খাম্বাজ

  • সখি বলো বঁধুয়ারে নিরজনে

    বাণী

    (সখি) ব’লো বঁধুয়ারে নিরজনে
    দেখা হ’লে রাতে ফুল–বনে।।
    কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী
    কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি
    জেনেছে ফুলমালী গোপনে।।
    ও–পথে চোর–কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও
    বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়।
    এ বনফুল লাগি’ না আসে কাঁটা’ দলি’
    আপনি যাব চলি’ বঁধুয়ার কুঞ্জ–গলি
    বিনা মূল্যে বিকাইব ও–চরণে।।
    
  • সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়

    বাণী

    সবুজ শোভার ঢেউ খেলে যায়
    নবীন আমন ধানের ক্ষেতে।।
    হেমন্তের ঐ শিশির-নাওয়া হিমেল হাওয়া
    	সেই নাচনে উঠলো মেতে।।
    টইটুম্বুর ঝিলের জলে
    কাঁচা রোদের মানিক ঝলে
    চন্দ্র ঘুমায় গগন-তলে সাদা মেঘের আঁচল পেতে।।
    নটকানো রঙ শাড়ি প’রে কে বালিকা
    ভোর না হতে যায় কুড়াতে শেফালিকা।
    	আনমনা মন উড়ে বেড়ায়
    	অলস প্রজাপতির পাখায়
    মৌমাছিদের সাথে সে চায় কমল-বনের তীর্থে যেতে।।
    
  • হাওয়াতে নেচে’ নেচে' যায় ঐ তটিনী

    বাণী

    হাওয়াতে নেচে’ নেচে’ যায় ঐ তটিনী।
    পাহাড়ের পথ-ভোলা কিশোরী নটিনী।।
    		তরঙ্গ আঁচল দুলায়ে
    		বনভূমির মন ভুলায়ে,
    চলেছে চপল পায়ে একাকিনী উদাসিনী।।
    এঁকে বেঁকে থম্‌কে গিয়ে,
    হরিণীরে চম্‌কে দিয়ে।
    ছুটিয়া যায় সুদূরে
    আয় আয় বলি, ডাকে কে কুলের বধূরে,
    নেচে চলে পথ বেভুল ঘর-ছাড়া বিবাগিনী।।
    
  • হে গোবিন্দ ও অরবিন্দ চরণে

    বাণী

    হে গোবিন্দ, ও অরবিন্দ চরণে শরণ দাও হে।
    বিফল জনম কাটিল কাঁদিয়া, শান্তি নাহি কোথাও হে।।
    	জীবন-প্রভাত কাটিল খেলায়,
    	দুপুর ফুরাল মোহের মেলায়।
    ডাকিব যে নাথ সন্ধ্যা-বেলায়, ডাকিতে পারিনি তাও হে।।
    এসেছি দুঃখ-জীর্ণ পথিক মৃত্যু-গহন রাতে।
    কিছু নাহি প্রভু সম্বল, শুধু জল আছে আঁখি-পাতে।।
    	সন্তান তব বিপথগামী,
    	ফিরিয়া এসেছে হে জীবন-স্বামী।
    পাপী তাপী তবু সন্তান আমি ধূলা মুছে-কোলে নাও হে।।