ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে
বাণী
ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে। আসিলেন রসুলে-খোদা প্রথম যেখানে।। উঠিল যেখানে রণি’, প্রথম তকবির ধ্বনি লভিনু মণির খনি যথায় কোরানে।। যথা হেরা গুহার আঁধারে প্রথম ইসলামের জ্যোতি লভিল জনম, করে অঝোর ধারায় যথা খোদার রহম, ভাসিল নিখিল ভুবন যাহার তুফানে।। লাখো আম্বিয়া আউলিয়া বাদশা ফকির যথা যুগে যুগে আসি’করিল ভিড় তারি ধূলাতে লুটাবো আমি নোয়া’ব শির; নিশিদিন শুনি তাঁরি ডাক আমার পরানে।।
ভাই হয়ে ভাই চিনবি আবার গাইব কি আর
বাণী
ভাই হয়ে ভাই চিনবি আবার গাইব কি আর এমন গান! সেদিন দুয়ার ভেঙে আসবে জোয়ার মরা গাঙে ডাকবে বান।। তোরা স্বার্থ-পিশাচ যেমন কুকুর তেমনি মুগুর পাস রে মান। সেই কলজে চুঁয়ে গলছে রক্ত দলছে পায়ে ডলছে কান।। ওরে তোরা করিস লাঠালাঠি সিন্ধু-ডাকাত লুটছে ধান! তাই গোবর-গাদা মাথায় তোদের কাঁঠাল ভেঙে খায় শেয়ান।। ছিলি সিংহ ব্যাঘ্র, হিংসা-যুদ্ধে আজকে এমন ক্ষিন্ন প্রাণ। মুখের গ্রাস ঐ গিলছে শেয়াল, তোমরা শুয়ে নিচ্ছ ঘ্রাণ।। তোরা বাঁদর ডেকে মানলি সালিশ ভাইকে দিতে ফাটলো প্রাণ! সালিশ নিজেই, ‘খা ডালা সব’, বোকা তোদের এই দেখান।। তোরা নাক কেটে নিজ পরের যাত্রা ভঙ্গ করিস বুদ্ধিমান তোদের কে যে ভালো কে যে মন্দ সব শিয়ালই এক সমান।। শুনি আপন ভিটের কুকুর রাজা, তার চেয়েও হীন তোদের প্রাণ। তাই তোদের দেশ এই হিন্দুস্থানে নাই তোদেরই বিন্দু স্থান।। আজ সাধে ভারত-বিধাতা কি চোখ বেঁধে ঐ মুখ লুকান! তোরা বিশ্বে যে তার রাখিসনে ঠাঁই কানা গরুর ভীন বাথান।। তোরা করলি কেবল অহরহ নীচ কলহের পরল পান। আজ বুঝলি নে হায় নাড়ি-ছেড়া মায়ের পেটের ভায়ের টান।।
ভোরে ঝিলের জলে শালুক-পদ্ম
বাণী
ভোরে ঝিলের জলে শালুক-পদ্ম তোলে কে ভ্রমর-কুন্তলা কিশোরী ফুল দেখে বেভুল সিনান বিসরি’।। একি নূতন লীলা আঁখিতে দেখি ভুল কমল ফুল যেন তোলে কমল ফুল ভাসায়ে আকাশ-গাঙে অরুণ-গাগরি।। ঝিলের নিথর জলে আবেশে ঢল ঢল গ’লে পড়ে শত সে তরঙ্গে, শারদ-আকাশে দলে দলে আসে মেঘ, বলাকার খেলিতে সঙ্গে। আলোক-মঞ্জরি প্রভাত বেলা বিকশি’ জলে কি গো করিছে খেলা বুকের আঁচলে ফুল উঠিছে শিহরি’।।