হে গোবিন্দ ও অরবিন্দ চরণে
বাণী
হে গোবিন্দ, ও অরবিন্দ চরণে শরণ দাও হে। বিফল জনম কাটিল কাঁদিয়া, শান্তি নাহি কোথাও হে।। জীবন-প্রভাত কাটিল খেলায়, দুপুর ফুরাল মোহের মেলায়। ডাকিব যে নাথ সন্ধ্যা-বেলায়, ডাকিতে পারিনি তাও হে।। এসেছি দুঃখ-জীর্ণ পথিক মৃত্যু-গহন রাতে। কিছু নাহি প্রভু সম্বল, শুধু জল আছে আঁখি-পাতে।। সন্তান তব বিপথগামী, ফিরিয়া এসেছে হে জীবন-স্বামী। পাপী তাপী তবু সন্তান আমি ধূলা মুছে-কোলে নাও হে।।
হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে
বাণী
হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে। হায় আকাশে সখি আজো কি সেই চাঁদ ওঠে।। সখি তাহার হাতের হেনা গাছে বুঝি প্রথম মুকুল ধরিয়াছে। হায় যমুনায়, বাঁশি বাজে কি আর ছায়ানটে।। শিয়রে জানালা খুলে দে বাহিরে চাহিয়া দেখি আমার বাগানে আবার বসন্ত আসিয়াছে কি? দেখি সে ডালিম ফুলে হায় আছে কি সে রঙ আগেকার। ও-বাড়ির ছাদের টবে সই বেলফুল ফুটলো কি আবার? আজি আসিবে সে মনে লাগে তারি আসার আভাস মনে জাগে হায় বুঝি তাই, মোর মরণ মধুর হয়ে ওঠে।।
হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে
বাণী
হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে তুমি শুনিতে কি পাও? আখেরি নবী প্রিয় আল-আরবি বারেক ফিরে চাও।। পিঁজরার পাখি সম অন্ধকারায় বন্ধ থাকি' এ জীবন কেটে' যায়; কাঁদে প্রাণ ছুটে যেতে তব মদিনায় চরণের এই জিঞ্জির খুলে' দাও।। ফতেমার মেয়েদের হেরি' আঁখি-নীর বেহেশতে কেমনে আছ তুমি থির! যেতে নারি মসজিদে শুনিয়া আজান, বাহিরে ওয়াজ হয়, ঘরে কাঁদে প্রাণ ঝুটা এই বোরখার হোক অবসান — আঁধারে হেরেমে আশা-আলোক দেখাও।।