বাণী

ভুলে যাও ব’লে জানাও মনে রাখার আবেদন
অনুরোধে ভুলব যদি মনে রাখা সে কেমন॥
		মনে যে রাখতে জানে
		সে কি মুখের মানা মানে
ভুলে দিয়ে যার মন ভরা তারে ভুলতে বলা অকারণ॥
চাঁদ চ’লে যায় আবার আসে ফিরে আসে ফাগুন হাওয়া
কোয়েল এসে যায় ক’য়ে তার মনে রাখার দাবি দাওয়া।
		ভালোবাসায় ফুলের বাগে
		ঝরে কুসুম আবার জাগে
বন্ধ দুয়ার মন দেউলের খোলো হাজার বাতায়ন॥

বাণী

ভুলি কেমনে	আজো যে মনে
বেদনা-সনে	রহিল আঁকা।
আজ সজনী	দিন রজনী
সে বিনে গনি	সকলি ফাঁকা।।
আগে মন		করলে চুরি
মর্মে শেষে		হানলে ছুরি
এত শঠতা		এত যে ব্যথা
তবু যেন তা	মধুতে মাখা।।
চকোরী		দেখলে চাঁদে
দূর থেকে সই	আজো কাঁদে
আজো বাদলে	ঝুলন ঝুলে
তেমনি জলে	চলে বলাকা।।
বকুলের		তলায় দোদুল
কাজলা মেয়ে	কুড়োয় লো ফুল
চলে নাগরী	কাঁখে গাগরি
চরণ ভারি		কোমর বাঁকা।।
ডালে তোর	করলে আঘাত
দিস্ রে কবি	ফুল সওগাত
ব্যথা-মুকুলে	অলি না ছুঁলে
বনে কি দুলে	ফুল-পতাকা।।

বাণী

	ভিখারিনী করে পাঠাইলি মোরে, (মাগো) কি দিয়ে পূজিব বল।
	হাতে আছে শুধু শূন্য প্রণাম, চোখে আছে শুধু জল।।
	পূজা ধূপ নাই, চন্দন নাই, মাগো, লাজে মরি দিতে ভয় পাই
	চুরি করে আনা দুটি জবা ফুল, একটি বিল্বদল।।
তোর	ধনী ছেলে মেয়ে ঘটা করে তোর পূজা করে কত রূপে,
মাগো	ভিখারি মেয়ের বেশে তুই কেন দাঁড়াইলি এসে, মোর কাছে চুপে চুপে
	কিছু নাই মাগো হাতে দিতে তোর, শুধু নামখানি সম্বল মোর,
যদি	চাস তুই ঐ রাঙা পায়ে দিব নামের সে শতদল।।

বাণী

ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান আসিবে আজি বন্ধু মোর!
স্বপন মাখিয়া সোনার পাখায় আকাশে উধাও চিত-চকোর।।
		হিজল-বিছানো বন-পথ দিয়া
		রাঙায়ে চরণ আসিবে গো পিয়া।
নদীর পারে বন-কিনারে ইঙ্গিত হানে শ্যাম কিশোর।।
		চন্দ্রচূড় মেঘের গায়
		মরাল-মিথুন উড়িয়া যায়,
নেশা ধরে চোখে আলো-ছায়ায় বহিছে পবন গন্ধ-চোর।।

বাণী

ভোরের হাওয়া এলে ঘুম ভাঙাতে কি
		চুম হেনে নয়ন-পাতে।
ঝিরি ঝিরি ধীরি ধীরি কুণ্ঠিত ভাষা
		গুণ্ঠিতারে শুনাতে॥
হিম-শিশিরে মাজি’ তনুখানি
ফুল-অঞ্জলি আন ভরি’ দুই পাণি,
ফুলে ফুলে ধরা যেন ভরা ফুলদানি
		বিশ্ব-সুষমা সভাতে॥

বাণী

ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে।
বুলবুলি সে ফুলও ফোটায় বন-মাতানোর সাথে সাথে।।
		আঘাত দিলে, দিলে বেদন
		রাঙাতে হায় পারলে না মন,
প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো না তাই, পড়লো ঝ’রে নিরাশাতে।।
আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা
হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা,
শয়ন-সাথী হ’লে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।

গজলের সুরে কৃষ্ঞপ্রেম