বাণী

জাগো জাগো শঙ্খ চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী 
জাগো শ্রীকৃষ্ণ-তিথির তিমির অপসারি’।।
	ডাকে বসুদেব দেবকী ডাকে
	ঘরে ঘরে, নারায়ণ, তোমাকে।
ডাকে বলরাম শ্রীদাম সুদাম ডাকিছে যমুনা-বারি।।
	হরি হে, তোমায় সজল নেত্রে
	ডাকে পাণ্ডব কুরুক্ষেত্রে!
দুঃশাসন সভায় দ্রৌপদী ডাকিছে লজ্জাহারী।।
	মহাভারতের হে মহাদেবতা
	জাগো জাগো, আনো আলোক-বারতা!
ডাকিছে গীতার শ্লোক অনাগতা বিশ্বের নর-নারী।।

বাণী

জাগত সোওত আঁঠু জাম রাহত প্রভু মনমে তুমহারে ধ্যান।
রাত আধেঁরি মে চাঁদ সমান প্রভু উজ্জ্বল কর মেরা প্রাণ।।
এক সুর বোলে ঝিওর সারি রাত
এ্যায়সে হি জপত হুঁ তেরা নাম হে নাথ,
রুম রুম মে রম রহো মেরে এক তুমহারা গান।।
গয়ি বন্ধু কুটুম স্বজন
ত্যজ দিনু ম্যায় তুমহারে কারণ,
তুমহো মেরে প্রাণ-আধারণ, দাসী তুমহারী আন।।

বাণী

পুরুষ	:	জহরত পান্না হীরার বৃষ্টি
		তব হাসি-কান্না চোখের দৃষ্টি
		তারও চেয়ে মিষ্টি মিষ্টি মিষ্টি॥
স্ত্রী	:	কান্না-মেশানো পান্না নেবো না, বঁধু।
		এই পথেরই ধূলায় আমার মনের মধু
		করে হীরা মানিক সৃষ্টি মিষ্টি আরো মিষ্টি॥
পুরুষ	:	সোনার ফুলদানি কাঁদে লয়ে শূন্য হিয়া
		এসো মধু-মঞ্জরি মোর! এসো প্রিয়া, প্রিয়া!
স্ত্রী	:	কেন ডাকে বউ কথা কও, বউ কথা কও,
		আমি পথের ভিখারিনী গো, নহি ঘরের বউ।
		কেন রাজার দুলাল মাগে মাটির মউ।
		বুকে আনে ঝড়, চোখে বৃষ্টি তার সকরুণ দৃষ্টি তবু মিষ্টি॥

সিনেমাঃ চৌরঙ্গী

বাণী

জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ।
তুমি আপনি এসে দেবে ধরা দূর-আকাশের চাঁদ।।
	চকোর নহি মেঘও নহি
	আপন ঘরে বন্দী রহি’
আমি শুধু মনকে কহি কাঁদ নিশি দিন কাঁদ।।
কূল-ডুবানো জোয়ার কোথা পাব হে সুন্দর?
হে চাঁদ আমি সাগর নহি পল্লী-সরোবর।
	নিশীথ রাতে আমার নীরে,
	প্রেমের কুমুদ ফোটে ধীরে,
মোর ভীরু প্রেম যেতে নারে ছাপিয়ে লাজের বাঁধ।।

বাণী

ভোল লাজ ভোল গ্লানি জননী মুক্ত আলোকে জাগো।
কবে সে ঘুমালি মরণ-ঘুমে মা আর তো জাগিলি না গো।।
চরণে কাঁদে মা তেমনি জলধি
বক্ষ আঁকড়ি কাঁদে নদ-নদী,
ত্রিশ কোটি সন্তান নিরবধি — 
			কাঁদে আর ডাকে মা গো।।
যে তিতিক্ষা যে শিক্ষা ল’য়ে
অতীতে ছিলি মা রাজরানী হয়ে,
ল’য়ে সে-মহিমা পুন নির্ভয়ে — 
			বিশ্ব-বুকে-দাঁড়া গো।।
বিশ্বের এই খল কোলহলে
তুই আয় কল্যাণ-দীপ জ্বেলে’,
বিরোধের শেষে তুই শান্তি মা — 
			মৃত্যু শেষে সুধা গো।।

বাণী

জগতের নাথ তুমি, তুমি প্রভু প্রেমময়।
আমি জগতের বাহিরে নহি দেহ চরণে আশ্রয়।।
যাহাদের তরে আমি খাটিনু দিবস-রাতি,
(আমার)যাবার বেলায় কেহ তাদের হ’ল না সাথের সাথি।
সম্পদ মোর পাঁচ ভূতে খায়, কর্ম কেবল সঙ্গে রয়।।
ভুলিয়া সংসার মোহে লই নাই তোমারি নাম —
তরাতে এমন পাপী পাবে না হে ঘনশ্যাম।
শুনেছি তোমারে যদি কাঁদিয়া কেহ ডাকে —
তুমি অমনি তারে কর ক্ষমা চরণে রাখ তাকে।
আমি সেই আশাতে এসেছি নাথ যদি তব কৃপা হয়।।