পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি
বাণী
পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি জানি তবু। পাপের চেয়ে তোমার ক্ষমা অনেক অধিক প্রভু।। শিশু যেমন সারা বেলায় ধূলা মাখে খেলার শেষে সন্ধ্যাবেলায় মাকে ডাকে, (ওগো) ধূলায় মলিন সে ছেলেরে মা কি ত্যাজে কভু।। তোমার ক্ষমা যে দেখেছে হে মোর প্রেমময়, অশেষ পাপে পাপী হলেও করে না সে ভয়। মুছবে তুমি তুমিই যদি মাখাও ধূলি কাঁদাও যদি তুমি নেবে কোলে তুলি, আমি তাই করি যা করাও তুমি হে লীলাময় প্রভু।।
পাঠাও বেহেশ্ত হ’তে হজরত্
বাণী
পাঠাও বেহেশ্ত হ’তে হজরত্ পুন সাম্যের বাণী, (আর) দেখিতে পারি না মানুষে মানুষে এই হীন হানাহানি।। বলিয়া পাঠাও, হে হজরত যাহারা তোমার প্রিয় উম্মত, সকল মানুষে বাসে তা’রা ভালো খোদার সৃষ্টি জানি’ — সবারে খোদারই সৃষ্টি জানি।। আধেক পৃথিবী আনিল ঈমান (তোমার) যে উদারতা-গুণে, শিখিনি আমরা সে-উদারতা, (কোরানে হাদিসে) কেবলি গেলাম শুনে’। তোমার আদেশ অমান্য ক’রে লাঞ্ছিত মোরা ত্রিভুবন ভ’রে, আতুর মানুষে হেলা ক’রে বলি, ‘আমরা খোদারে মানি’।।
প্রিয় কোথায় তুমি কোন গহনে
বাণী
প্রিয় কোথায় তুমি কোন গহনে কোন ধ্রুবলোকে কোন দূর গগনে।। খোঁজে কানন তোমায় মেলি' কুসুম-আঁখি, 'তুমি কোথায়' বলি' ডাকে বনের পাখি। আছ ঠকুর হয়ে কোন দেবালয়ে কোন শ্রাবন-মেঘে দখিনা পবনে।। সিন্ধু-বুকে মুখে লুকায়ে নদী 'তুমি কোথায়' বলি' কাঁদে নিরবধি। জ্বালি' তারার বাতি খোঁজে আঁধার রাতি, তোমায় খুঁজিয়া নিভিল জ্যোতি মোর নয়নে।।
পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
বাণী
পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া যাও রে বইয়া এই গরিবের সালামখানি লইয়া।। কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই সারা জনম সাধ ছিল যে মদিনাতে যাই (রে ভাই) মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।। (তোমার) পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি লইয়া যাও রে এই নিরাশের, দীর্ঘ নিশাসখানি। নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।। মা ফাতেমা হজরত আলীর মাজার যথায় আছে আমার সালাম দিয়া আইস তাদের পায়ের কাছে (রে ভাই!) কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।