পরান হরিয়া ছিলে পাশরিয়া
বাণী
পুরুষ : পরান হরিয়া ছিলে পাশরিয়া কেমনে প্রিয়া আনন্দে (হায়)। স্ত্রী : হায় ছিনু কি যেন স্বপনে মগ্না, পুরুষ : হায় আজি হবে কি এ কণ্ঠলগ্না, স্ত্রী : না — না — পুরুষ : হায় ফুল ফুটবে নাকি এ বসন্তে, স্ত্রী : না — না — উভয়ে : হায় বাঁশরি বাজে ব্যাকুল ছন্দে, ফুল জাগানো হাওয়ার সাথে। পুরুষ : মালঞ্চে পাপিয়া উঠিছে ডাকয়িা স্ত্রী : বিরহিণী হিয়া উঠিছে কাঁপিয়া, পুরুষ : হৃদয় চাপিয়া থেকো না আর খোল গো মনের দ্বার স্ত্রী : মুখে আসে না বুকের ভাষা, ওগো কেমনে জানাই ভালোবাসা পুরুষ : প্রেমের দরিয়া ওঠে উছলিয়া স্ত্রী : কে করে সে-প্রেমের আশা পুরুষ : চাও — চাও — স্ত্রী : যাও — যাও — উভয়ে : খেলিব দুজনে মানে অভিমানে এমনি মধুর দ্বন্দ্বে (হায়)।।
পথ চলিতে যদি চকিতে
বাণী
পথ চলিতে যদি চকিতে কভু দেখা হয়, পরান-প্রিয়! চাহিতে যেমন আগের দিনে তেমনি মদির চোখে চাহিও।। যদি গো সেদিন চোখে আসে জল, লুকাতে সে জল করিও না ছল, যে-প্রিয় নামে ডাকিতে মোরে সে-নাম ধরে বারেক ডাকিও।। তোমার বঁধু পাশে (হায়) যদি রয়, মোরও প্রিয় সে, করিও না ভয়, কহিব তা’রে, ‘আমার প্রিয়ারে আমারো অধিক ভালোবাসিও’।। বিরহ-বিধুর মোরে হেরিয়া, ব্যথা যদি পাও যাব সরিয়া, রব না হ’য়ে পথের কাঁটা, মাগিব এ বর মোরে ভুলিও।।
প্রভু তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন
বাণী
প্রভু তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন ভয় নাহি আর তার শত সে বিপদে আপদে তাহার হাত ধরে কর পার॥ তার দুঃখে শোকে ভাবনায় ভয়ে তব নাম রাজে সান্ত্বনা হয়ে পার হয়ে যায় তব নাম লয়ে দুস্তর পারাবার॥ ঝড় ঝঞ্ঝায় প্রাণ শিখা তার শান্ত অচঞ্চল টলমল করে রূপে রসে তার জীবনের শতদল। যেমন পরম র্ভিরতায় শিশু তার মার বক্ষে ঘুমায় তোমারে যে পায় সে জন তেমনি ডরে নাহি সংসার॥