উচ্ছে নহে ঝিঙে নহে নহে সে পটল
বাণী
উচ্ছে নহে, ঝিঙে নহে, নহে সে পটল ব্রজের আলু পিয়া হতে জনম তাই পি’য়াজ সুডোল ব্রজের আলু।। রসঘন রসুনের সে গন্ধতুত দাদা, ও দাদা রস কিছু কম হলে হতো আম আদা, ও দাদা সে আরো খানিক ডাগর হলে ঐ হতো ওল, ব্রজের আলু।। পরম বৈষ্ণব সে যে ফল-দল মাঝে — ও দাদা হের তার শিরে চৈতন-চুট্কী বিরাজে — ও দাদা আবার মাথাটি বাবাজীর মতো চাঁচাছোলা গোল তার মাথাটি বাবাজীর মতো চাঁচা ছোলা গোল, ব্রজের আলু।। কাঁদে ছল ক’রে সব বিরহিণী ইহাকে থ্যাত্লাতে — ও দাদা চক্ষু বুজে পন্ডিতে খান, বলেন ‘আলুভাতে’ — ও দাদা ওরে পাতে তুলেছি তুলব জাতে ব’দলে এবার ভোল, ব্রজের আলু।।
উম্মত আমি গুনাহগার
বাণী
উম্মত আমি গুনাহগার তবু ভয় নাহি রে আমার। আহমদ আমার নবী যিনি খোদ্ হবিব খোদার।। যাঁহার উম্মত্ হ’তে চাহে সকল নবী, তাঁহারি দামন ধরি’ পুলসরাত হব পার।। কাঁদিবে রোজ হাশরে সবে যবে ‘নফ্সি য়্যা নফ্সি’ রবে, ‘য়্যা উম্মতী’ ব’লে একা কাঁদিবেন আমার মোখতার।। কাঁদিবেন সাথে মা ফাতেমা ধরিয়া আরশ্ আল্লার। হোসায়নের খুনের বদলায় মাফী চাই পাপী সবাকার। দোজখ্ হয়েছে হারাম যে-দিন পড়েছি কলেমা। যেদিন হয়েছি আমি কোরানের নিশান-বর্দার।।
উতল হ'ল শান্ত আকাশ তোমার কলগীতে
বাণী
উতল হ'ল শান্ত আকাশ তোমার কলগীতে বাদল ধারা ঝরে বুঝি তাই আজ নিশীথে।। সুর যে তোমার নেশার মত, মনকে দোলায় অবিরত, ফুলকে শেখায় ফুটতে গো, পাখিকে শিস দিতে।। কেন তুমি গানের ছলে বঁধু, বেড়াও কেঁদে? তীরের চেয়েও সুর যে তোমার প্রাণে অধিক বেঁধে। তোমার সুরে কোন সে ব্যথা, দিলো এতো বিহ্বলতা আমি জানি (ওগো) সে বারতা তাই কাদিঁ নিভৃতে।।
উদার ভারত! সকল মানবে
বাণী
উদার ভারত! সকল মানবে দিয়াছ তোমার কোলে স্থান। পার্সি-জৈন-বৌদ্ধ-হিন্দু খ্রিস্টান-শিখ-মুসলমান।। তুমি পারাবার, তোমাতে আসিয়া মিলেছে সকল ধর্ম জাতি; আপনি সহিয়া ত্যাগের বেদনা সকল দেশের করেছ জ্ঞাতি; নিজেরে নিঃস্ব করিয়া, হয়েছ বিশ্ব-মানব-পীঠস্থান।। নিজ সন্তানে রাখি নিরন্ন, অন্য সবারে অন্ন দাও, তোমার স্বর্ণ রৌপ্য মানিকে বিশ্বের ভান্ডার ভরাও; আপনি মগ্ন ঘন তমসায় ভুবনে করিয়া আলোক দান।। বক্ষে ধরিয়া কত সে যুগের কত বিজেতার গ্লানির স্মৃতি, প্রভাত আশায় সর্বসহা মা যাইপছ দুখের কৃষ্ণাতিথি, এমনি নিশীথে এসেছিলে বুকে আসিবে আবার সে ভগবান।।