খাম্বাজ-পিলু

  • আমার কোন কুলে আজ ভিড়লো তরী

    বাণী

    আমার	কোন্‌ কূলে আজ ভিড়লো তরী
    			এ কোন সোনার গাঁয়
    আমার	ভাটির তরী আবার কেন
    			উজান যেতে চায়
    		তরী	উজান যেতে চায়
    	কোন কূলে মোর ভিড়লো তরী
    	এ কোন্‌ সোনার গাঁয়।।
    আমার	দুঃখেরে কান্ডারী করি’
    আমি	ভাসিয়েছিলাম ভাঙা তরী
    তুমি	ডাক দিলে কে স্বপন–পরী
    			নয়ন ইশারায়।।১
    	নিভিয়ে দিয়ে ঘরের বাতি
    	ডেকেছিলে ঝড়ের রাতি
    তুমি	কে এলে মোর সুরের সাথী গানের কিনারায়।
    তুমি 	কে এলে? ওগো কে এলে মোর সুরের সাথী
    			গানের কিনারায়?
    	সোনার দেশের সোনার মেয়ে,
    ওগো তুমি	হবে কি মোর তরীর নেয়ে,
    	ভাঙ্গা তরী চলো বেয়ে রাঙা অলকায়।।
    

    ১. ‘অন্তরা’ অংশ গ্রামোফোন রেকর্ডে গাওয়া হয়নি।

  • আমার ভুবন কান পেতে রয়

    বাণী

    আমার ভুবন কান পেতে রয় প্রিয়তম তব লাগিয়া
    দীপ নিভে যায়, সকলে ঘুমায় মোর আঁখি রহে জাগিয়া।।
    	তারারে শুধাই, ‘কত দেরি আর
    	কখন আসিবে বিরহী আমার?’
    ওরা বলে, ‘হের পথ চেয়ে তার নয়ন উঠেছে রাঙিয়া’।।
    আসিতেছে সে কি মোর অভিসারে কাঁদিয়া শুধাই চাঁদে
    মোর মুখপানে চেয়ে চেয়ে চাঁদ নীরবে শুধু কাঁদে।
    	ফাগুন বাতাস করে হায় হায়
    	বলে, বিরহিণী তোর নিশি যে পোহায়
    ফুল বলে, ‘আর জাগিতে নারি গো ঘুমে আঁখি আসে ভাঙিয়া’।।
    
  • ঐ পথ চেয়ে থাকি আর কত

    বাণী

    ঐ পথ চেয়ে থাকি আর কত বনমালী।
    করে কানাকানি লোক, দেয় ঘরে পরে গালি।।
    	মোর কুলের বাঁধন খুলে
    	হায় ভাসালে অকুলে,
    শেষে লুকালে গোকুলে — এ কি রীতি চতুরালি।।
    
  • নিশুতি রাতের শশী গো

    বাণী

    নিশুতি রাতের শশী গো।
    ঘুমায় সকলে নিশীথ নিঝুম
    হরিল কে নয়নেরই ঘুম,
    কার অভিসারে জাগো গগন-পারে —
    চাঁদ ভুলানো সে-কোন্ রূপসী।।
    লুকায়ে হেরি আমি অভিসার তব
    তারকারা হেরে লুকায়ে নীরব,
    কপট ঘুম ভেঙে হের হাসিছে সব —
    দূর অলকার বাতায়নে বসি’।।
    

    নাটকঃ ‘সাবিত্রী’