অর্কেস্ট্রা

  • ওগো দু’পেয়ে জীব ছিল গদাই

    বাণী

    ওগো	দু’পেয়ে জীব ছিল গদাই (গদাইচন্দ্র) বিবাহ না করে,
    	কুক্ষণে তার বিয়ে দিয়ে দিল সবাই ধ’রে॥
    	আইবুড়ো সে ছিল যখন, মনের সুখে উড়ত
    	হাল্‌কা দু’খান পা দিয়ে সে (গদাই) নাচ্‌ত, কুঁদ্‌ত ছুঁড়ত॥
    ওগো	বিয়ে করে গদাই
    	দেখলে সে আর উড়তে নারে, ভারি ঠেকে সদাই।
    তার	এ্যাডিশনাল দু’খানা ঠ্যাং বেড়ায় পিছে ন’ড়ে॥
    	গদাই-এর পা দু’খানা মোটা, আর তার বৌ-এর পা দু’খানা সরু,
    	ছোট বড় চারখানা ঠ্যাং ঠিক যেন ক্যাঙারু
    গদাই	(দেখতে) ঠিক যেন ক্যাঙ্গারু।
    	আপিসে পদ বৃদ্ধি হয় না (গদাইচন্দ্রের), কিন্তু ঘরে ফি-বছরে,
    	পা বেড়ে যায় গড়পড়তায় দু’চারখান ক’রে।
    তার	বৌ শোনে না মানা —
    তিনি	হন্যে হয়ে কন্যে আনেন মা, ষষ্টির ছানা
    	মানুষ থেকে চার পেয়ে জীব, শেষ ছ’পেয়ে মাছি,
    	তারপর আটপেয়ে পিঁপড়ে, বাবা গদাই বলে, একেবারে গেছি
    	আর বলে, ও বাবা বিয়ে করে মানুষ এই কেলেঙ্কারীর তরে (বাবা)॥
    
  • বন-ফুলে তুমি মঞ্জরি গো

    বাণী

    	বন-ফুলে তুমি মঞ্জরি গো
    	তোমার নেশায় পথিক-ভ্রমর ব্যাকুল হ'ল গুঞ্জরি' গো।।
    তুমি	মায়ালোকের নন্দিনী ন্দনের আনন্দিনী
    তুমি	ধূলির ধরার বন্দিনী, যাও গহন কাননে সঞ্চরি গো।।
    	মৃদু পরশ-কুঞ্চিতা তুমি বালিকা
    	বল্লভ-ভীতা পল্লব অবগণি্ঠিতা মুকুলিকা।
    তুমি	প্রভাত বেলায় মঞ্জরি লাজে সন্ধ্যায় যাও ঝরি'
    	অরণ্যা-বল্লরি শোভা, পুণ্য পল্লী-সুন্দরী।।
    
  • বেলা প’ড়ে এলো জল্‌কে সই চল্ চল্

    বাণী

    বেলা প’ড়ে এলো জল্‌কে সই চল্ চল্
    ডাকিছে ওই তটিনী ছল্‌ ছল্‌।।
    বকের সারিকার মালিকা দুলিয়ে
    আসিছে সাঁঝ ঐ চিকুর এলিয়ে
    আকাশের কোলে শিশু শশীরে ঐ
    দেখিতে আসিছে তারকা দলে দল।।
    কমলিনীর মলিন মুখ
    হাসে জলে শাপলা শালুক
    বনের পথে হলো আঁধার
    জোনাকী ঐ চমকে ঝলমল্‌।।
    
  • মট্‌কু মাইতি বাঁটকুল রায়

    বাণী

    মট্‌কু মাইতি বাঁটকুল রায়
    ক্রুদ্ধ হয়ে যুদ্ধে যায়
    বেঁটে খাটো নিটপিটে পায়
    তারা ছেৎ’রে চলে, কেৎ’রে চায়।।
    পায়ে পরে গাবদা বুট আর পট্টি
    আর গড়াইয়া চলে যেন গাঁঠরি ও মোটটি,
    ওগো হুনুলুলু সুরে গায় গান উদভট্টি
    হাঁটি হাঁটি পা পা ডাইনে বাঁয়।।
    রাস্তায় তেড়ে এলো এঁড়ে এক দামড়া
    ঢুস খেয়ে বাটকুর ছড়ে গেল চামড়া।
    ভয়ে মট্‌কুর চোখ হয়ে গেল আমড়া
    সে উলটিয়ে সাতপাক ডিগবাজি খায় হায়, হায়।।
    
  • ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল

    বাণী

    ম্লান আলোকে ফুটলি কেন গোলক-চাঁপার ফুল।
    ভূষণহীনা বনদেবী কার হ'রি তুই দুল।।
    	হার হ'বি কার কবরীতে
    	সন্ধ্যারানী দূর নিভৃতে,
    ব'সে আছে অভিমানে ছড়িয়ে এলোচুল।।
    মাটির ধরার ফুলদানিতে তোর হবে কি ঠাঁই,
    আদর কে আর করবে তোরে, বসন্ত যে নাই হায় বসন্ত নাই।
    	গোলক-চাঁপা খুঁজিস কারে —
    সে দেবতা নাই রে হেথা শূন্য যে আজি গোকুল।।
    
  • স্নিগ্ধ-শ্যাম-বেণী-বর্ণা

    বাণী

    স্নিগ্ধ-শ্যাম-বেণী-বর্ণা এসো মালবিকা
    অর্জুন-মঞ্জরি-কর্ণে গলে নীপ-মালিকা, মালবিকা।।
    ক্ষীণা তন্বী জল-ভার-নমিতা
    শ্যাম জম্বু-বনে এসো অমিতা
    আনো কুন্দ মালতী যুঁই ভরি থালিকা, মালবিকা।।
    ঘন নীল বাসে অঙ্গ ঘিরে
    এসো অঞ্জনা রেবা-নদীর তীরে।
    পরি’ হংস-মিথুন আঁকা শাড়ি ঝিল্‌মিল্‌
    এসো ডাগর চোখে মাখি সাগরের নীল
    ডাকে বিদ্যুৎ ইঙ্গিতে দিগ্‌-বালিকা, মালবিকা।।