কে দুয়ারে এলে মোর তরুণ ভিখারি
বাণী
কে দুয়ারে এলে মোর তরুণ ভিখারি কি যাচে ও আঁখি বুঝিতে যে নারি॥ হৃদি প্রাণ মন বিভব রতন ডারিনু চরণে লহ পথচারী॥ দুয়ারে মোর নিতি গেয়ে যায় যে গীতি নিশিদিন বুকে বেঁধে তারি স্মুতি। কি দিয়ে এ ব্যথা নিবারিতে পারি॥ মিলন বিরহ যা চাও প্রিয় লহ দাও ভিখারিনী বেশ দাও ব্যথা অসহ মোর নয়নে দাও তব নয়ন বারি॥
নাটকঃ ‘আলেয়া’
কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া
বাণী
কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া ফিরে ফুল-বনের গলি। ‘ফিরে যাও চপল পথিক’, দু’লে কয় কুসুম-কলি। দু’লে কয় কুসুম-কলি॥ ফেলিছে সমীর দীরঘ শ্বাস — আসিবে না আর এ মধুমাস, কহে ফুল, ‘জনম জনম এমনি গিয়াছ ছলি’। জনম জনম গিয়াছ ছলি’॥ কাঁদে বায়, ‘নিদাঘ আসে আমি যাই সুদূর বাসে’, ফুটে ফুল হাসিয়া ভাসে, ‘প্রিয়তম যেয়োনা চলি’। ওগো প্রিয়তম যেয়োনা চলি’॥
কপোত কপোতী উড়িয়া বেড়াই
বাণী
উভয়ে : কপোত কপোতী উড়িয়া বেড়াই সুদূর বিমানে আমরা দু’জনে। কানন-কান্তর শিহরি’ ওঠে মোদের প্রণয়-মদির কূজনে।। স্ত্রী : ভ্রমর গুঞ্জে মঞ্জুল গীতি, হেরিয়া আমার বঁধূর প্রীতি, পুরুষ : আমার প্রিয়ার নয়নে চাহি’ কুসুম ফুটে ওঠে বিপিনে বিজনে।। স্ত্রী : তোমা ছাড়া স্বর্গ চাহি না, প্রিয়! মোদের প্রেমে চাঁদ আসে নেমে মাটির পাত্রে পান করি অমিয়।। পুরুষ : বিশ্ব ভুলায়ে ও-রাঙা পায়ে আমারে বেঁধেছে জীবনে মরণে।।
কে নিবি মালিকা এ মধু যামিনী
বাণী
কে নিবি মালিকা এ মধু যামিনী, আয় লো যুবতী কুল কামিনী॥ আমার বেল ফুলের মালা গুণ জানে গো, পরবাসী বঁধুকে ঘরে আনে গো। আমার মালার মায়ায় ভালোবাসা পায় কেঁদে কাটায় রাতি যে অভিমানিনী॥ আমি রূপের দেশের মায়া পরী, (সেই) আমার মালার গুণে কুরূপা যে সে হয় সুন্দরী। যে চঞ্চলে অঞ্চলে বাঁধিতে চায়, যার নিঠুর বঁধু সদা পালিয়ে বেড়ায়। আমার মালার মোহে ঘরে রহে সে ফোটে মলিন মুখে হাসির সৌদামিনী॥
কলঙ্ক আর জোছনায় মেশা তুমি সুন্দর চাঁদ
বাণী
কলঙ্ক আর জোছনায় মেশা তুমি সুন্দর চাঁদ জাগালে জোয়ার ভাঙ্গিলে আবার সাগর-কুলের বাঁধ।। তিথিতে তিথিতে সুদূর অতিথি ভোলাও জাগাও ভুলে যাওয়া স্মৃতি এড়াইতে গিয়ে পরানে জড়াই তোমার রূপের ফাঁদ।। চাহি না তোমায় তবু তোমারেই ভাবি বাতায়নে বসি’ আমার নিশীথে তুমি আনিয়াছ শুল্কা চতুর্দশী। সুন্দর তুমি তবু হয় মনে আছে কলঙ্ক জোছনার সনে মুখোমুখি বসে কাঁদে তাই বুকে সাধ আর অবসাদ।।