বাণী

ঘরে যদি এলে প্রিয় নাও একটি খোঁপার ফুল।
আমার চোখের দিকে চেয়ে ভেঙে দাও মনের ভুল।।
অধর কোণের ঈষৎ হাসির আলোকে
বাড়িয়ে দাও আমার গহন কালোকে,
যেতে যেতে মুখ ফিরিয়ে দুলিয়ে যেয়ো দুল।।
একটি কথা ক’য়ে যেয়ো একটি নমস্কার
সেই কথাটি গানের সুরে গাইব বার বার,
হাত ধরে মোর বন্ধু ভুলো তোমার মনের সকল ভুল।।

নাটক : ‘মদিনা’

বাণী

ঘুম আয় ঘুম।
নিশুতি দুপুর নিশীথ নিঝুম।।
টুলটুল ঝিঙে ফুল ঘুমে ঝিমায়,
ঝুমকো লতায় ঝিঁঝিঁ আলসে ঘুমায়,
খোকনের চোখে দেয় ঘুমপরী চুম্।।

নাটিকা : ‘জুজুবুড়ির ভয়’

বাণী

ঘোর ঘন ঘটা ছাইল গগন
ভুবন গভীর বিষাদ মগন।।
নাহি রবি শশী নাহি গ্রহ তারা
নিখিল নয়নে শ্রাবণের ধারা
সৃষ্টি ডুবালো গো’ স্রোতের প্লাবন।।

নাটক: সাবিত্রী

বাণী

ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে জাগায়ো না জাগায়ো না,
সারা জীবন যে আলো দিল ডেকে তার ঘুম ভাঙায়ো না।।
	যে সহস্র করে রূপরস দিয়া
	জননীর কোলে পড়িল ঢলিয়া
তাঁহারে শান্তি-চন্দন দাও ক্রন্দনে রাঙায়ো না।।
যে তেজ শৌর্য-শক্তি দিলেন, আপনারে করি ক্ষয়
			তাই হাত পেতে নাও।
বিদেহ রবি ও ইন্দ্র মোদের নিত্য দেবেন জয়
			কবিরে ঘুমাতে দাও।
	অন্তরে হের হারানো রবির জ্যোতি
	সেইখানে তারে নিত্য কর প্রণতি
	আর কেঁদে তাঁরে কাঁদায়ো না।।

বাণী

ঘুমে জাগরণে বিজড়িত প্রাতে।
কে এলে সুন্দর আমারে জাগাতে।।
শাখে শাখে ফুলগুলি হাসিছে নয়ন মেলি’
শিহরিছে উপবন ফুলেল হাওয়াতে।।
দেখিনি তোমায় তবু অন্তর কহে,
ছিলে তুমি লুকায়ে আমার বিরহে।
চম্পার পেয়ালায় রস উছলিয়া যায় —
ঝরিয়া পড়ার আগে ধর তা’রে হাতে।।

বাণী

ঘরে আয় ফিরে, ফিরে আয় পথহারা ওরে ঘর-ছাড়া ফিরে আয়।
ফেলে যাওয়া তোর বাঁশরি রে কানাই কাঁদে লুটায়ে ধূলায়।।
	ব্রজে আয় ফিরে ওরে ও-কিশোর
	কাঁদে বৃন্দাবন কাঁদে রাধা তোর,
বাঁধিব না আর ওরে ননীচোর — অভিমানী মোর ফিরে আয়।।
	তোর মা’র মতন ল’য়ে শূন্য কোল্‌
	জাগে শূন্য মাঠ গ্রহ শোক-বিভোল
ঝরে যায় যে ফুল মরে যায় ফসল — ওরে শ্যামল তোর বেদনায়।।
	আসিলে ফিরে ওরে পথ-বেভুল
	আবার উঠবে রোদ, আবার ফুঠবে ফুল,
ধানে ভরবে মাঠ আবার বসবে হাট — জোয়ার বইবে হৃদ-যমুনায়।।