জাগো কৃষ্ণকলি জাগো কৃষ্ণকলি
বাণী
জাগো কৃষ্ণকলি, জাগো কৃষ্ণকলি। মধুকরের মিনতি মানো, ডাকে জাগো বলি’, বিহগ-কাকলি।। তব দ্বারে বারে বারে মন-উদাসী ভোরের হাওয়া এসে বাজায় বাঁশি, ফিরে গেল ভ্রমরা মউ-পিয়াসি — অযথা বিতানে কানে কথা বলি।। হের হাতের তার ফুলঝুরি ফেলে’ ধূলায় উদাসী বসন্ত মাগে বিদায়, দীরঘ-শ্বাস ফেলি’ ঝরা পাতায়। চাহে রঙিন ঊষা তব রঙের আভাস তব লাল আভায় লজ্জা পায় হিঙুল পলাশ। এলো কোকিল তোমার রঙে খেল্তে হোলি।।
জাগো যুবতী আসে যুবরাজ
বাণী
জাগো যুবতী! আসে যুবরাজ। অশোক-রাঙা বসনে সাজ।। আসন-পাতা-বনে অঞ্চল আধো বন্দনা-গীতি-ভাষা বাধো বাধো, কপোলে লাজ।। উছলি’ ওঠে যৌবন আকুল তরঙ্গে, খেলিছে অনঙ্গ নয়নে, বুকে, অঙ্গে আকুল তরঙ্গে। আগমনী-ছন্দ মেঘ-মৃদঙ্গে ভবন-শিখী গাহে বন-কুহু সঙ্গে, বাজো হৃদি-অঙ্গনে বাঁশরি বাজো।।
নাটক : ‘আলেয়া’ (কাকলি ও বন্দিনীগণের গান)
জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর
বাণী
জয় বিবেকানন্দ সন্ন্যাসী বীর চির গৈরিকধারী। জয় তরুণ যোগী, শ্রীরামকৃষ্ণ-ব্রত-সহায়কারী।। যজ্ঞাহুতির হোমশিখা সম, তুমি তেজস্বী তাপস পরম ভারত-অরিন্দম নমো নমঃ বিশ্বমঠ বিহারী।। (মদ) গর্বিত বল-দর্পীর দেশে মহাভারতের বাণী শুনায়ে বিজয়ী ঘুচাইলে স্বদেশের অপযশ গ্লানি। (নব) ভারতে আনিলে তুমি নব বেদ মুছে দিলে জাতি ধর্মের ভেদ জীবে ঈশ্বরে অভেদ আত্মা জানাইলে হুঙ্কারি১।।
১. উচ্চারি
জীবন যাপন করিতে
বাণী
জীবন যাপন করিতে, চাষ কর বিধিমতে, রবে যদি সুখেতে — এই পৃথিবী মাঝার।। জমি ‘উগালে’ ‘সামালে’ বীজ ফেলাও কুতুহলে, পাবে তবে সেই ফসলে — মেহনতের সার।। লাগাও ধান প্রধান ফসল, তরকারি কলাই সকল, দাও সময় মত জল — যাতে প্রাণ বাঁচে তার।। অরি হতে ফসলে রক্ষা কর সকলে, নজরুল এসলাম বলে — নইলে বাঁচা হবে ভার।।
লেটো গান : ‘চাষার সঙ’
জগতের নাথ তুমি তুমি প্রভু প্রেমময়
বাণী
জগতের নাথ তুমি, তুমি প্রভু প্রেমময়। আমি জগতের বাহিরে নহি দেহ চরণে আশ্রয়।। যাহাদের তরে আমি খাটিনু দিবস-রাতি, (আমার)যাবার বেলায় কেহ তাদের হ’ল না সাথের সাথি। সম্পদ মোর পাঁচ ভূতে খায়, কর্ম কেবল সঙ্গে রয়।। ভুলিয়া সংসার মোহে লই নাই তোমারি নাম — তরাতে এমন পাপী পাবে না হে ঘনশ্যাম। শুনেছি তোমারে যদি কাঁদিয়া কেহ ডাকে — তুমি অমনি তারে কর ক্ষমা চরণে রাখ তাকে। আমি সেই আশাতে এসেছি নাথ যদি তব কৃপা হয়।।