আমার নয়নে কৃষ্ণ-নয়নতারা
বাণী
আমার নয়নে কৃষ্ণ-নয়নতারা হৃদয়ে মোর রাধা-প্যারী। আমার প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা শ্যাম-সোহাগী গোপ-নারী।। আমার স্নেহে জাগে সদা পিতা নন্দ মা যশোদা, ভক্তি আমার শ্রীদাম-সুদাম আঁখি-জল যমুনা-বারি।। আমার সুখের কদম-শাখায় কিশোর হরি বংশী বাজায় আমার দুখের তমাল ছায়ায় — লুকিয়ে খেলে বন-বিহারী।। মুক্ত আমার প্রাণের গোঠে চরায় ধেনু রাখাল-কিশোর, আমার প্রিয়জনে নেয় সে হরি’, সেই ত ননী খায় ননী-চোর। রাধা-কৃষ্ণ-কথা শুনায় — দেহ ও মন শুক-শারী।।
মোরা আর জনমে হংস-মিথুন ছিলাম
বাণী
মোরা আর জনমে হংস–মিথুন ছিলাম নদীর চরে যুগলরূপে এসেছি গো আবার মাটির ঘরে।। তমাল তরু চাঁপা–লতার মত জড়িয়ে কত জনম হ’ল গত, সেই বাঁধনের চিহ্ন আজো জাগে হিয়ার থরে থরে।। বাহুর ডোরে বেঁধে আজো ঘুমের ঘোরে যেন ঝড়ের বন–লতার মত লুটিয়ে কাঁদ কেন। বনের কপোত কপোতাক্ষীর তীরে পাখায় পাখায় বাঁধা ছিলাম নীড়ে চিরতরে হ’ল ছাড়াছাড়ি নিঠুর ব্যাধের শরে।।
নীল সরসীর জলে চতুর্দশীর চাঁদ
বাণী
নীল সরসীর জলে চতুর্দশীর চাঁদ ডোবে আর উঠে গো। এলোকেশে ঢেউয়ে জড়াজড়ি ক’রে পড়ে লুটে গো।। নীল-শাড়ি-বিজড়িত কিশোরী কলসী ল’য়ে ফেরে সাঁতরি’ চাঁদ ভেবে মুদিত কুঁড়ি হেসে ওঠে ফুটে গো।। সরসির পড়শি পলাশ, পারুল সুরভিত সমীরণ হাসিয়া আকুল, কলষে কঙ্কণে রিনিঝিনি সুর বাজে-তরঙ্গে সজল বিধুর, কমলিনী হরষে ঢ’লে পড়ে পরশে অধর-পুটে গো।।
তব গানের ভাষায় সুরে
বাণী
তব গানের ভাষায় সুরে বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি এত দিনে পেয়েছি তারে আমি যারে খুঁজেছি।। ছিল পাষাণ হয়ে গভীর অভিমান সহসা, এলো সহসা আনন্দ-অশ্রুর বান। বিরহ-সুন্দর হয়ে সেই এলো দেবতা বলে যাঁরে পুজেছি বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি।। তোমার দেওয়া বিদায়ের মালা পুন প্রাণ পেল প্রিয় হ’য়ে শুভদৃষ্টি মিলন-মালিকা বুকে ফিরে এলো — এলো প্রিয়। যাহারে নিষ্ঠুর বলেছি নিশীথে গোপনে কেঁদেছি নয়নের বারি হাসি দিয়ে মুছেছি বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি।।