কালেংড়া

  • কুমকুম আবির ফাগের ল’য়ে কালিকা

    বাণী

    কুমকুম আবির ফাগের ল’য়ে কালিকা।
    খেলিছে ‘রসিয়া’ হোরি ব্রজ-বালিকা।।
    	হোরির অনুরাগে
    	যমুনায় দোলা লাগে,
    মাধব সনে ঐ খেলে মাধবিকা।।
    	রঙের গাগরিতে
    	রঙিলা ঘাগরিতে,
    রঙের মাতন লাগায় নাগর-নাগরিকা।।
    	জেগেছে রঙের নেশা
    	মাধবী মধু-মেশা,
    মনের বনে দোলে রাঙা ফুল-মালিকা।।
    
  • কে এলো ডাকে চোখ গেল

    বাণী

    কে এলো।
    ডাকে চোখ গেল।।
    ওলো ও-ডাকে কি ও
    ঘুমের সতিনী ও,
    ও যে চোখের বালি
    ঘুম ভাঙায় খালি।।
    সখি আঁখি মেল —
    মেল আঁখি মেল।।
    
  • চম্পা পারুল যূথী টগর চামেলা

    বাণী

    চম্পা পারুল যূথী টগর চামেলা।
    আর সই, সইতে নারি ফুল-ঝামেলা।।
    	সাজায়ে বন-ডালি,
    	বসে রই বন-মালি
    যা'রে দিই এ ফুল সেই হানে হেলাফেলা।।
    	কে তুমি মায়া-মৃগ
    	রতির সতিনী গো
    ফুল নিতে আসিলে এ বনে অবেলা।।
    	ফুলের সাথে প্রিয়
    	ফুল মালরে নিও
    তুমিও এক সই, আমিও একেলা।।
    
  • বসিয়া নদী-কূলে এলোচুলে

    বাণী

    বসিয়া নদী-কূলে,এলোচুলে			কে উদাসিনী
    কে এলে, পথ ভুলে, এ অকূলে		বন-হরিণী।।
    কলসে জল ভরিয়া চায় করুণায়		কুল-বধূরা,
    কেঁদে যায় ফুলে, ফুলে, পদমূলে,		সাঁঝ-তটিনী।।
    দলিয়া কত ভাঙা-মন, ও চরণ,		করেছ রাঙা
    কাঁদায়ে কত না দিল, এলে নিখিল		মন-মোহিনী।।
    হারালি গোধূলি-লগন কবি,			কোন নদী কিনারে,
    একি সেই স্বপন-চাঁদ, পেতেছে ফাঁদ		প্রিয়ার সতিনী।।
    
  • রেশ্‌মি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে

    বাণী

    রেশ্‌মি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে মরম কথা
    পথের মাঝে চম্‌কে’ কে গো থম্‌কে’ যায় ঐ শরম-নতা।।
    	কাঁখ-চুমা তার কলসি-ঠোঁটে
    	উল্লাসে জল উল্‌সি’ ওঠে,
    	অঙ্গে নিলাজ পুলক ছোটে
    			বায় যেন হায় নরম লতা।।
    অ-চকিতে পথের মাঝে পথ-ভুলানো পরদেশিকে
    হান্‌লে দিঠি পিয়াস-জাগা পথ্‌বালা এই উর্বশীকে!
    	শূন্য তাহার কন্যা হিয়া
    	ভর্‌ল বঁধুর বেদ্‌না নিয়া,
    	জাগিয়ে গেল পর্‌দেশিয়া
    			বিধুর বধূর মধুর ব্যথা।।