হলুদ গাঁদার ফুল রাঙা পলাশ ফুল
বাণী
হলুদ গাঁদার ফুল, রাঙা পলাশ ফুল এনে দে এনে দে নৈলে রাঁধব না, বাঁধব না চুল। কুস্মী-রঙ শাড়ি, চুড়ি বেলোয়ারি কিনে দে হাট থেকে, এনে দে মাঠ থেকে বাবলা ফুল, আমের মুকুল, নৈলে রাঁধব না, বাঁধব না চুল।। তুর্কুট্ পাহাড়ে শাল-বনের ধারে বস্বে মেলা আজি বিকাল বেলায়, দলে দলে পথে চলে সকাল হতে বেদে-বেদেনী নূপুর বেঁধে পায় যেতে দে ওই পথে বাঁশি শুনে’ শুনে’ পরান বাউল নৈলে রাঁধব না, বাঁধব না চুল।। পলার মালা নাই কী যে করি ছাই, খুঁজেএনে দে এনে দে রে সিঁয়া-কূল নৈলে রাঁধব না, বাঁধব না চুল।।
সিনেমা: সাপুড়ে
সুরের ধারার পাগল-ঝোরা
বাণী
সুরের ধারার পাগল-ঝোরা নামিল সখি মোর পরানে। ভরি’ মোর নিশীথ নিঝুম, বাজে নূপুর কার রুমুঝুম, মোর চোখে নাহি ঘুম — পাষাণ টুটে লো যায় ছুটে মন-তটিনী মোর সাগর পানে।। পান্সে চাঁদের জোছনাতে ঐ বেলের কুঁড়ি মুঞ্জরে, মন যেতে চায় ফুল-বিছানো বকুল-বীথির পথ ধ’রে। আজ চাইবে যে, দিব তাকে সেই ফুল ছুঁয়ে এই আপনাকে, অরুণ-রাগে হৃদয় জাগে, ভাসিয়া যাব নৃত্যে গানে।।
মদির আঁখির সুধায় সাকি ডুবাও আমার
বাণী
মদির আঁখির সুধায় সাকি ডুবাও আমার এ তনু মন আজিকে তোমায় ও আমায় বেদনার বাসর জাগরণ। মঙ্গালস ও আঁখি তব, সাকি, দিল দোলা প্রাণে।। বাদল-ছাওয়া এ গুল-বাগিচায় বুলবুল কাঁদে গজল গানে।। গোলাবী গুলের নেশা ছিল মোর ফুলেল ফাগুনে। শুকায়ে গিয়াছে ফুলবন, নাই গোলাব গুলিস্তানে।। শুনি, সাকি তোমার কাছে ব্যথা ভোলার দারু আছে — হিয়া কোন অমিয়া যাচে জান তুমি, খোদা জানে।। দুখের পশরা লয়ে বিফল কাঁদিয়া বৃথা (সাকি)। সকলি গিয়াছে যখন যাক ঈমান শ্যরাব পানে।।
আসিলে এ ভাঙা ঘরে কে মোর রাঙা অতিথি
বাণী
আসিলে এ ভাঙা ঘরে কে মোর রাঙা অতিথি। হরষে বরিষে বারি শাওন-গগন তিতি'।। বকুল-বনের সাকি নটীন পুবালি হাওয়া বিলায় সুরভি-সুরা মাতায় কানন-বীথি।। তিতির শিখীর সাথে নোটন-কপোতী নাচে; ঝিঁঝির ঝিয়ারি গাহে ঝুমুর কাজরি-গীতি। হিঙুল হিজল-তলে ডাহুক পিছল-আঁখি, বধূর তমাল-চোখে ঘনায় নিশীথ-ভীতি। তিমির-ময়ুর আজি তারার পেখম খোলে জড়ায় গগন-গলে চাঁদের ষোড়শী তিথি।।