হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না
বাণী
হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না। আশা-তরী ডুববে কূলে দুখের স্রোতে ভাসবে না।। হয়তো তুমি এমনি ক'রে পথ চাওয়াবে জনম ভ'রে রইবে দূরে চিরতরে সামনে এসে হাসবে না।। কামনা মোর রইলো মনে রূপ ধ'রে তা উঠলো না; বারে বারে ঝরলো মুকুল ফুল হয়ে তা ফুটলো না। অবুঝ এ প্রাণ তবু কেন তোমার ধ্যানেই বিভোর হেন তুমি চির চপল নিঠুর - জানি, ভালোবাসবে না।।
হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে
বাণী
হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে। হায় আকাশে সখি আজো কি সেই চাঁদ ওঠে।। সখি তাহার হাতের হেনা গাছে বুঝি প্রথম মুকুল ধরিয়াছে। হায় যমুনায়, বাঁশি বাজে কি আর ছায়ানটে।। শিয়রে জানালা খুলে দে বাহিরে চাহিয়া দেখি আমার বাগানে আবার বসন্ত আসিয়াছে কি? দেখি সে ডালিম ফুলে হায় আছে কি সে রঙ আগেকার। ও-বাড়ির ছাদের টবে সই বেলফুল ফুটলো কি আবার? আজি আসিবে সে মনে লাগে তারি আসার আভাস মনে জাগে হায় বুঝি তাই, মোর মরণ মধুর হয়ে ওঠে।।
হে পার্থসারথি বাজাও বাজাও
বাণী
হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর ভয়–ভীত জনে কর হে নিঃশঙ্ক।। ধনুকে টঙ্কার হানো হানো, গীতার মন্ত্রে জীবন দানো; ভোলাও ভোলাও মৃত্যু–আতঙ্ক।। মৃত্যু জীবনের শেষ নহে নহে — শোনাও শোনাও — অনন্ত কাল ধরি’ অনন্ত জীবন প্রবাহ বহে। দুর্মদ দুরন্ত যৌবন–চঞ্চল ছাড়িয়া আসুক মা’র স্নেহ–অঞ্চল; বীর সন্তানদল করুক সুশোভিত মাতৃ–অঙ্ক।।
হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে
বাণী
হারানো হিয়ার নিকুঞ্জপথে কুড়াই ঝরা ফুল একেলা আমি। তুমি কেন হায় আসিলে হেথায় সুখের স্বরগ হইতে নামি।। চারিপাশে মোর উড়িছে কেবল শুকনো পাতা মলিন ফুল–দল, বৃথাই কেন হায় তব আঁখিজল ছিটাও অবিরল দিবস–যামী।। এলে অবেলায় পথিক বেভুল বিঁধিছে কাঁটা নাহি যবে ফুল, কি দিয়ে বরণ করি ও চরণ নিভিছে জীবন, জীবন–স্বামী।।
হায় ভিখারি কাহার কাছে হাত পাতিলে হায়
বাণী
হায় ভিখারি কাহার কাছে হাত পাতিলে হায়। তোমার চেয়েও আমি যে দীন কাঙাল অসহায়।। আমার হয়ত কিছু ছিল কভু সব নিয়েছেন কেড়ে প্রভু আমায় তিনি নেননি তবু তাঁহার রাঙা পায়।। তোমায় তিনি পথ দেখালেন ভাবনা কিসের ভাই তোমার আছে ভিক্ষা ঝুলি আমার তাহাও নাই। চাইনে তবু আছি পড়ে সংসারে জড়িয়ে ধরে কবে তোমার মতন পথের ধূলি মাখব সারা গায়।।