আঁধার রাতে কে গো একেলা
বাণী
আঁধার রাতে কে গো একেলা নয়ন-সলিলে ভাসালে ভেলা।। কাঁদিয়া কারে খোঁজ ওপারে আজো যে তোমার প্রভাত বেলা।। কি দুখে আজি যোগিনী সাজি’ আপনারে ল’য়ে এ হেলা-ফেলা।। সোনার কাঁকন ও দুটি করে হের গো জড়ায়ে মিনতি করে। খুলিয়া ধূলায় ফেলো না গো তায়, সাধিছে নূপুর চরণ ধ’রে। হের গো তীরে কাঁদিয়া ফিরে আজি ও-রূপের রঙের মেলা।।
আজি মিলন বাসর প্রিয়া হের মধুমাধবী নিশা
বাণী
পুরুষ : আজি মিলন বাসর প্রিয়া হের মধুমাধবী নিশা। স্ত্রী : কত জনম অভিসারে শেষে প্রিয় পেয়েছি তব দিশা।। পুরুষ : সহকার-তরু হের দোলে মালতী লতায় লয়ে বুকে, স্ত্রী : মাধবী কাঁকন পরি' দেওদার তরু দোলে সুখে। পুরুষ : হায় প্রাণ কানায় কানায় আজি পুরে স্ত্রী : প্রাণ কানায় কানায় আজি পুরে পুরুষ : হিয়া আবেশে পুলক মিশা স্ত্রী : হিয়া আবেশ পুলক মিশা।। পুরুষ : শরাব রঙের শাড়ি পরেছে চাঁদনি রাতি স্ত্রী : চাঁদে ও তারাতে আজি মিলনের মাতামাতি পুরুষ : হের জোয়া উতলা সিন্ধু পূর্ণিমা চাঁদের পেয়ে' স্ত্রী : কোন দূর অতীত স্মৃতি মম প্রাণে-মনে ওঠে ছেয়ে। পুরুষ : আজি মিলন-ঘন মেঘলোকে স্ত্রী : আজি মিলন-ঘন মেঘলোকে পুরুষ : প্রিয়া মিটিবে মরু-তৃষা স্ত্রী : প্রিয় মিটিবে মরু-তৃষা।। দ্বৈত : প্রিয় মিটিবে মরু-তৃষা।।
আরে পঙ্খীরাজের বাচ্চা আমার
বাণী
ঘোড়া-পূজার মন্ত্র : ওঁ নমস্তে শ্রী বিলাতী অশ্ব সাহেব হর্স নমোহ নমঃ। চতুষ্পদ একপুচ্ছ শৃঙ্গহীন জীব আদর্শ — সাহেব হর্স নমো নমঃ।। অ্যাই, আরে পঙ্খীরাজের বাচ্চা আমার ঘোড়া ছুইট্যা যাও। ক্যাৎরাইয়া দুই চক্ষুরে ঘোড়া ছ্যাৎরাইয়া চাইর পাও।। স্বর্গপানে ল্যাজ উঠাইয়া, (ছোট) চিঁহি চুঁহু চিঁহি চুঁহু ডাইক্যা আমরা দুজন রাত্র জাগুম ছোলা ভিজাইয়া রাইখ্যা (রে) ফাস্টো যদি না হও ঘোড়া, (তোমার) ঘোড়ানীর মাথা খাও হালা কচ্মচাইয়া খাও।। তোমার ঘোড়ানীর মাথা কচ্মচাইয়া খাও।।
নাটিকা : ‘বিলাতী ঘোড়ার বাচ্চা’