দাদ্‌রা

  • তোমার আঁখির মত আকাশের দুটি তারা

    বাণী

    তোমার আঁখির মত আকাশের দু’টি তারা
    চেয়ে থাকে মোর পানে নিশীথে তন্দ্রাহারা
    		সে কি তুমি? সে কি তুমি??
    ক্ষীণ আঁখি–দীপ জ্বালি’ বাতায়নে জাগি একা,
    অসীম অন্ধকারে খুঁজি তব পথ রেখা;
    সহসা দখিনা বায়ে চাঁপা–বনে জাগে সাড়া।
    		সে কি তুমি? সে কি তুমি??
    বৈশাখী–ঝড়ের রাতে চমকিয়া উঠি জেগে’
    বুঝি অশান্ত মম আসিলে ঝড়ের বেগে,
    ঝড় চ’লে যায় কেঁদে ঢালিয়া শ্রাবণ ধারা
    		সে কি তুমি? সে কি তুমি??
    

  • তোমার আমার এই বিরহ সইব কত আর

    বাণী

    তোমার আমার এই বিরহ সইব কত আর
    রইবে কত আড়াল টেনে গ্রহ-তারকার।।
    	তৃষিত মোর হৃদয় যাচে
    	এসো আমার বুকের কাছে
    যেমন দূরের চাঁদকে ডাকে ব্যাকুল পারাবার।।
    হাত চাহে মোর ব'সো কাছে করবো সেবা তব,
    নয়ন বলে নয়ন পাতায় রাখবো হে বল্লভ।
    	হে নাথ তোমার তীর্থ পথে
    	এ প্রাণ চাহে ধূলি হ'তে
    ঘুচবে কবে মোদের মাঝে অসীম অন্ধকার।।
    

  • তোমার কালো রূপে যাক না ডুবে

    বাণী

    তোমার	কালো রূপে যাক না ডুবে সকল কালো মম, 
    					হে কৃষ্ণ প্রিয়তম!
    নীল		সাগর-জলে হারিয়ে যাওয়া নদীর জলের সম।
    		কৃষ্ণ নয়ন-তারায় যেমন আলোকিত হেরি ভুবন,
    		তেমনি কালো রূপের জ্যোতি দেখাও নিরুপম।।
    যাক		মিশে আমার পাপ-গোধূলি তোমার নীলাকাশে,
    মোর		কামনা যাক ধুয়ে তোমার রূপের শ্রাবন মাসে।
    		তোমায় আমায় মিলন থাকুক (যেমন) নীল সলিলে সুনীল শালুক
    তুমি		জড়িয়ে থাকো (গো) আমার হিয়ায় গানের সুরের সম।।
    
  • তোমার দেওয়া ব্যথা সে যে

    বাণী

    তোমার দেওয়া ব্যথা, সে যে তোমার হাতের দান।
    তাই তো সে দান মাথায় তুলে নিলাম, হে পাষাণ।।
    	তুমি কাঁদাও তাই ত বঁধু
    	বিরহ মোর হল মধু,
    সে যে আমার গলার মালা তোমার অপমান।।
    আমি বেদীমূলে কাঁদি, তুমি পাষাণ অবিচল,
    জানি হে নাথ, সে যে তোমার পূজা নেওয়ার ছল।
    	তোমার দেবালয়ে মোরে
    	রাখলে পূজারিণী ক’রে,
    সেই আনন্দে ভুলেছি নাথ সকল অভিমান।।
    
  • তোমার ফুলের মতন মন

    বাণী

    তোমার ফুলের মতন মন।
    ফুলের মত সইতে নার একটু অযতন।।
    	ভুল ক’রে এই কঠিন ধরায়
    	তুমি কেন আসিলে হায়,
    একটি রাতের তরে হেথায় ফুলের জীবন।।
    	গাঁথ্‌বে মালা প’রবে গলায়
    	অর্ঘ্য দেবে দেবতা-পায়,
    ফেলে দেবে পথের ধূলায় মিট্‌লে প্রয়োজন।।
    
  • তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ

    বাণী

    তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ ক্ষমা কর হজরত।
    মোরা	ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমারি দেখানো পথ ॥
    	বিলাস-বিভব দলিয়াছ পায় ধূলি সম তুমি, প্রভু,
    	তুমি চাহ নাই আমরা হইব বাদশা-নবাব কভু।
    	এই ধরণীর ধন-সম্ভার - সকলেরি তাহে সম অধিকার;
    	তুমি বলেছিলে ধরণীতে সবে সমান পুত্র-বৎ ॥
    প্রভু	তোমার ধর্মে অবিশ্বাসীরে তুমি ঘৃণা নাহি ক’রে
    	আপনি তাদের করিয়াছ সেবা ঠাঁই দিয়ে নিজ ঘরে।
    	ভিন্ ধর্মীর পূজা-মন্দির, ভাঙিতে আদেশ দাওনি, হে বীর,
    প্রভু	আমরা আজিকে সহ্য করিতে পারিনে’ক পর-মত ॥
    	তুমি চাহ নাই ধর্মের নামে গ্লানিকর হানাহানি,
    	তলোয়ার তুমি দাও নাই হাতে, দিয়াছ অমর বাণী।
    	মোরা ভুলে গিয়ে তব উদারতা
    	সার করিয়াছি ধর্মন্ধতা,
    	বেহেশ্‌ত্‌ হ’তে ঝরে নাকো আর তাই তব রহমত ॥
    
  • তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু

    বাণী

    তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু।
    আমরা অবোধ, অন্ধ মায়ায় তাই তো কাঁদি প্রভু।।
    তোমার মতই তোমার ভুবন
    চির পূর্ণ, হে নারায়ণ!
    দেখতে না পায় অন্ধ নয়ন তাই এ দুঃখ প্রভু।।
    ঝরে যে ফল ধূলায় জানি, হয় না তাহা (কভু) হারা,
    ঐ ঝরা ফলে নেয় যে জনম তরুণ তরুর চারা —
    তারা হয় না কভু হারা।
    হারালো (ও) মোর প্রিয় যারা,
    তোমার কাছে আছে তারা;
    আমার কাছে নাই তাহারা — হারায়নিক’ তবু।।
    
  • তোমার সৃষ্টি মাঝে হরি হেরিতে

    বাণী

    তোমার সৃষ্টি মাঝে হরি হেরিতে যে নিতি পাই তোমায়।
    তোমার রূপের আবছায়া ভাসে গগনে, সাগরে, তরুলতায়॥
    চন্দ্রে তোমার মধুর হাসি, সূর্যে তোমার জ্যোতি প্রকাশ;
    করুণা সিন্ধু তব আভাস বারি-বিন্দুতে হিমকণায়॥
    ফোটা ফুলে হরি, তোমার তনুর গোপী-চন্দন গন্ধ পাই,
    হাওয়ায় তোমার স্নেহের পরশ অন্নে তোমার প্রসাদ খাই।
    রাসবিহারী তোমার রূপ গোলে, দুঃখ শোকের হিন্দোলে,
    তুমি, ঠাঁই দাও যবে ধর কোলে মোর বন্ধু স্বজন কেঁদে ভাসায়॥
    
  • তোমারেই আমি চাহিয়াছি প্রিয়

    বাণী

    তোমারেই আমি চাহিয়াছি প্রিয় শতরূপে শতবার।
    জনমে জনমে চলে তাই মোর অনন্ত অভিসার।।
    		বনে তুমি যবে ছিলে বনফুল
    		গেয়েছিনু গান আমি বুল্‌বুল্‌,
    ছিলাম তোমার পূজার থালায় চন্দন ফুলহার।।
    তব সংগীতে আমি ছিনু সুর নৃত্যে নূপুর–ছন্দ,
    আমি ছিনু তব অমরাবতীতে পারিজাত ফুল–গন্ধ।
    		কত বসন্তে কত বরষায়
    		খুঁজেছি তোমায় তারায় তারায়,
    আজিও এসেছি তেমনি আশায় ল’য়ে স্মৃতি–সম্ভার।।
    
  • তোর কালো রূপ দেখতে মাগো

    বাণী

    (মাগো)	তোর কালো রূপ দেখতে মাগো, কাল্ হ’ল মোর আঁখি,
    		চোখের ফাঁকে যাস পালিয়ে মা তুই কালো পাখি॥
    আমার		নয়ন দুয়ার বন্ধ ক’রে এই দেহ পিঞ্জরে,
    		চঞ্চলা গো বুকের মাঝে রাখি তোরে ধ’রে;
    		চোখ্ চেয়ে তাই খুঁজে বেড়াই পাই না ভুবন ভ’রে
    		সাধ যায় মা জন্ম জন্ম অন্ধ হ’য়ে থাকি॥
    		কালো রূপের বিজলি চমক কোটি লোকের জ্যোতি,
    		অনন্ত তোর কালোতে মা সকল আলোর গতি।
    		তোর কালো রূপ কে বলে মা ‘তমঃ’,
    		ঐ রূপে তুই মহাকালি মাগো নমঃ নমঃ
    তুই		আলোর আড়াল টেনে মাগো দিস্ না মোরে ফাঁকি॥
    
  • তোর কালো রূপ লুকাতে মা

    বাণী

    তোর কালো রূপ লুকাতে মা বৃথাই আয়োজন।
    ঢাকতে নারে ও রূপ, কোটি চন্দ্র তপন।।
    	মাখিয়ে আলো আমার চোখে
    	লুকিয়ে রাখিস তোর কালোকে,
    তোর অতল কালো রূপে মাগো বিশ্ব নিমগন।।
    আঁধার নিশীথ সে যেন তোর কালো রূপের ধ্যান
    তোর গহন কালোয় গাহন ক’রে জুড়ায় ধরার প্রাণ।
    হেরি তোর কালো রূপ স্নিগ্ধ-করা
    	শ্যামা হ’ল বসুন্ধরা,
    নিবল কোটি সূর্য, তোরে খুঁজে অনুক্ষণ।।
    
  • তোর নামেরই কবচ দোলে

    বাণী

    		তোর নামেরই কবচ দোলে দোলে আমার বুকে, হে শঙ্করী।
    		কি ভয় দেখাস্? আমি তোকেও ভয় করি না, ভয় করি না ভয়ঙ্করী।।
    			মৃত্যু প্রলয় তাদের লাগি
    			নয় যারা তোর অনুরাগী।
    		(মাগো) তোর শ্রীচরণ আশ্রয় মোর (দেখে) মরণ আছে ভয়ে মরি’।।
    		তোর যদি না হয় মা বিনাশ, আমিও মা অবিনাশী;
    (আমি)	তোরই মাঝে ঘুমাই জাগি, তোরই কোলে কাঁদি হাসি।
    			তোর চরণ ছেড়ে পলায় যারা (মা)
    			মায়ার জালে মরে তারা
    		তোর মায়া-জাল এড়িয়ে গেলাম মা তোর অভয়-চরণ ধরি, মা।।
    
  • তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে

    বাণী

    তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে
    মধু পূর্ণিমারি সেথা চাঁদ দোলে
    যেন ঊষার কোলে রাঙা-রবি দোলে।।
    কূল মখ্‌লুকে আজি ধ্বনি ওঠে, কে এলো ঐ
    কলেমা শাহাদাতের্‌ বাণী ঠোঁটে, কে এলা ঐ
    খোদার জ্যোতি পেশানিতে ফোটে, কে এলো ঐ
    আকাশ-গ্রহ-তারা পড়ে লুটে, কে এলা ঐ
    পড়ে দরুদ ফেরেশ্‌তা, বেহেশ্‌তে সব দুয়ার খোলে।।
    মানুষে মানুষের অধিকার দিল যে-জন
    ‘এক আল্লাহ্‌ ছাড়া প্রভু নাই’ কহিল যে-জন,
    মানুষের লাগি’ চির-দীন্‌ বেশ ধরিল যে-জন
    বাদশা ফকিরে এক শামিল করিল যে-জন
    এলো ধরায় ধরা দিতে সেই সে নবী
    ব্যথিত-মানবের ধ্যানের ছবি
    আজি মাতিল বিশ্ব-নিখিল্‌ মুক্তি-কলোরোলে।।
    
  • তোরা যারে এখনি হালিমার কাছে লয়ে

    বাণী

    তোরা যারে এখনি হালিমার কাছে লয়ে ক্ষীর সর ননী
    আমি খোয়াবে দেখেছি কাঁদিছে মা বলে আমার নয়ন-মণি॥
    	মোর শিশু আহমদে যেদিন কাঁদিয়া
    	হালিমার হাতে দিয়াছি সঁপিয়া
    সেই দিন হ’তে কেঁদে কেঁদে মোর কাটিছে দিন রজনী॥
    পিতৃহীন সে সন্তান হায় বঞ্চিত মা’র স্নেহে
    তারে ফেলে দূরে কোল খালি করে (আমি) থাকিতে পারি না গেহে।
    	অভাগিনী তার মা আমিনায়
    	মনে করে সে কি আজো কাঁদে হায়
    বলিস তাহারি আসার আশায় দিবানিশি দিন গণি॥
    
  • থৈ থৈ জলে ডুবে গেছে পথ

    বাণী

    থৈ থৈ জলে ডুবে গেছে পথ এসো এসো পথ ভোলা,
    সবাই দুয়ার বন্ধ করেছে (আছে) আমার দুয়ার খোলা।।
    	সৃষ্টি ডুবায়ে ঝরুক বৃষ্টি,
    	ঘন মেঘে ঢাকো সবার দৃষ্টি,
    ভুলিয়া ভুবন দুলিব দু'জন গাহি' প্রেম হিন্দোলা।।
    সব পথ যবে হারাইয়া যায় দুর্দিনে মেঘে ঝড়ে,
    কোন পথে এসে সহসা সেদিন দোলো মোরে বুকে ধ'রে।
    	নিরাশা-তিমিরে ঢাকা দশ দিশি,
    	এলো যদি আজ মিলনের নিশি,
    আষাঢ়-ঝুলনা বাঁধিয়া শ্রীহরি দাও দাও মোরে দোলা।।
    

    গীতি-আলেখ্য: ‌‘হিন্দোলা’

  • দরিয়ায় ঘোর তুফান

    বাণী

    দরিয়ায় ঘোর তুফান, পার কর নাইয়া।
    রজনী আঁধার ঘোর, মেঘ আসে ছাইয়া।।
    যাত্রী গুনাহ্গার, জীর্ণ তরুণী,
    অসীম পাথারে কাঁদি পথ হারাইয়া।।
    হে-চির কাণ্ডারী, পাপে তাপে বোঝাই তরী
    তুমি না করিলে পার, পার হব কেমন করি’,
    সুখ-দিনে ভুলে’ থাকি, বিপদে তোমারে স্মরি –
    ডুবাবে কি তব নাম আমারে ডুবাইয়া।।
    মা’র কাছে মার খেয়ে শিশু যেমন মাকে ডাকে
    যত দাও দুখ শোক, ডাকি ততই তোমাকে,
    জানি শুধু তুমি আছ, আসিবে আমার ডাকে –
    তোমারি এ তরী প্রভু, তুমি চল বাহিয়া।।
    
  • দাও শৌর্য দাও ধৈর্য্য

    বাণী

    দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য্য, হে উদার নাথ,
    			দাও প্রাণ।
    দাও অমৃত মৃত জনে,
    দাও ভীত –চিত জনে, শক্তি অপরিমাণ।
    			হে সর্বশক্তিমান।।
    দাও স্বাস্থ্য, দাও আয়ু,
    স্বচ্ছ আলো, মুক্ত বায়ু,
    দাও চিত্ত অ–নিরুদ্ধ, দাও শুদ্ধ জ্ঞান।
    			হে সর্বশক্তিমান।।
    দাও দেহে দিব্য কান্তি,
    দাও গেহে নিত্য শান্তি,
    দাও পুণ্য প্রেম ভক্তি, মঙ্গল কল্যাণ।
    ভীতি নিষেধের ঊর্ধে স্থির,
    রহি যেন চির — উন্নত শির
    যাহা চাই যেন জয় করে পাই, গ্রহণ না করি দান।
    			হে সর্বশক্তিমান।।
    
  • দাঁড়ালে দুয়ারে মোর

    বাণী

    		দাঁড়ালে দুয়ারে মোর		কে তুমি ভিখারিনী।
    		গাহিয়া সজল চোখে		বেলা-শেষের রাগিণী॥
    		মিনতি-ভরা আঁখি			ওগো কে তুমি ঝড়ের পাখি
    (ওগো)	কি দিয়ে জুড়াই ব্যথা		কেমনে কোথায় রাখি
    		কোন্ প্রিয় নামে ডাকি’		মান ভাঙাব মানিনী॥
    		বুকে তোমায় রাখতে প্রিয়	চোখে আমার বারি ঝরে,
    (ওগো)	চোখে যদি রাখিতে চাই		বুকে উঠে ব্যথা ভ’রে।
    		যত দেখি তত হায়,		ওগো পিপাসা বাড়িয়া যায়
    		কে তুমি যাদুকরী			স্বপন-মরু-চারিণী॥
    
  • দিকে দিকে পুন জ্বলিয়া উঠেছে

    বাণী

    দিকে দিকে পুন জ্বলিয়া উঠেছে দীন-ই-ইসলামী লাল মশাল।
    ওরে বে-খবর, তুইও ওঠ্‌ জেগে, তুইও তোর প্রাণ-প্রদীপ জ্বাল।।
    গাজী মুস্তফা কামালের সাথে জেগেছে তুর্কী সুর্খ-তাজ,
    রেজা পহ্‌লবী-সাথে জাগিয়াছে বিরান মুলুক ইরানও আজ
    গোলামী বিসরি’ জেগেছে মিসরী, জগলুল-সাথে প্রাণ-মাতাল।।
    ভুলি’ গ্লানি লাজ জেগেছে হেজাজ নেজদ্‌ আরবে ইবনে সউদ্‌
    আমানুল্লার পরশে জেগেছে কাবুলে নবীন আল-মামুদ,
    মরা মরক্কো বাঁচাইয়া আজি বন্দী করিম রীফ্‌-কামাল।।
    জাগে ফয়সল্‌ ইরাক আজমে, জাগে নব হারুন-আল্‌-রশীদ,
    জাগে বয়তুল মোকাদ্দস্‌ রে; জাগে শাম দেখ্‌ টুটিয়া নিদ
    জাগে না কো শুধু হিন্দের দশ কোটি মুসলিম বে-খেয়াল।।
    মোরা আস্‌হাব কাহাফের মত হাজারো বছর শুধু ঘুমাই,
    আমাদেরি কেহ ছিল বাদশাহ্‌ কোন কালে; তার করি বড়াই,
    জাগি যদি মোরা, দুনিয়া আবার কাঁপিবে চরণে টাল্‌মাটাল।।
    
  • দিনের সকল কাজের মাঝে তোমায় মনে পড়ে

    বাণী

    দিনের সকল কাজের মাঝে
    		তোমায় মনে পড়ে।
    কাজ ভুলে যাই (আমি), মন চ’লে যায়
    		সুদূর দেশান্তরে।।
    	তুলসী তলায় দীপ জ্বালিয়ে
    	দূর আকাশে রই তাকিয়ে,
    সাঁঝের ঝরা ফুলের মতো অশ্রু বারি ঝরে।।
    আঁধার রাতে বাতায়নে একলা ব’সে থাকি,
    চাঁদকে শুধায় তোমার কথা ঘুমহারা মোর আঁখি।
    	প্রভাত বেলায় গভীর ব‍্যথায়
    	মন কেঁদে কয় তুমি কোথায়,
    শূন্য লাগে এ তিন ভুবন প্রিয় তোমার তরে।।