নমঃ নমঃ নমো বাঙলাদেশ মম
বাণী
নমঃ নমঃ নমো বাঙলাদেশ মম চির মনোরম চির মধুর বুকে নিরবধি বহে শত নদী চরণে জলধির বাজে নূপুর।। গ্রীষ্মে নাচে বামা কালবোশেখি ঝড়ে সহসা বরষাতে কাঁদিয়া ভেঙ্গে পড়ে শরতে হেসে চলে শেফালিকা-তলে গাহিয়া আগমনী গীতি বিধুর।। হরিত অঞ্চল হেমন্তে দুলায়ে ফেরে সে মাঠে মাঠে শিশির ভেজা পায়ে শীতের অলস বেলা পাতা ঝরারি খেলা ফাগুনে পরে সাজ ফুল-বধূর।। এই দেশের মাটি জল ও ফুলে ফলে যে রস যে সুধা নাহি ভূমণ্ডলে এই মায়েরি বুকে হেসে খেলে সুখে ঘুমাবো এই বুকে স্বপ্নাতুর।।
নীল আকাশের কোলে শুয়ে হেরে
বাণী
নীল আকাশের কোলে শুয়ে হেরে শ্রান্ত মেঘের দল, পল্লবে-ফুলে পূর্ণ হ’লো কি ধরণীর অঞ্চল।। দেয়া গরজে না, উপবনে তাই বেণী-বন্ধনে কেয়া ফুল নাই, গুণ্ঠন খুলি’ প্রকৃতি হাসিছে, মেলি’ এলো-কুন্তল।। সায়র ছেয়েছে শাপ্লা শালুকে, ‘নায়রে’ চলেছে বৌ, বৌ-কথা-কও ডাকে ফুলবনে, ঝরে মমতার মৌ। বাজে আনন্দ-বেণু শারদীয়া মিলন পিয়াসি ডাকে পিয়া পিয়া, সৌরভ-মধু ভারে বেদনায় কার প্রেম-শতদল, করে টলমল।।
নারায়ণী উমা খেলে হেসে হেসে
বাণী
নারায়ণী উমা খেলে হেসে হেসে হিম-গিরির বুকে পাহাড়ি বালিকা বেশে॥ গিরি-গুহা হতে জ্যোতির ঝরনা ছুটে চলে যেন চল ঝরনা, তুষার-সায়রে সোনার কমল যেন বেড়া ভেসে। — খেলে হেসে হেসে। মাধবী চাঁদ ওঠে কৈলাস-চূড়ে, খেলা ভুলিয়া যায়, অনিমেষ চোখে চায় পাষাণ প্রতিমা প্রায় সেই সুদূরে। সতী-হারা যোগী পাগল শঙ্করে মনে পড়িয়া তার নয়নে বারি ঝরে, শিব-সীমন্তনী পাগলিনী প্রায় ‘শিব শিব’ বলে ধায় মুক্তকেশে॥