ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির আল্লা-রসুল বোল্ গাফ্লিয়াতি ভোল্ রে অলস্ আয়েশ আরাম্ ভোল্॥ এই দুনিয়ার সরাইখানায় জনম্ গেল ঘুমিয়ে হায় ওঠ রে সুখ-শয্যা ছেড়ে মায়ার বাঁধন খোল্॥ দিন ফুরিয়ে এলো যে রে দিনে দিনে তোর দীনের কাজে অবহেলা কর্লি জীবন ভোর। যে দিন আজো আছে বাকি খোদারে তুই দিস্নে ফাঁকি আখেরে পার হবি যদি পুল্ সেরাতের পোল্॥
ভারত আজিও ভোলেনি বিরাট মহাভারতের ধ্যান। দেশ হারায়েছে — হারায়নি তা’র আত্মা ও ভগবান।। তাহার ক্ষাত্রশক্তি গিয়াছে প্রেম ও ভক্তি আজও বেঁচে আছে, আজিও পরম ধৈর্য ও বিশ্বাসে — তার আশা-দীপ জ্বালিয়া রেখেছে সেই ভাগবত জ্ঞান।। দেহের জীর্ণ পিঞ্জরে তার প্রাণ কাঁদে নিরাশায়, ‘সম্ভবামি যুগে যুগে’ বাণী ভুলিতে পারে না হায়! সেই আশ্বাসে আজ নব অনুরাগে পাষাণ ভারতে বিরাট চেতনা জাগে, জেগেছে সুপ্ত-সিংহ, এসেছে দিব্য অসি-কৃপাণ।।
ভারত শ্মশান হ’ল মা, তুই শ্মশানবাসিনী ব’লে। জীবন্ত-শব নিত্য মোরা, চিতাগ্নিতে মরি জ্ব’লে।। আজ হিমালয় হিমে ভরা, দারিদ্র্য-শোক-ব্যাধি-জরা, নাই যৌবন, যেদিন হতে শক্তিময়ী গেছিস্ চ’লে।। (মা) ছিন্নমস্তা হয়েছিস্ তাই হানাহানি হয় ভারতে, নিত্য-আনন্দিনী, কেন টানিস্ নিরানন্দ পথে? শিব-সীমন্তিনী বেশে খেল্ মা আবার হেসে হেসে, ভারত মহাভারত হবে, আয় মা ফিরে মায়ের কোলে।।
ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান হে আমার ধ্যানের দেবতা। পূজা লহ, অর্ঘ্য লহ ক’য়ো না ক’য়ো না কথা।। পাষাণ মূরতি তুমি পাষাণ হইয়া থাকো, মন্দির-বেদী হতে ধরার ধূলায় নেমো নাকো। তুমিও মাটির মানুষ বুঝায়ে দিও না ব্যথা।। সহিবে সকলি স্বামী হেনো হেলা ব্যথা দিও, সহিবে না অপমান ভালোবাসার আমার হে প্রিয়, থাক তুমি হিয়ার মাঝে তোমার মন্দির যথা।।
