বাণী

পুষ্পিত মোর তনুর কাননে হায়।
ওগো ফুলধনু, লগ্ন যে ব’য়ে যায়।।
আজি ফাগুন ঋতু উৎসবে
এ দেহ দেউল শূন্য কি রবে,
রতির আরতি ধূপ কি পুড়িবে বিফল কামনায়।।

বাণী

	পিও পিও হে প্রিয় শরাব পিও
	চোখে রঙের নেশা লেগে সব অবসাদ হোক রমনীয়।।
	জীবনের নহবতে বাজুক সানাই
	আঁধার এ দুনিয়ায় জ্বলুক রোশনাই
আজি	আবছা আলোয় যারে লাগবে ভালো
	তারি গলায় চাঁদের মালা পরায়ে দিও।।
আজি	লেগে অনুরাগে রঙ শিরাজির
	প্রাণে প্রাণে লহর বহুক রস-নদীর
সেই	মধুর ক্ষনে বঁধু নিরজনে
	ভালোবাসি' দুটি কথা মোরে বলিও।।

বাণী

পরজনমে যদি আসি এ ধরায়।
ক্ষণিক বসন্ত যেন না ফুরায়॥
মিলনে নাহি যেন রহে অবসাদ১
ক্ষয় নাহি হয় যেন চৈতালি-চাঁদ,
কণ্ঠ-লগ্ন মোর প্রিয়ার বাহু
খুলিয়া২ না পড়ে যেন, নিশি না পোহায়॥
বাসি নাহি হয় যেন রাতের মালা,
ভরা থাকে যৌবন-রস-পেয়ালা।
জীবনে না রহে যেন মরণ-স্মৃতি
পুরাতন নাহি হয় প্রেম-প্রীতি,
রবে অভিমান রহিবে না বিরহ,
ফিরে যেন আসে প্রিয়া মাগিয়া বিদায়॥

১. মিলনে যেন নাহি আসে অবসাদ, ২. ঢলিয়া

বাণী

পিউ পিউ বোলে পাপিয়া
ফাল্গুন উন্মন বন ব্যাপিয়া।।
বিরহিনী মন বিহগী —
ওরি সাথে কাঁদে,একা
ঘরে নিশি জাগিয়া।।

বাণী

প্রিয় যাই যাই ব’লো না, না না না
আর ক’রো না ছলনা, না না না॥
আজো মুকুলিকা মোর হিয়া মাঝে
না-বলা কত কথা বাজে,
অভিমানে লাজে বলা যে হ’ল না॥
কেন শরমে বাধিল কে জানে
আঁখি তুলিতে নারিনু আঁখি পানে।
প্রথম প্রণয়-ভীরু কিশোরী
যত অনুরাগ তত লাজে মরি,
এত আশা সাধ চরণে দ’লো না॥

বাণী

পথে কি দেখলে যেতে আমার গৌর দেবতারে।
যা’রে কোল যায় না দেওয়া, কোল দেয় সে ডেকে তারে।।
নবীন সন্ন্যাসী সে রূপে তার পাগল করে
আঁখির ঝিনুকে তা’র অবিরল মুক্তা ঝরে।
কেঁদে সে কৃষ্ণের প্রেম ভিক্ষা মাগে দ্বারে দ্বারে।।
জগতের জগাই-মাধাই মগ্ন যারা পাপের পাঁকে
সকলের পাপ নিয়ে সে সোনার গৌর-অঙ্গে মাখে।
উদার বক্ষে তাহার ঠাঁই দেয় সকল জাতে
দেখেছ প্রেমের ঠাকুর সচল জগন্নাথে?
একবার বললে হরি যায় নিয়ে সে ভবপারে।।