নমস্তে বীণা পুস্তক হস্তে দেবী বীণাপাণি। শতদল-বাসিনী সিদ্ধি-বিধায়িনী সরস্বতী বেদবাণী।। এসো আমল ধবল শুভ সাত্ত্বিকী বর্ণে, হংস-বাহনে লীলা উৎপল কর্ণে, এসো বিদ্যারূপিণী মা শারদা ভারতী এসো ভীতজনে বরাভয় দানি।। শুদ্ধ জ্ঞান দাও শুভ্র আলোক অজ্ঞান তিমির অপগত হোক। মৃতজনে সঙ্গীত-অমৃত দাও মা বীণাতে মাভৈঃ ঝঙ্কার হানি।
নামাজ পড়, রোজা রাখ, কল্মা পড় ভাই। তোর আখেরের কাজ করে নে, সময় যে আর নাই।। সম্বল যার আছে হাতে হজ্বের তরে যা কা'বাতে, জাকাত দিয়ে বিনিময়ে শাফায়াত যে পাই।। ফরজ তরক্ ক'রে কর্লি করজ ভবের দেনা, আল্লাহ ও রসুলের সাথে হ'ল না তোর চেনা। পরানে রাখ কোরআন বেঁধে, নবীরে ডাক কেঁদে কেঁদে্ রাত্রি দিন তুই কর মোনাজাত — আল্লাহ্ তোমায় চাই।।
নতুন খেজুর রস এনেছি মেটে কলস ভ'রে ভিন গাঁ হতে এনে গো রস-পিয়াসি ও আমার রস-পিয়াসি রসিক জনের তরে।। মিঠে রোদে শীতের দিনে তরুণ-বঁধূ লও গো কিনে ফাগুন-হাওয়া বইবে প্রাণে, ওগো হালকা নেশার ঘোরে।। মলিন মুখে দিয়ে দেখ নলিন খেজুর-গুড় বাহির-ভিতর হবে তাহার মিষ্টিতে ভরপুর ওগো মিষ্টিতে ভরপুর। মোর তনুর চেয়ে অনেক বেশি মধুর এ রস ও বিদেশি, রস না পিয়েও ঝিমিয়ো না গো নেশায় অমন ক'রে।।
নমঃ নমঃ নমো বাঙলাদেশ মম চির মনোরম চির মধুর বুকে নিরবধি বহে শত নদী চরণে জলধির বাজে নূপুর।। গ্রীষ্মে নাচে বামা কালবোশেখি ঝড়ে সহসা বরষাতে কাঁদিয়া ভেঙ্গে পড়ে শরতে হেসে চলে শেফালিকা-তলে গাহিয়া আগমনী গীতি বিধুর।। হরিত অঞ্চল হেমন্তে দুলায়ে ফেরে সে মাঠে মাঠে শিশির ভেজা পায়ে শীতের অলস বেলা পাতা ঝরারি খেলা ফাগুনে পরে সাজ ফুল-বধূর।। এই দেশের মাটি জল ও ফুলে ফলে যে রস যে সুধা নাহি ভূমণ্ডলে এই মায়েরি বুকে হেসে খেলে সুখে ঘুমাবো এই বুকে স্বপ্নাতুর।।
নাচে নাচে রে মোর কালো মেয়ে নৃত্যকালী শ্যামা নাচে। নাচ হেরে তার নটরাজও প'ড়ে আছে পায়ের কাছে।। মুক্তকেশী আদুল গায়ে নেচে বেড়ায় চপল পায়ে মা'র চরণে গ্রহতারা নূপুর হয়ে জড়িয়ে আছে।। ছন্দ-সরস্বতী দোলে পুতুল হয়ে মায়ের কোলে রে সৃষ্টি নাচে, নাচে প্রলয় মায়ের আমার পায়ের তলে রে। আকাশ কাঁপে নাচের ঘোরে ঢেউ খেলে যায় সাত সাগরে সেই নাচনের পুলক জাগে ফুল হয়ে রে লতায় গাছে।।
