বাণী

	খয়বর-জয়ী আলী হায়দার, জাগো জাগো আরবার।
	দাও দুশমন দুর্গ-বিদারী দু'ধারী জুলফিকার।।
	এসো শেরে খোদা ফিরিয়া আরবে,
	ডাকে মুসলিম ‘ইয়া আলী’ রবে, —
	হায়দারী হাঁকে তন্দ্রা-মগনে করো করো হুঁশিয়ার।।
	আল-বোর্জের চূড়া গুঁড়া-করা গোর্জ আবার হানো,
	বেহেশতী সাকী মৃত এ জাতিরে আবে কওসার দানো।
আজি	বিশ্ব-বিজয়ী জাতি যে বেহোঁশ
	দাও তারে নব কুয়ৎ ও জোশ;
এসো	নিরাশায় মরু-ধূলি উড়ায়ে দুল্‌দুল্-আস্ওয়ার।।

বাণী

খুলেছে আজ রঙের দোকান বৃন্দাবনে হোরির দিনে।
প্রেম-রঙিলা ব্রজ-বালা যায় গো হেথায় আবির কিনে।।
	আজ গোকুলের রঙ মহলায়
	রামধনু ঐ রঙ পিয়ে যায়
সন্ধ্যা-সকাল রাঙতো না গো ঐ হোরির কুমকুম বিনে।।
রঙ কিনিতে এসে সেথায় রব শশী আকাশ ভেঙে'
এই ফাগুনী ফাগের রাগে অশোক শিমুল ওঠে রেঙে'।
আসে হেথায় রাধা-মাধব এই রঙেরই পথ চিনে।।

বাণী

খোদার হবিব হলেন নাজেল খোদার ঘর ঐ কাবার পাশে।
ঝুঁকে’ প’ড়ে আর্শ কুর্‌সি, চাঁদ সূরয তাঁয় দেখতে আসে।।
ভেঙে পড়ে মূরত মন্দির, লা’ত মানাত, শয়তানী তখ্ত,
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’র উঠিছে তক্‌বির আকাশে।।
খুশির মউজ তুফান তোরা দেখে যা মরুভূমে,
কোহ-ই-তূরের পাথরে আজ বেহেশ্‌তী ফুল ফুটে’ হাসে।।
য়্যেতিম-তারণ য়্যেতিম হয়ে এলো রে এই দুনিয়ায়,
য়্যেতিম মানুষ-জাতির ব্যথা নৈলে বুঝ্ত না সে।।
সূর্য ওঠে, ওঠে রে চাঁদ, মনের আঁধার যায় না তায়,
হৃদ-গগন যে কর্‌ল রওশন্, সেই মোহাম্মদ ঐ রে হাসে।
আপন পুণ্যের বদ্লাতে যে মাগিল মুক্তি সবার,
উম্মতি উম্মতি ক’য়ে দেখ্ আঁখি তাঁর জলে ভাসে।।

বাণী

খেলিছে জলদেবী সুনীল সাগর জলে।
তরঙ্গ - লহর তোলে লীলায়িত কুন্তলে।।
ছল-ছল উর্মি-নূপুর
স্রোত-নীরে বাজে সুমধুর,
চল-চঞ্চল বাজে কাঁকন কেয়ূর
ঝিনুকের মেখলা কটিতে দোলে।।
আনমনে খেলে জল-বালিকা
খুলে পড়ে মুকুতা মালিকা
হরষিত পারাবারে উর্মি জাগে
লাজে চাঁদ লুকালো গগন তলে।।

বাণী

খড়ের প্রতিমা পূজিস্‌ রে তোরা, মাকে ত’ তোরা পূজিস্‌নে!
প্রতি মা’র মাঝে প্রতিমা বিরাজে (ঘরে ঘরে ওরে)
			হায় রে অন্ধ, বুঝিস্‌নে।।
বছর বছর মাতৃ পূজার ক’রে যাস্‌ অভিনয়
ভীরু সন্তানে হেরি লজ্জায় মাও যে পাষাণময়,
মাকে জিনিতে সাধন-সমরে সাধক ত’কেহ বুঝিস্‌নে।
মাটির প্রতিমা গ’লে যায় জলে, বিজয়ায় ভেসে যায়,
আকাশে-বাতাসে মা’র স্নেহ জাগে অতন্দ্র করুণায়।
তোরই আশে-পাশে তাঁর কৃপা হাসে —
			কেন সেই পথে তাঁরে খুঁজিস্‌নে।।

নাটিকাঃ ‌‘বিজয়া’

বাণী

খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা
মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায়
দোলে গলায় বলাকার মালিকা।।
চপল বিদ্যুতে হেরি' সে চপলার
ঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার,
নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথে
ছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।।
কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল-ঝিলে
তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে।
ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরল
কাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলে
আনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।