বাণী

জননী মোর জন্মভূমি, তোমার পায়ে নোয়াই মাথা।
স্বর্গাদপি গরীয়সী স্বদেশ আমার ভারত-মাতা।।
তোমার স্নেহ যায় ব’য়ে মা শত ধারায় নদীর স্রোতে
ঘরে ঘরে সোনার ফসল ছড়িয়ে পড়ে আঁচল হ’তে,
স্নিগ্ধ-ছায়া মাটির বুকে তোমার শীতল পাঁটী পাতা।।
স্বর্গের ঐশ্বর্য লুটায় তোমার ধূলি-মাখা পথে
তোমার ঘরে নাই যাহা মা, নাইক তাহা ভূ-ভারতে,
ঊর্ধ্বে আকাশ নিম্নে সাগর গাহে তোমার বিজয়-গাথা।।
আদি জগদ্ধাত্রী তুমি জগতেরে প্রথম প্রাতে
শিক্ষা দিলে দীক্ষা দিলে, করলে মানুষ আপন হাতে,
তোমার কোলের লোভে মা গো রূপ ধ’রে আসেন বিধাতা।।
ছেলের মুখের অন্ন কেড়ে খাওয়ালি মা যাদের ডেকে
তারাই দিল তোর ললাটে চির-দাসীর তিলক এঁকে,
দেখে শুনে হয় মা মনে, নেইক বিচার, নেই বিধাতা।।

বাণী

জাগো জাগো, পোহাল রাতি।
গগন-আঙনে ম্লান চাঁদের বাতি।।
	মধুমাছি মধু বোলে
	ফুলমুখী ঘুম ভোলে,
শরমে নয়ন খোলে — শয়ন-সাথী।।
	সলিল লুটায় ঘটে
	বধূর বুকে তটে,
বাজে বাঁশি ছায়া-বটে — আবেশ মাতি’।।

বাণী

পুরুষ	:	জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি
		তব হাসি-কান্না চোখের দৃষ্টি
		তারও চেয়ে মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি॥
স্ত্রী	:	কান্না-মেশানো পান্না নেবো না, বঁধু।
		এই পথেরই ধূলায় আমার মনের মধু
		করে হীরা মানিক সৃষ্টি মিষ্টি আরো মিষ্টি॥
পুরুষ	:	সোনার ফুলদানি কাঁদে লয়ে শূন্য হিয়া
		এসো মধু-মঞ্জরি মোর! এসো প্রিয়া, প্রিয়া!
স্ত্রী	:	কেন ডাকে বউ কথা কও, বউ কথা কও,
		আমি পথের ভিখারিনী গো, নহি ঘরের বউ।
		কেন রাজার দুলাল মাগে মাটির মউ।
		বুকে আনে ঝড়, চোখে বৃষ্টি তার সকরুণ দৃষ্টি তবু মিষ্টি॥

সিনেমাঃ চৌরঙ্গী

বাণী

	জয়, আনন্দ-ভৈরব ডমরু পিনাক-পাণি,
গঙ্গাধর চন্দ্র চূড় শিব তীব্র-ধ্যানী।।
	তব সূর্যকান্তি রাগে
	প্রাণে প্রভাত-শান্তি জাগে,
পর প্রধান পূর্ণরূপ, হে শুদ্ধ জ্ঞানী।।
সরল মতি শঙ্কর হে, নাচো গরল পিয়ে,
আশুতোষ তুষ্ট তুমি বিল্বদল নিয়ে।
	মৃত্যু-ভীত বিশ্বজনে
	তমসা মগন ভুবনে,
শোনাও আনন্দিত মাভৈঃ অভয়বাণী।।

বাণী

জাগো অরুণ ভৈরব জাগো হে শিব-ধ্যানী।
শোনাও তিমির-ভীত-বিশ্বে নব দিনের বাণী।।
	তোমার তপঃ-তেজে, শিব
	দগ্ধ বুঝি হয় ত্রিদিব,
শরণাগত চরণে তব — হের নিখিল প্রাণী।।
ধ্যান হোক অঙ্গ তব শক্তি ল’য়ে সঙ্গে,
সৃষ্টির আনন্দে, হর, লীলা কর রঙ্গে।
	ললাটের বহ্নি ঢাকো
	শশী-লেখার তিলক আঁকো,
ফণি হোক মণিহার, হে পিনাক-পাণি।।

বাণী

জয় নারায়ণ অনন্ত রূপধারী বিশাল।
কভু প্রশান্ত উদার, কভু কৃতান্ত করাল॥
	কভু পার্থ-সারথি-হরি
	বংশীধারী কংস-অরি,
কভু গোপাল বনমালী কিশোর রাখাল॥
বিপুল মহা-বিরাট কভু বৃন্দাবন-বিলাসী,
শঙ্খ-গদা-চক্র-পাণি মুখে মধুর হাসি।
	সৃষ্টি বিনাশে
	লীলা-বিলাসে,
মগ্ন তুমি আপন ভাবে অনাদিকাল॥