বাণী

ভুবনময়ী ভবনে এসো সীমার মাঝে এসো অসীমা।
ভক্ত মনের মাধুরী দিয়ে গড়িয়াছি মা তোমার প্রতিমা।।
	চিন্ময়ী গো ধর মৃন্ময়ীরূপ
	কত যুগ মাগো জ্বলিবে পূজাধূপ
মানসপটে বোধন ঘটে হও চির আসীনা করুণাময়ী মা।।
সে কোন অতীতে সুদূর ত্রেতায় এসেছিলে মা অশিব নাশিনী
আসিলে না আর ধূলির ধরায় দিলে না মা বর অমৃত ভাষিণী।
	কত যুগ গেল কত বরষ মাস
	কত বিফল পূজা কত কাঁদন হুতাশ
জাগ যোগমায়া যোগনিদ্রা ভোল পুন বিশ্বে প্রচার হোক্‌ তব মহিমা।।

বাণী

ভোলো ভোলো গো লায়লী মজনুর ভালোবাসা।
সেই তো প্রেমিক প্রেম কয় তারে,
প্রিয়া যদি কয় ভোলো সে-প্রিয়ারে।
আজি হতে তাই ছাড়িলাম আমি তোমারে পাবার আশা
			ভোলো মজনুর ভালোবাসা।।

বাণী

উভয়ে	: 	ভালোবাসায় বাঁধব বাসা
			আমরা দু'টি মাণিক-জোড়।
			থাকব বাঁধা পাখায় পাখায়
			মাখামাখি প্রেম-বিভোর।। 
পুরুষ		:	আমার বুকে যত মধু
স্ত্রী		:	আমার বুকে ঢালবে বঁধু
পুরুষ		:	আমি 	কাঁদব যখন দুখে
স্ত্রী		:	আমি 	মুছাব সে নয়ন-লোর।।
পুরুষ		:	আমি	যদি কভু মনের ভুলে
				তোমায় প্রিয় থাকি ভুলে,
স্ত্রী		:	আমি	রইব তাতেই ফুলের মালায়
			লুকিয়ে যেমন থাকে ডোর।
উভয়ে	:	মোরা	নীল গগনের নীল স্বপনে
			চির-কালের চাঁদ-চকোর।। 

বাণী

ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান হে আমার ধ্যানের দেবতা।
পূজা লহ, অর্ঘ্য লহ ক’য়ো না ক’য়ো না কথা।।
পাষাণ মূরতি তুমি পাষাণ হইয়া থাকো,
মন্দির-বেদী হতে ধরার ধূলায় নেমো নাকো।
তুমিও মাটির মানুষ বুঝায়ে দিও না ব্যথা।।
সহিবে সকলি স্বামী হেনো হেলা ব্যথা দিও,
সহিবে না অপমান ভালোবাসার আমার হে প্রিয়,
থাক তুমি হিয়ার মাঝে তোমার মন্দির যথা।।

বাণী

ভরিয়া পরান শুনিতেছি গান আসিবে আজি বন্ধু মোর!
স্বপন মাখিয়া সোনার পাখায় আকাশে উধাও চিত-চকোর।।
		হিজল-বিছানো বন-পথ দিয়া
		রাঙায়ে চরণ আসিবে গো পিয়া।
নদীর পারে বন-কিনারে ইঙ্গিত হানে শ্যাম কিশোর।।
		চন্দ্রচূড় মেঘের গায়
		মরাল-মিথুন উড়িয়া যায়,
নেশা ধরে চোখে আলো-ছায়ায় বহিছে পবন গন্ধ-চোর।।

বাণী

ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে।
আসিলেন রসুলে-খোদা প্রথম যেখানে।।
উঠিল যেখানে রণি’, প্রথম তকবির ধ্বনি
লভিনু মণির খনি যথায় কোরানে।।
যথা হেরা গুহার আঁধারে প্রথম
ইসলামের জ্যোতি লভিল জনম,
করে অঝোর ধারায় যথা খোদার রহম,
ভাসিল নিখিল ভুবন যাহার তুফানে।।
লাখো আম্বিয়া আউলিয়া বাদশা ফকির
যথা যুগে যুগে আসি’করিল ভিড়
তারি ধূলাতে লুটাবো আমি নোয়া’ব শির;
নিশিদিন শুনি তাঁরি ডাক আমার পরানে।।