শ্যামকল্যাণ

  • রস-ঘনশ্যাম-কল্যাণ-সুন্দর

    বাণী

    রস-ঘনশ্যাম-কল্যাণ-সুন্দর।
    প্রশান্ত সন্ধ্যার উদার শান্তি দাও —
    শ্রান্ত মনের ভার হর, হে গিরিধর।।
    যে নিবিড় সমাধির গভীর আনন্দে
    হিমালয় লীলায়িত নীরব ছন্দে,
    সেই মহাযোগে কর মোরে মগ্ন —
    যে মহাভাবে ভোর মৌন নীলাম্বর।। 
    অপগত-দুখশোক নিশীথ সুষুপ্তির মাঝে,
    নিথর সিন্ধুর অতল তলে যে শান্ত বিরাজে।
    যে সুধা লভিয়া ঋষি মধুছন্দা
    আনিল বেদবাণী অলকানন্দা
    অন্তরে বাহিরে সেই অমৃত দাও —
    কর পুরুষোত্তম অজর অমর।।
    
  • সেদিন ছিল কি গোধূলি

    বাণী

    সেদিন ছিল কি গোধূলি–লগন শুভদৃষ্টি ক্ষণ।
    চেয়েছিল মোর নয়নের পানে যেদিন তব নয়ন।।
    সেদিন বকুল শাখে কি গো আঙিনাতে
    ডেকে উঠেছিল কুহু–কেকা এক সাথে,
    অধীর নেশায় দুলে উঠেছিল মনের মহুয়া বন।।
    হে প্রিয়, সেদিন আকাশ হতে কি তারা পড়েছিল ঝ’রে,
    যেদিন প্রথম ডেকেছিলে তুমি মোর ডাকনাম ধ’রে।
    (প্রিয়) যেদিন প্রথম ছুঁয়েছিলে ভালবেসে
    আকাশে কি বাঁকা চাদ উঠেছিল হেসে,
    শঙ্খ সেদিন বাজায়েছিল কি পাষাণের নারায়ণ।।
    
  • স্নিগ্ধ শ্যাম কল্যাণ রূপে রয়েছ

    বাণী

    স্নিগ্ধ শ্যাম কল্যাণ রূপে রয়েছ মোদেরে ঘেরি
    তব অনন্ত করুণা ও স্নেহ নিশিদিন নাথ হেরি।।
    	তব চন্দন-শীতল কান্তি
    	সৌম্য-মধুর তব প্রশান্তি
    জড়ায়ে রয়েছে ছড়ায়ে রয়েছে অঙ্গে ত্রিভুবনেরই।।
    বাহিরে তুমি বন্ধু স্বজন আত্মীয় রূপী মম
    অন্তরে তুমি পরমানন্দ প্রিয় অন্তরতম।
    	নিবেদন করে তোমাতে যে প্রাণ
    	সেই জানে তুমি কত মহান
    যেমনি সে ডাকে সড়া দাও তাকে তিলেক কর না দেরি।।
    

    ১. চির