হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে
বাণী
হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে তুমি শুনিতে কি পাও? আখেরি নবী প্রিয় আল-আরবি বারেক ফিরে চাও।। পিঁজরার পাখি সম অন্ধকারায় বন্ধ থাকি' এ জীবন কেটে' যায়; কাঁদে প্রাণ ছুটে যেতে তব মদিনায় চরণের এই জিঞ্জির খুলে' দাও।। ফতেমার মেয়েদের হেরি' আঁখি-নীর বেহেশতে কেমনে আছ তুমি থির! যেতে নারি মসজিদে শুনিয়া আজান, বাহিরে ওয়াজ হয়, ঘরে কাঁদে প্রাণ ঝুটা এই বোরখার হোক অবসান — আঁধারে হেরেমে আশা-আলোক দেখাও।।
হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না
বাণী
হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না। আশা-তরী ডুববে কূলে দুখের স্রোতে ভাসবে না।। হয়তো তুমি এমনি ক'রে পথ চাওয়াবে জনম ভ'রে রইবে দূরে চিরতরে সামনে এসে হাসবে না।। কামনা মোর রইলো মনে রূপ ধ'রে তা উঠলো না; বারে বারে ঝরলো মুকুল ফুল হয়ে তা ফুটলো না। অবুঝ এ প্রাণ তবু কেন তোমার ধ্যানেই বিভোর হেন তুমি চির চপল নিঠুর - জানি, ভালোবাসবে না।।
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
বাণী
হে গোবিন্দ রাখ চরণে। মোরা তব চরণে শরণাগত আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে হে॥ গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ বেয়ে কেন দুখ পাই সে চরণ চেয়ে এ ত্রিতাপ জ্বালা হর হে শ্রীহরি, চাহ করুণা সিক্ত নয়নে॥ হরি ভিক্ষা চাহিলে মানুষ নাহি ফিরায় তোমারি দুয়ারে হাত পাতিল যে, ফিরাবে কি তুমি তায়। হরি সব তরী ডুবে যায় তোমার চরণ তরী ত’ ডোবে না হায়, তব চরণ ধরিয়া ডুবে মরি যদি রবে কলঙ্ক নিখিল ভুবনে॥
হিন্দু আর মুসলিম মোরা দুই সহোদর
বাণী
হিন্দু আর মুসলিম মোরা দুই সহোদর ভাই। এক বৃন্তে দু’টি কুসুম এক ভারতে ঠাঁই॥ সৃষ্টি যাঁর মুসলিম রে ভাই হিন্দু সৃষ্টি তাঁরি মোরা বিবাদ ক’রে খোদার উপর করি যে খোদকারি। শাস্তি এত আজ আমাদের হীন-দশা এই তাই॥ দুই জাতি ভাই সমান মরে মড়ক এলে দেশে বন্যাতে দুই ভাইয়ের কুটির সমানে যায় ভেসে। দুই জনারই মাঠেরে ভাই সমান বৃষ্টি ঝরে — সব জাতিরই সকলকে তাঁর দান যে সমান করে চাঁদ সুরুযের আলো কেহ কম-বেশি কি পাই বাইরে শুধু রঙের তফাৎ ভিতরে ভেদ নাই॥
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি
বাণী
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি’। আখেরি নবী দ্বীনের রবি বিদায় নিল বিশ্ব-নিখিল আঁধার করি’।। অসীম তিমিরে পুণ্যের আলো আনিল যে চাঁদ, সে কোথায় লুকালো আকাশে ললাট হানি’ কাঁদিছে মরুভূমি শোকে গ্রহ-তারকা পড়িছে ঝরি’।। তৃণ নাহি খায় উট, মেষ নাহি মাঠে যায়; বিহগ-শাবক কাঁদে জননীরে ভুলি হায়! বন্ধুর বিরহ কি সহিল না আল্লার, তাই তারে ডাকিয়া নিল কাছে আপনার’; হায় কান্ডারি গেল চ’লে রাখিয়া পারের তরী।।
বৈতালিক