বাণী

ইসলামের ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর।
বদনসীব আয়, আয় গুনাহগার নূতন করে সওদা কর।।
জীবন ভ'রে করলি লোকসান আজ হিসাব তার খতিয়ে নে;
বিনিমূলে দেয় বিলিয়ে সে যে বেহেশতী নজর।।
কোরানের ঐ জাহাজ বোঝাই হীরা মুক্তা পান্নাতে,
লুটে নে রে, লুটে নে সব, ভরে তোল তোর শূন্য ঘর।
কেয়ামতের বাজারে ভাই মুনাফা যে চাও বহুৎ —
এই ব্যাপারীর হও খরিদ্দার লও রে ইহার সিল-মোহর।।
আরশ হতে পথ ভুলে এ এলো মদিনা শহর,
নামে মোবারক মোহাম্মদ — পুঁজি 'আল্লাহু আকবর'।।

বাণী

ইয়া মোহাম্মদ, বেহেশেত্‌ হতে খোদায় পাওয়ার পথ দেখাও
এই দুনিয়ার দুঃখ থেকে এবার আমায় নাজাত দাও।।
পীর মুর্শীদ পাইনি আমি, তাই তোমায় ডাকি দিবস-যামী,
তোমারই নাম হউক হজরত আমার পরপারের নাও।।
অর্থ-বিভব-যশ-সম্মান চেয়ে চেয়ে নিশিদিন
দুঃখে শোকে জ্ব’লে মরি পরান কাঁদে শ্রান্তিহীন।
আল্লা ছাড়া ত্রিভুবনে, শান্তি পাওয়া যায় না মনে
কোথায় পাব সে আবহায়াত ইয়া নবীজী রাহ্‌ বাতাও।।

বাণী

ইরানের বুলবুলি কি এলে পথ ভুলে
গোলাপের স্বপ্ন ল’য়ে সিন্ধু নদী-কূলে।
চন্দনের গন্ধে কবি মিশালে হেনার সুরভি
তোমার গানে মরুভূমির দীর্ঘশ্বাস দুলে।।
কোন সাকির আঁখির করুণা নাহি পেয়ে
মরুচারী হে বিরহী, এলে মেঘের দেশে ধেয়ে।
	হেথা 	কাজল আঁখি নিরখি’
		তৃষ্ণা তব জুড়াল কি,
লালা ফুলের বেদনা ভুলিবে কি পলাশ ফুলে।।

বাণী

ইন্দ্রজিৎ মোর নাম, জানে দেবকুল।
নর ও বানর আজ করিব নিরমূল ॥
ঐ দেখি শ্রীরাম পাশেতে লক্ষ্মণ।
খুরপার্শ্ব অর্ধচন্দ্র, মারিব এখন

লেটো গানঃ ‘মেঘনাদ বধ’

বাণী

ইরানের রূপ-মহলের শাহজাদী শিঁরি! জাগো জাগো শিঁরি।
‘প্রিয়া জাগো’ ব’লে ফরহাদ ডাকে শোনো আজো১ রাতে ধীরি ধীরি।।
তুমি ধরা দিবে তারে বলেছিলে, বে-দরদি,
যদি পাহাড় কাটিয়া আনিতে পারে সে নদী।
হের গো শিলায় শিলায় আজি উঠিয়াছে ঢেউ
সেথা তব মুখ ছাড়া নাহি আর কেউ,
প্রেমের পরশে যেন মোমের পুতুল হয়েছে পাষাণ-গিরি।।
গলিল পাষাণ, তুমি গলিলে না ব’লে —
যে প্রেমিক মরেছিল তোমার পাষাণ-প্রতিমার তলে,
সেই বিরহীর রোদন যেন গো উঠিছে ভুবন ঘিরি’।।

১. আধো

নাটকঃ ‘মদিনা’

বাণী

ইয়া রাসুলুল্লাহ! মোরে রাহ্ দেখাও সেই কাবার।
যে কাবা মসজিদে গেলে পাব আল্লার দিদার।।
দ্বীন দুনিয়া এক হয়ে যায় যে কাবার ফজিলতে,
যে কাবাতে হাজি হ’লে রাজি হন পরওয়ারদিগার।।
যে কাবার দুয়ারে জামে তৌহিদ দেন হজরত আলী,
যে কাবায় কুল্-মাগফেরাতে কর তুমি ইন্তেজার।।
যে কাবাতে গেলে দেখি আরশ কুর্সি লওহ কালাম,
মরণে আর ভয় থাকে না, হাসিয়া হয় বেড়া পার।।