কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো

বাণী

	কেঁদো না কেঁদো না মাগো কে বলেছে কালো?
	ইষৎ হাসিতে তোর ত্রিভুবন আলো, কে বলেছে কালো।।
		কে দিয়েছে গালি তোরে, মন্দ সে মন্দ!
		যে বলেছে কালি তোরে, অনধ সে অন্ধ!
মোর	তারায় সে দেখে নাই তার নয়ন-তারা য়নাই আলো!
		তাই তারায় সে দেখে নাই।।
রাখে	লুকিয়ে মা তোর নয়ন-কমল (মাগো)
		কোটি আলোর সহস্র দল
তোর	রূপ দেখে মা লজ্জায় শিব অঙ্গে ছাই মাখালো।।
তোর	নীল -কপোলে কোটি তারা, চন্দনেরি ফোটার পারা
		ঝিকিমিকি করে গো —
মা	তোর দেহলতায় অতুল কোটি রবি -শশীর মুকুল
		ফোটে আবার ঝরে গো —
তুমি	হোমের শিখা বহ্নি- জ্যোতি, তুমি স্বাহা দীপ্তিমতী
	আঁধার ভুবন ভবনে মা কল্যাণ-দীপ জ্বালো
		তুমি কল্যাণ-দীপ জ্বালা।।

বনে চলে বনমালী বনমালা দুলায়ে

বাণী

বনে চলে বনমালী বনমালা দুলায়ে।
তমালে কাজল-মেঘে শ্যাম-তুলি বুলায়ে।।
ললিত মধুর ঠামে
কভু চলে কভু থামে,
চাঁচর চিকুরে বামে —
	শিখি-পাখা ঢুলায়ে।।
ডাকিছে রাখাল-দলে
‘আয় রে কানাই’ ব’লে,
ডাকে রাধা তরুতলে —
	ঝুলনিয়া ঝুলায়ে।।
যমুনার তীর ধরি’
চলিছে কিশোর হরি,
বাজে বাঁশের বাঁশরি —
	ব্রজনারী ভুলায়ে।।

শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া

বাণী

শঙ্কর অঙ্গলীনা যোগ মায়া শঙ্করী শিবানী।
বালিকা-সম লীলাময়ী নীল-উৎপল-পাণি।।
	সজল-কাজল-ঝর্না
	মুকত বেণী অপর্ণা,
তিমির বিভাবরী স্নিগ্ধা শ্যামা কালিকা ভবানী।।
প্রলয় ছন্দময়ী চন্ডী শব্দ-নূপুর-চরণা,
শাম্ভবী শিব-সীমন্তিনী শঙ্করাভরণা।
	অম্বিকা দুঃখহারিণী
	শরণাগত-তারিণী,
জগদ্ধাত্রী শান্তিদাত্রী প্রসীদ মা ঈশানী।।

ইয়া রাসুলুল্লাহ মোরে রাহ্ দেখাও

বাণী

ইয়া রাসুলুল্লাহ! মোরে রাহ্ দেখাও সেই কাবার।
যে কাবা মসজিদে গেলে পাব আল্লার দিদার।।
দ্বীন দুনিয়া এক হয়ে যায় যে কাবার ফজিলতে,
যে কাবাতে হাজি হ’লে রাজি হন পরওয়ারদিগার।।
যে কাবার দুয়ারে জামে তৌহিদ দেন হজরত আলী,
যে কাবায় কুল্-মাগফেরাতে কর তুমি ইন্তেজার।।
যে কাবাতে গেলে দেখি আরশ কুর্সি লওহ কালাম,
মরণে আর ভয় থাকে না, হাসিয়া হয় বেড়া পার।।

গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো

বাণী

গোধূলির রঙ ছড়ালে কে গো আমার সাঁঝগগনে।
মিলনের বাজে বাঁশি আজি বিদায়ের লগনে।।
এতদিন কেঁদে কেঁদে ডেকেছি নিঠুর মরণে
আজি যে কাঁদি বঁধূ বাঁচিতে হায় তোমার সনে।।
আজি এ ঝরা ফুলের অঞ্জলি কি নিতে এলে,
সহসা পূরবী সুর বেজে উঠিল ইমনে।
হইল ধন্য প্রিয় মরন-তীর্থ মম
সুন্দর মৃত্যু এলে বরের বেশে ষেশ জীবনে,
		এলে কে মোর সাঁঝ গগনে।।

তুমি সারাজীবন দুঃখ দিলে

বাণী

তুমি	সারাজীবন দুঃখ দিলে, তব দুঃখ দেওয়া কি ফুরাবে না!
যে	ভালোবাসায় দুঃখে ভাসায় সে কি আশা পূরাবে না॥
মোর	জনম গেল ঝুরে ঝুরে - লোকে লোকে ঘুরে ঘুরে,
তব	স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে কি, নাথ, দগ্ধ হিয়া জুড়াবে না॥
তুমি	অশ্রুতে যে-বুক ভাসালে —
সেই	বক্ষে এসো দিন ফুরালে
তুমি	আঘাত দিয়ে ফুল ঝরালে, হাত দিয়ে কি কুড়াবে না॥