বাণী

নিরজন ফুলবন, এসো প্রিয়া
রহি’ রহি’ বলে কোয়েলিয়া।।
পথ পানে চাহি, নাহি নিদ নাহি
ঝরা ফুল জড়ায়ে ঝুরে হিয়া।।

বাণী

না-ই পরিলে নোটন-খোঁপায় ঝুমকো জবার ফুল (রানী)
এমনি এসো (ওগো) লুটিয়ে পিঠে আকুল এলোচুল।।
	সজ্জা-বিহীন লজ্জা নিয়ে
	এমনি তুমি এসো প্রিয়ে
গোলাপ ফুলের রঙ মাখাতে হয় যদি হোক ভুল।।
গৌর দেহে নাই জড়ালে গৌরী চাঁপার শাড়ি
ওগা ভূষণ পরে না-ই বা দিলে রূপের সাথে আড়ি।
	যেমন আছ তেমনি এসো
	নয়ন তুলে একটু হেসো
সেই খুশিতে উঠবে দুলে আমার হৃদয় কুল।।

বাণী

নিশি জেগে আমি গান শোনাবো
বন বিহগ যদি মাগে বিদায়
আমার অন্তর মধু পিয়াবো
পিয়াল ফুলের পিয়ালায়।।
বেল ফুল যদি যায় ঝরে
প্রেম ফুল দেব ডালি ভ’রে
মাধবী কুঞ্জ রচিব হিয়ায়
ফাল্গুন যদি ফিরে যায়।।
যদি নাহি বয় দখিনা বাতাস
আমার আছে অঞ্চল আছে কেশ পাশ।
যায় ডুবে যাক আকাশে চাঁদ
মোর চাঁদ যেন নাহি ডুবে যায়।।

বাণী

		নয়ন মুদিল কুমুদিনী হায়!
		তাহার ধ্যানের চাঁদ ডুবে যায়।।
		ভরিল সরসী তা’রি আঁখি-জলে
		ঢলিয়া পড়িল পল্লব-তলে,
অকরুণ নিষাদের তীর সম অরুণ-কিরণ বেঁধে এসে গায়।।
		কপোলের শিশির অভিমানে শুকালো,
		পাপড়ির আড়ালে পরাগ লুকাল।
		সরসীর জলে পড়ে আকাশের ছায়া
		নাই সেথা তারা-দল, চাঁদের মায়া,
জলে ডুবে মেটে না প্রাণের তৃষা হৃদয়ের মধু তার হৃদয়ে শুকায়।।

বাণী

নয়নে ঘনাও মেঘ, মালবিকা!
গগনে জাগাও তব নীরদ-লিখা।।
বিদ্যুৎ হানে যদি গরজায় বাজ
সুন্দর মৃত্যুরে নাহি ভয় আজ,
আমার এ বনে এসো মনোবালিকা।।
ঝরুক এ শিরে মোর ঘন বরষা
ফুটিবে কাননে ফুল আছে ভরসা,
এসো জল-ছল-ছল পথে অভিসারিকা।।

বাণী

নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল
মলিন হয়েছে ঘুমে চোখের কাজল।।
	হেরিয়া নিশি-প্রভাতে
	শিশির কমল-পাতে
ভাব বুঝি বেদনাতে ফুটেছে কমল।।
	এ শুধু শীতের মেঘে
	কপট কুয়াশা লেগে’
ছলনা উঠেছে জেগে’ এ নহে বাদল।।
	কেন কবি খালি খালি
	হ’লি রে চোখের বালি
কাঁদাতে গিয়া কাঁদালি নিজেরে কেবল।।