পঞ্চ প্রাণের প্রদীপ-শিখায়
বাণী
পঞ্চ প্রাণের প্রদীপ-শিখায় লহ আমার শেষ আরতি। ওগো আমার পরম-পতি, ওগো আমার পরম-পতি।। বহু সে-কাল বাহির-দ্বারে দাঁড়িয়ে আছি অন্ধকারে, এবার দেহের দেউল ভেঙে দেখ্ব নিঠুর, তোমার জ্যোতি।। আমি তোমায় চেয়েছিলাম, শুধু এই সে অপরাধে, ধ্যান ভেঙেছ আমার, ফেলে নিত্য নূতন মায়ার ফাঁদে। আজ মায়ার ঘরে আগুন জ্বেলে পালিয়ে গেলাম পাখা মেলে, জীবন যাহার মিথ্যা স্বপন মরণে তার নাই ক ক্ষতি।। কেটে দিলাম নিঠুর হাতে যে বাঁধনে বেঁধেছিলে, রইল না আর আমার ব’লে কোনো স্মৃতি এ-নিখিলে। আবার যদি তোমার মায়ায় রূপ নিতে হয় নূতন কায়ায়, তোমার প্রকাশ রুদ্ধ যেথায় সেথায় যেন না হয় গতি।।
পলাশ ফুলের মউ পিয়ে ঐ
বাণী
পলাশ ফুলের মউ পিয়ে ঐ বউ-কথা-কও উঠ্ল ডেকে। শিশ্ দিয়ে যায় উদাস হাওয়া নেবু-ফুলের আতর মেখে।। এমন পূর্ণ চাঁদের রাতি নেই গো আমার২ জাগার সাথী, ফুল-হারা মোর কুঞ্জ-বীথি — কাঁটার স্মৃতি গেছে রেখে।। শূন্য মনে এক্লা গুণি কান্না-হাসির পান্না-চুণী, বিদায়-বেলার বাঁশি শুনি — আস্ছে ভেসে ওপার থেকে।।
১. শঙ্করা মিশ্র — দাদ্রা, ২. সাথে।