কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে
বাণী
কে ডাকিলে আমারে আঁখি তুলে'। এই প্রভাতে তটিনী-কূলে কূলে।। ঐ ঘুমায়ে সকলি, জাগেনি কেউ জল নিতে এখনো আসেনি বউ, শুধু তব নদীতে জেগেছে ঢেউ — মেলেছ নয়ন কানন-ফুলে।। যে সুবাস ঝরে ও-এলোকেশে কমলে তা' দিলে নাহিতে এসে', তব তনু-মন দীঘিতে ভেসে' — মাতাইছে, মধুপ পথ ভুলে। ও শিশির-কপোল-স্বেদ বারি পড়িল ঝরি' নয়নে আমারি, জাগিয়া হেরি রূপ-মনোহারী — দাঁড়ায়ে উষসী তোরণ-মূলে।।
কোন্ সে-সুদূর অশোক-কাননে
বাণী
কোন্ সে-সুদূর অশোক-কাননে বন্দিনী তুমি সীতা। আর কতকাল জ্বলিবে আমার বুকে বিরহের চিতা।। সীতা — সীতা!! বিরহে তোমার অরণ্যচারী কাঁদিব রঘুবীর বল্কলধারী, ঝরা চামেলির অশ্রু ঝরায়ে ঝুরিছে বন-দুহিতা।। সীতা — সীতা!! তোমার আমার এই অনন্ত অসীম বিরহ নিয়া, কত আদি কবি কত রামায়ন রচিবে, কে জানে প্রিয়া! বেদনার সুর-সাগর তীরে দয়িতা আমার এসো এসো ফিরে, আবার আঁধার হৃদি-অযোধ্যা হইবে দীপান্বিতা।। সীতা — সীতা!!
নাটকঃ ‘বন্দিনী বিরহিনী সীতা’
কে নিবি মালিকা এ মধু যামিনী
বাণী
কে নিবি মালিকা এ মধু যামিনী, আয় লো যুবতী কুল কামিনী॥ আমার বেল ফুলের মালা গুণ জানে গো, পরবাসী বঁধুকে ঘরে আনে গো। আমার মালার মায়ায় ভালোবাসা পায় কেঁদে কাটায় রাতি যে অভিমানিনী॥ আমি রূপের দেশের মায়া পরী, (সেই) আমার মালার গুণে কুরূপা যে সে হয় সুন্দরী। যে চঞ্চলে অঞ্চলে বাঁধিতে চায়, যার নিঠুর বঁধু সদা পালিয়ে বেড়ায়। আমার মালার মোহে ঘরে রহে সে ফোটে মলিন মুখে হাসির সৌদামিনী॥