পথিক ওগো চল্তে পথে
বাণী
পথিক ওগো চল্তে পথে তোমায় আমায় পথের দেখা। ঐ দেখাতে দুইটি হিয়ায় জাগ্ল প্রেমের গভীর রেখা।। এই যে দেখা শরৎ-শেষে পথের মাঝে অচিন্ দেশে, কে জানে ভাই কখন কে সে চল্ব আবার পথটি একা।। এই যে মোদের একটু চেনার আবছায়াতেই বেদন জাগে ফাগুন হাওয়ার মদির ছোঁওয়া পূবের হাওয়ার কাঁপন লাগে। হয়ত মোদের শেষ দেখা এই এম্নি ক’রে পথের বাঁকেই রইল স্মৃতি চারটি আঁখেই চেনার বেদন নিবি লেখা।।
পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি
বাণী
পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি জানি তবু। পাপের চেয়ে তোমার ক্ষমা অনেক অধিক প্রভু।। শিশু যেমন সারা বেলায় ধূলা মাখে খেলার শেষে সন্ধ্যাবেলায় মাকে ডাকে, (ওগো) ধূলায় মলিন সে ছেলেরে মা কি ত্যাজে কভু।। তোমার ক্ষমা যে দেখেছে হে মোর প্রেমময়, অশেষ পাপে পাপী হলেও করে না সে ভয়। মুছবে তুমি তুমিই যদি মাখাও ধূলি কাঁদাও যদি তুমি নেবে কোলে তুলি, আমি তাই করি যা করাও তুমি হে লীলাময় প্রভু।।
প্রভু রাখ এ মিনতি ত্রিভুবন-পতি
বাণী
(প্রভু) রাখ এ মিনতি ত্রিভুবন-পতি তব পদে মতি। আঁখির আগে যেন সদা জাগে তব ধ্রুব-জ্যোতি।। সংসার মরুমাঝে তুমি মেঘ-মায়া, বিষাদ-শোক তাপে তুমি তরু-ছায়া, সান্ত্বনা দাতা তুমি দুঃখ ত্রাতা অগতির গতি।। জননীর মত আছ ঊর্ধ্বে জাগি জলে স্থলে শূন্যে অগণিত তব দান মোদের লাগি১। ঝঞ্ঝার মাঝে তব বিষাণ বাজে, সহসা ঢলি পড় বনে ফুল-সাজে, কোমলে কঠোরে হে প্রভু বিরাজে তব মহাশক্তি।।
১. দোলে কালো নিশার কোলে / আলো-উষসী / তিমির তলে তব তিলক জ্বলে / ঐ পূর্ণ শশী।