অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া
বাণী
অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া। বহ্নি-রাগে দিগন্ত গেল রে রাঙিয়া॥ রুদ্র রোষে কি শঙ্কর উর্ধ্বের পানে লক্ষ-ফণা ভুজঙ্গ-বিদ্যুৎ হানে দীপ্ত তেজে অনন্ত-নাগের ঘুম ভাঙিয়া॥ লঙ্কা-দাহন হোমাগ্নি সাগ্নিক মন্ত্র যজ্ঞ-ধূম বেদ-ওঙ্কার ছাইল অনন্ত। খড়গ-পাণি শ্রীচন্ডী অরাজক মহীতে দৈত্য নিশুম্ভ-শুম্ভে এলো বুঝি দহিতে, বিশ্ব কাঁদে প্রেম-ভিক্ষু আনন্দ মাগিয়া॥
অনেক কথা বলার মাঝে লুকিয়ে আছে
বাণী
অনেক কথা বলার মাঝে লুকিয়ে আছে একটি কথা। বলতে নারি সেই কথাটি তাই এ মুখর ব্যাকুলতা।। সেই কথাটি ঢাকার ছলে অনেক কথা যাই গো ব’লে ভাসি আমি নয়ন-জলে বলতে গিয়ে সেই বারতা।। অবকাশ দেবে কবে কবে সাহস পাবে প্রাণে লজ্জা ভুলে সেই কথাটি বলব তোমায় কানে কানে। মনের বনে অনুরাগে কত কথার মুকুল লাগে সেই মুকুলের বুকে জাগাও ফুটে ওঠার ব্যাকুলতা।।
অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে সঘন তিমির রাতে
বাণী
অঝোর ধারায় বর্ষা ঝরে সঘন তিমির রাতে। নিদ্রা নাহি তোমায় চাহি’ আমার নয়ন-পাতে॥ ভেজা মাটির গন্ধ সনে তোমার স্মৃতি আনে মনে, বাদ্লী হাওয়া লুটিয়ে কাঁদে আঁধার আঙিনাতে॥ হঠাৎ বনে আস্ল ফুলের বন্যা পল্লবেরই কূলে, নাগকেশরের সাথে কদম কেয়া ফুট্ল দুলে দুলে। নবীন আমন ধানের ক্ষেতে হতাশ বায়ু ওঠে মেতে, মন উড়ে যায় তোমার দেশে পূব-হাওয়ারই সাথে॥
অন্ধকারে এসে তুমি অন্ধকারে গেছ চ’লে
বাণী
অন্ধকারে এসে তুমি অন্ধকারে গেছ চ’লে। তোমার পায়ের রেখা জাগে শূন্য গৃহের অঙ্গন-তলে।। কেন আমায় জাগালে না আঘাতে ঘুম ভাঙালে না, দ’লে কেন গেলে না গো যাবার বেলা চরণ-তলে।। কৃষ্ণা তিথির চাঁদের মত এসেছিলে গভীর রাতে, আলোর পরশ বুলিয়ে দিলে ঘুমন্ত মোর নয়ন-পাতে; তাই রজনীগন্ধা সুখে চেয়ে আছে উর্ধ্ব মুখে, ফুলগুলিরে জাগিয়ে গেলে নিঠুর আমায় গেলে ছ’লে।।