বাণী

অন্ধকারে দেখাও আলো কৃষ্ণ নয়ন-তারা।
কালো মেঘে অন্ধ-আকাশ পথিক পথ-হারা।।
	ভক্ত কাঁদে অকূল ভবে,
	গোকূলে তায় ডাকবে কবে।
অশান্ত এ চিত্তে হরি বহাও শান্তি-ধারা।।

বাণী

অমন করে হাসিস্‌নে আর রাই লো।
তুই পোড়ার মুখে হাসিস্‌নে আর রাই লো।।
ছি ছি রঙ্গ করিস অঙ্গে মেখে কৃষ্ণ কালির ছাই লো।।
বাঁশি হাতে গাছে চড়া, কয়লা-বরণ গয়লা ছোঁড়া সে লো
সেই নাটের গুরু নষ্টের গোড়া তোর প্রেমের গোঁসাই লো।।
ঐ গো-রাখা রাখালের সনে তোর নিন্দা শুনি বৃন্দাবনে রাই লো
ছি ছি কেষ্ট ছাড়া ইষ্ট কি আর ত্রিভুবনে নাই লো।।
ঐ অমাবস্যার কৃষ্ণ-চাঁদে, বাস্‌লি ভালো কোন্ সুবাদে তুই লো
তুই দিন-কানা হয়েছিস রাধে ভাবিয়া কানাই লো।।

বাণী

অন্ধকারের তীর্থপথে ভাসিয়ে দিলাম নামের তরী
মায়া মোহের ঝড় বাদলে এবার আমি ভয় না করি।
	যে নাম লেখা তারায় তারায়
	যে নাম ঝরে অশ্রুধারায়
যাত্রা শুরু সেই নামেরি জপমালা বক্ষে ধরি।।
এই আঁধারের অন্তরালে লক্ষ রবি চন্দ্র জ্বলে
নিত্য ফোটে আলোর কমল জানি তোমার চরণ তলে।
	এবার ওগো অশিব নাশন
	থামাও তোমার ঢেউর নাচন
সেই ত অমর মরণ যদি ধ্যান সাগরে ডুবে মরি।।

বাণী

অয়ি চঞ্চল-লীলায়িত-দেহা চির-চেনা
ফোটাও মনের বনে তুমি বকুল হেনা।।
	যৌবন-মদ গর্বিতা তন্বী
	আননে জ্যোৎস্না, নয়নে বহ্নি,
তব চরণের পরশ বিনা অশোক তরু মুঞ্জরে না।।
নন্দন-নন্দিনী তুমি দয়িতা চির-আনন্দিতা,
প্রথম কবির প্রথম লেখা তুমি কবিতা।
নৃত্য শেষের তব নুপুরগুলি হায়
রয়েছে ছড়ানো আকাশের তারকায়
সুর-লোক-উর্বশী হে বসন্ত-সেনা ! চির-চেনা।।

বাণী

অ্যগ্যর তুম রাধা হোতে শ্যাম।
মেরি তরা বস আঠোঁ প্যহর তুম, রট্‌কে শ্যামকা নাম।।
বন-ফুলকে মালা নিরালি বন্‌ যাতি নাগন কালি
কৃষ্ঞ-প্রেমকী ভীক্‌ মাঙ্গনে আতে লাখ্‌ যনম্‌।
তুম, আতে ইস্‌ বৃজধাম।।
চুপ্‌কে চুপ্‌কে তুম্‌রে হিরদয় ম বসতা বন্‌সীওয়ালা,
আওর, ধীরে ধীরে উস্‌কী ধূন সে ব্যঢ়তী মন্‌কি জ্বালা।
পন-ঘটমে ন্যয়্যন বিছায়ে তুম্‌, র‍্যহতে আস্‌ ল্যগায়ে
আওর, কালেকে সঙ্গ প্রীত ল্যগাকর্‌ হো জাতে বদনাম।।

বাণী

অগ্নি-ঋষি! অগ্নি-বীণা তোমায় শুধু সাজে;
তাই ত তোমার বহ্নি-রাগেও বেদন-বেহাগ বাজে॥
		দহন-বনের গহন-চারী —  
		হায় ঋষি — কোন্ বংশীধারী দেশি
নিঙ্‌ড়ে আগুন আনলে বারি, অগ্নি-মরুর মাঝে।
সর্বনাশা কোন্ বাঁশি সে বুঝতে পারি না যে॥
দুর্বাসা হে! রুদ্র তড়িৎ হানছিলে বৈশাখে,
হঠাৎ সে কার শুন্‌লে বেণু কদম্বের ঐ শাখে।
		বজ্রে তোমার বাজল বাঁশি,
		বহ্নি হল কান্না-হাসি,
সুরের ব্যথায় প্রাণ উদাসী — মন সরে না কাজে।
তোমার নয়ন-ঝুরা অগ্নি-সুরেও রক্তশিখা রাজে॥