাঙ্‌ তারি।।

বাণী

ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা, চির-আনন্দিতা।
যেন প্রথম কবির প্রথম লেখা কবিতা ॥
	তব চরণের নূপুরধ্বনি
	মধুকর গুঞ্জর তোলে যে রণি,
মন মোর ভোলে হেরি তোমারে যে গো ঐ যে যৌবন-গর্বিতা ॥
	দোলায় দোদুল দুল তব নৃত্য
	আবেশে আকুল হয় মোর চিত্ত,
	নৃত্যশেষে তব পায়ের নূপুর
	গ্রহ তারকায় রয় আকাশের সুদূর,
সুরলোক উর্বশী তুমি যে আমার রও চির-অনিন্দিতা ॥

বাণী

ঐ পথ চেয়ে থাকি আর কত বনমালী।
করে কানাকানি লোক, দেয় ঘরে পরে গালি।।
	মোর কুলের বাঁধন খুলে
	হায় ভাসালে অকুলে,
শেষে লুকালে গোকুলে — এ কি রীতি চতুরালি।।

বাণী

ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।
গেলেন মদিনা যবে হিজরতে হজরত
মদিনা হলো যেন খুশিতে জিন্নত,
ছুটিয়া আসিল পথে মর্দ ও আওরত
লুটায়ে পায়ে নবীর, গাহে সব উম্মত
ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
হাজার সে কাফের সেনা বদরে,
তিন শত তের মমিন এধারে;
হজরতে দেখিল যেই, কাঁপিয়া ডরে
কহিল কাফের সব তাজিমের স্বরে
ঐ হের রসুলে-খোদা এলো ঐ।।
কাঁদিয়া কেয়ামতে গুনাহগার সব,
নবীর কাছে শাফায়তী করিবেন তলব,
আসিবেন কাঁদন শুনি সেই শাহে আরব
অমনি উঠিবে সেথা খুশির কলরব
ঐ হের রসুলে খোদা এলো ঐ।।

বাণী

			ঐ কাজল-কালো চোখ।
আদি কবির আদি রসের যেন দু’টি শ্লোক।।
	দু’টি কুসুম আছে ফু’টে
	পুষ্প-লতার পত্র-পুটে,
সেই আলোকে রেঙে উঠে — বনের গহন লোক।।
রূপের সাগর সাঁত্‌রে বেড়ায় পান কৌড়ি পাখি
			ঐ কাজল-কালো আঁখি,
মদির আঁখির নীল পেয়ালায় শরাব বিলাও নাকি,
			ওগো কাজল-কালো আঁখি।
	তোমার দু’টি আঁখি-তারা
	তারার মত তন্দ্রাহারা,
আমার মুখে চেয়ে চেয়ে অশ্রু-সজল হোক।।

১. হাসিতে

বাণী

ঐ চলে তরুণী গোরী গরবী।
ডাকে দূর পারাবার ডাকে তারে বন পার —
লালসে ঝরে তার পায় রাঙা করবী।।
	চলে বালা দুলে দুলে
	এলো খোঁপা পড়ে খুলে,
চাহি ভ্রমর কুসুম ভুলে — তনুর তার সুরভি।।
	নাচের ছন্দে দোলে
	টলে তার চরণ চটুল,
	হরিণী চায় পথ বেভুল —
মায়া লোক বিহারিণী রচি’ চলে ছায়াছবি।।