সোহিনী বসন্ত

  • ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস

    বাণী

    ছিটাইয়া ঝাল নুন এলো ফাল্গুন মাস
    কাঁচা বুকে ধরে ঘুণ, শ্বাস ওঠে ফোঁস ফাঁস।।
    শিমুল ফুলের মত ফটাফট্‌ ফাটে হিয়া
    প্রেম-তুলো বের হয়ে পড়ে গো ছড়াইয়া,
    সবে বালিশ ধরিয়া করে ছটপট হাঁসফাঁস।।
    চিবুতে সজ্‌’নে খাড়া সজনীরা ভুলে যায়,
    আনাগোনা করে প্রেম পরানের দরজায়,
    হৃদয়ের ইঞ্জিনে গ্যাস্‌ ওঠে ভোঁস ভাঁস।।
    কচি আম-ঝোল-টক খাইয়া গিন্নি মায়
    বৌঝির সাথে করে টক্ষাই টক্ষাই।
    আইবুড়ো আইবুড়ি জল গেলে ছ’ গেলাস।।
    বিরহিণীদের আঁখি-কলসি হয়েছে ফুটো,
    গাধাও আজ গাহে গান ফেলিয়া ঘাসের মুঠো,
    নোনা-পাকা মন বলে, কবে আসে তালশাঁস।।
    
  • বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও

    বাণী

    বাজাও প্রভু বাজাও ঘন বাজাও ভীম বজ্র-বিষাণে দুর্জয় মহা-আহ্বান তব।
    বাজাও! অগ্নি তূর্য কাঁপাক সূর্য বাজুক রুদ্রতালে ভৈরব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! নট-মল্লার দীপক-রাগে
    জ্বলুক তড়িৎ-বহ্নি আগে,
    ভেরির রন্ধ্রে মেঘ-মন্দ্রে জাগাও বাণী জাগ্রত নব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! দাসত্বের এ ঘৃণ্য তৃপ্তি
    ভিক্ষুকের এ লজ্জা-বৃত্তি,
    বিনাশ জাতির দারুণ এ লাজ, দাও তেজ দাও মুক্তি-গরব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! খুন দাও নিশ্চল এ হস্তে
    শক্তি-বজ্র দাও নিরস্ত্রে,
    শীর্ষ তুলিয়া বিশ্বে মোদেরও দাঁড়াবার পুন দাও গৌরব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! ঘুচাতে ভীরুর নীচতা দৈন্য
    প্রের হে তোমার ন্যায়ের সৈন্য,
    শৃঙ্খলিতের টুটাতে বাঁধন আন আঘাত প্রচন্ড আহব।।
    দুর্জয় মহা-আহ্বান তব, বাজাও! নিবীর্য্য এ তেজঃসূর্য্যে,
    দীপ্ত কর হে বহ্নি-বীর্য্যে,
    শৌর্য, ধৈর্য্য মহাপ্রাণ দাও, দাও স্বাধীনতা সত্য বিভব।।