ইসলামী

  • নামাজ রোজা হজ্জ-যাকাতের পসারিণী আমি

    বাণী

    নামাজ রোজা হজ্জ-যাকাতের পসারিণী আমি
    নবীর কল্‌মা হেঁকে ফিরি পথে দিবস-যামী।।
    আমার নবীজির পিয়ারি আয়রে ছুটে মুসলিম নারী,
    দ্বীনের সওদা করবি কে আয় আয় রে মুক্তিকামী।।
    জন্ম আমার হাজার বছর আগে আরব দেশে
    সারা ভুবন ঠাঁই দিয়েছে আমায় ভালোবেসে।
    আমার আজান ধ্বনি বাজে — কুল মোমিনের বুকের মাঝে
    আমি নবীর মানস কন্যা আল্লাহ্‌ মোর স্বামী।।
    
  • নামাজী তোর নামাজ হলো রে ভুল

    বাণী

    নামাজী, তোর নামাজ হলো রে ভুল।
    মসজিদে তুই রাখিরি সিজ্‌দা, ছাড়ি ইমানের মূল॥
    	নামাজে সামিল হয়ে জামাতের,
    	আউড়ালি মুখে সুরা কোরানের,
    ভাব্‌লি কি তুই পার হয়ে গেলি, পুলসেরাতের পুল॥
    আজ মিলন তীর্থে বাঁধ রে কাতার মনের জায়নামাজে,
    সেই আরফাতে তোর নুয়ে দে দিল না ফরমানি লাজে,
    	ওজু করে ফের তৌবার নীরে,
    	তহরিম বাঁধ ভীতু নত শিরে,
    বন্দেগী তোর কবুল হবে রে, কিয়ামতে পাবি কূল ॥
    
  • নিখিল ঘুমে অচেতন সহসা শুনিনু আজান

    বাণী

    নিখিল ঘুমে অচেতন সহসা শুনিনু আজান
    শুনি’ সে তকবিরের ধ্বনি আকুল হল মন-প্রাণ
    বাহিরে হেরিনু আসি বেহেশতী রৌশনীতে রে
    ছেয়েছে জমিন ও আসমান
    আনন্দে গাহিয়া ফেরে ফেরেশ্‌তা হুর গেলেমান —
    এলো কে, কে এলো ভুলোকে! দুনিয়া দুলিয়া উঠিল পুলকে।।
    তাপীর বন্ধু, পাপীর ত্রাতা, ভয়-ভীত পীড়িতের শরণ-দাতা
    মুকের ভাষা নিরাশার আশা, ব্যথার শান্তি, সান্ত্বনা শোকে
    এলো কে ভোরের আলোকে।।
    দরুদ পড় সবে : সাল্লে আলা, মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা।
    কেহ বলে, এলো মোর কম্‌লিওয়ালা — খোদার হাবীব কেহ কয় নিরালা
    মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা।
    কেহ বলে, আহমদ নাম মধু ঢালা — মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লে আলা।
    মজনুঁরও চেয়ে হল দীওয়ানা সবে, নাচে গায় নামের নেশায় ঝোঁকে।।
    
  • নিশিদিন জপে খোদা দুনিয়া

    বাণী

    নিশিদিন জপে খোদা দুনিয়া জাহান — জপে তোমারি নাম।
    তারায় গাঁথা তস্‌বি ল’য়ে নিশীতে আসমান — জপে তোমারি নাম।।
    	ফুলের বনে নিতি গুঞ্জরিয়া
    	ভ্রমর বেড়ায় তব নাম জপিয়া,
    হাতে ল’য়ে ফুলকুঁড়ির তস্‌বি ফুলের বাগান — জপে তোমারি নাম।।
    	সাঁঝ সকালে কোকিল পাপিয়া
    	মধুর তব নাম ফেরে গাহিয়া,
    ছল ছল সুরে ঝর্নার ধারা নদীর কলতান — জপে তোমারি নাম।।
    	বৃষ্টি ধারার তস্‌বি ল’য়ে
    	তব নাম জপে মেঘ ব্যাকুল হয়ে,
    সাগর-কল্লোল, সমীর-হিল্লোল বাদল ঝড়-তুফান — জপে তোমারি নাম।।
    
  • নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী

    বাণী

    নীল কবুতর লয়ে নবীর দুলালী মেয়ে খেলে মদিনায়
    দেহের জ্যোতিতে তার জাফরানি পিরহান ম্লান হয়ে যায়॥
    	মুখে তার নবীজীর মুখেরি আদল
    	আঁখি দুটি করুণায় সদা ঢল ঢল,
    মেষ শাবকেরে ধরি মধুর মিনতি করি কলেমা শোনায়॥
    জুম্মার মস্‌জিদে কোন্ সে ভক্ত পড়ে কোরান আয়াত,
    অমনি সে খেলা ভুলি কচি দুটি হাত তুলে করে মোনাজাত।
    	নীল দরিয়ার পানি নয়নে বহে
    	‘উম্মতে কর ত্রাণ’ কাঁদিয়া কহে
    হজরত কোলে তুলে ‘বেহেশ্‌ত্‌ রানী তুমি’ বলে ফাতেমায়॥
    
  • নূরের দরিয়ায় সিনান করিয়া

    বাণী

    নূরের দরিয়ায় সিনান করিয়া কে এলো মক্কায় আমিনার কোলে
    ফাগুন-পূর্ণিমা-নিশীথে যেমন আস্‌মানের কোলে রাঙা চাঁদ দোলে।।
    	কে এলো কে এলো গাহে কোয়েলিয়া,
    	পাপিয়া বুল্‌বুল্‌ উঠিল মাতিয়া,
    গ্রহতারা ঝুঁকে করিছে কুর্নিশ হুরপরী হেসে পড়িছে ঢ’লে।।
    	জিন্নাতের আজ খোলা দরওয়াজা পেয়ে
    	ফেরেশ্‌তা আম্বিয়া এসেছে ধেঁয়ে
    	তাহ্‌রীমা বেঁধে ঘোরে দরুদ গেয়ে
    	দুনিয়া টলমল্‌, খোদার আরশ টলে।।
    	এলো রে চির-চাওয়া এলো আখেরি নবী
    	সৈয়দে মক্কী মদনী আল্‌-আরবি,
    	নাজেল হয়ে সে যে ইয়াকুত-রাঙা ঠোঁটে
    	শাহ্‌দতের বাণী আধো আধো বোলে।।
    

  • পাঠাও বেহেশ্‌ত হ’তে হজরত্

    বাণী

    	পাঠাও বেহেশ্‌ত হ’তে হজরত্ পুন সাম্যের বাণী,
    (আর)	দেখিতে পারি না মানুষে মানুষে এই হীন হানাহানি।।
    		বলিয়া পাঠাও, হে হজরত
    		যাহারা তোমার প্রিয় উম্মত,
    	সকল মানুষে বাসে তা’রা ভালো খোদার সৃষ্টি জানি’ —
    			সবারে খোদারই সৃষ্টি জানি।।
    	আধেক পৃথিবী আনিল ঈমান (তোমার) যে উদারতা-গুণে,
    	শিখিনি আমরা সে-উদারতা, (কোরানে হাদিসে) কেবলি গেলাম শুনে’।
    		তোমার আদেশ অমান্য ক’রে
    		লাঞ্ছিত মোরা ত্রিভুবন ভ’রে,
    	আতুর মানুষে হেলা ক’রে বলি, ‘আমরা খোদারে মানি’।।
    
  • পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া

    বাণী

    		পুবান হাওয়া পশ্চিমে যাও কাবার পথে বইয়া
    		যাও রে বইয়া এই গরিবের সালামখানি লইয়া।।
    		কাবার জিয়ারতের আমার নাই সম্বল ভাই
    		সারা জনম সাধ ছিল যে মদিনাতে যাই (রে ভাই)
    		মিটল না সাধ, দিন গেল মোর দুনিয়ার বোঝা বইয়া।।
    (তোমার)	পানির সাথে লইয়া যাও রে আমার চোখের পানি
    		লইয়া যাও রে এই নিরাশের, দীর্ঘ নিশাসখানি।
    		নবীজীর রওজায় কাঁদিও ভাই রে আমার হইয়া।।
    		মা ফাতেমা হজরত আলীর মাজার যথায় আছে
    আমার	সালাম দিয়া আইস তাদের পায়ের কাছে (রে ভাই!)
    		কাবায় মোনাজাত করিও আমার কথা কইয়া।।
    
  • প্রিয় মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত

    বাণী

    প্রিয়	মুহরে-নবুয়ত-ধারী হে হজরত
    		(প্রিয়) তারিতে উম্মত এলে ধরায়
    	মোহাম্মদ মোস্তফা, আমহদ মুরতজা
    		নাম জপিতে নয়নে আঁসু ঝরায়।।
    দিলে 	মুখে তক্‌বির, দিলে বুকে তৌহিদ
    দিলে 	দুঃখেরই সান্ত্বনা খুশির ঈদ
    দিলে 	প্রাণে ঈমান, দিলে হাতে কোরআন
    		শিরে শিরতাজ নাম মুসলিম আমায়।।
    তব	সব নসিহত মোরা গিয়াছি ভুলে
    শুধু	নাম তব আছে জেগে প্রাণের কূলে
    	ও-নামে এ প্রাণ-সিন্ধু তব দুলে
    		আমি ঐ নামে ত’রে যাব, আছি আশায়।।
    

  • ফিরদৌসের শিরনি এলো

    বাণী

    	ফিরদৌসের শিরনি এলো ঈদের চাঁদের তশতরিতে।
    	লুট ক’রে নে বনি আদম ফেরেশ্‌তা আর হুরপরীতে।।
    		চোখের পানি হারাম আজি
    		চলুক খুশির আতস বাজি,
    (তার)	মউজ লাগুক দূর সেতারা জোহরা আর মোশ্‌তরিতে।।
    	দুশমনে আজ দোস্ত মেনে নে তারে তুই বক্ষে টেনে
    	হস্‌নে নারাজ দরাজ হাতে দৌলত তোর বিলিয়ে দিতে।।
    
  • ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস

    বাণী

    ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
    আজ বাদে কাল ঈদ তবু মন করে উদাস।।
    রোজা রেখেছিলি, হে পরহেজগার মোমিন!
    ভুলেছিলি দুনিয়াদারি রোজার তিরিশ দিন;
    তরক করেছিলি তোরা কে কে ভোগ-বিলাস।।
    সারা বছর গুনাহ যত ছিল রে জমা,
    রোজা রেখে খোদার কাছে পেলি সে ক্ষমা,
    ফেরেশতা সব সালাম করে কহিছে সাবাস।।
    

    নাটিকাঃ ‘ঈদল ফেতর’

  • ফুলে পুছিনু বল বল ওরে ফুল

    বাণী

    ফুলে পুছিনু, বল, বল ওরে ফুল!
    কোথা পেলি এ সুরভি, রূপ এ অতুল?
    ‌'যার রূপে উজালা দুনিয়া, কহে গুল,
    দিল সেই মোরে এই রূপ এই খোশবু।
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    'ওরে কোকিল, কে তোরে দিল এ সুর,
    কোথা পেলি পাপিয়া এ কন্ঠ মধুর?
    কহে কোকিল পাপিয়া, আল্লাহ গফুর,
    তাঁরি নাম গাহি 'পিউ পিউ' কুহু কুহু —
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    'ওরে রবি-শশী, ওরে গ্রহ-তারা
    কোথা পেলি এ রওশনী জ্যোতি ধারা?'
    কহে, আমরা তাহারি রূপের ইশারা
    মুসা, বেহুঁশ হলো হেরি' যে খুবরু
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    যারে আউলিয়া আম্বিয়া ধ্যানে না পায়
    কূল-মখলুক যাঁহার মহিমা গায়,
    যে নাম নিয়ে এসেছি এইদুনিয়ায়,
    নাম নিতে নিতে মরি এই আরজু
    		আল্লাহু আল্লাহু।।
    
  • ফোরাতের পানিতে নেমে

    বাণী

    ফোরাতের পানিতে নেমে 
    ফাতেমা দুলাল কাঁদে অঝোর নয়নে রে।।
    দু'হাতে তুলিয়া পানি 
    ফেলিয়া দিলেন অমনি — পড়িল কি মনে রে।।
    দুধের ছাওয়াল আসগর এই পানি চাহিয়ে রে,
    দুশ্‌মনের তীর খেয়ে বুকে ঘুমাল খুন পিয়ে রে;
    শাদীর নওশা কাশেম শহীদ এই পানি বিহনে রে।।
    এই পানিতে মুছিল রে হাতের মেহেদী সকিনার,
    এই পানিরই ঢেউয়ে ওঠে, তারি মাতম্‌ হাহাকার;
    শহীদানের খুন মিশে আছে, এই পানিরই সনে রে।।
    বীর আব্বাসের বাজু শহীদ হ'ল এরি তরে রে,
    এই পানির বিহনে জয়নাল খিয়াম তৃষ্ণায় মরে রে;
    শোকে শহীদ হ'লেন হোসেন জয়ী হয়েও রণে রে।। 
    
  • বক্ষে আমার কাবার ছবি

    বাণী

    বক্ষে আমার কাবার ছবি চক্ষে মোহাম্মদ রসুল।
    শিরোপরি মোর খোদার আরশ গাই তাঁরি গান পথ বেভুল।।
    লায়লী প্রেমে মজনু পাগল আমি পাগল লা-ইলা’র,
    প্রেমিক দরবেশ আমায় চেনে অরসিকে কয় বাতুল।।
    হৃদয়ে মোর খুশির বাগান বুলবুলি তায় গায় সদাই,
    ওরা খোদার রহম মাগে আমি খোদার ইশ্‌ক্‌ চাই।
    আমার মনের মস্‌জিদে দেয় আজান হাজার মোয়াজ্জিন
    প্রাণের ‘লওহে’ কোরান লেখা রুহ্‌ পড়ে তা রাত্রি দিন।
    খাতুনে জিন্নত মা আমার হাসান হোসেন চোখের জেল,
    ভয় করি না রোজ-কেয়ামত পুল সিরাতের কঠিন পুল।।
    
  • বহে শোকের পাথার আজি সাহারায়

    বাণী

    বহে শোকের পাথার আজি সাহারায়।
    নবীজী নাই-উঠ্‌ল মাতম মদিনায়।।
    	আঁখি-প্রদীপ এই ধরনীর
    	গেল নিভে ঘির্‌ল তিমির,
    দীনের রবি মোদের নবী চায় বিদায়।
    সইল না রে বেহেশ্‌তী দান দুনিয়ায়।।
    	না পূরিতে সাধ-আশা
    	না মিটিতে তৌহিদ-পিপাসা,
    যায় চ’লে দীনের শাহানশাহ্ — হায় রে হায়,
    সেই শোকেরি তুফান বহে ‘লু’ হাওয়ায়।।
    বেড়েছে আজ দ্বিগুণ পানি দজ্‌লা ফোরাত নদীতে,
    তূর ও হেরা পাহাড় ফেটে অশ্রু-নিঝর ব’য়ে যায়।
    ধরার জ্যোতি হরণ ক’রে উজল হ’ল ফের বেহেশত্
    কাঁদে পশু-পাখি ও তরুলতায়,
    সেই কাঁদনের স্মৃতি দোলে দরিয়ায়।।
    
  • বাজল কি রে ভোরের সানাই

    বাণী

    বাজ্‌ল কি রে ভোরের সানাই নিদ্‌-মহলার আঁধার-পুরে
    শুন্‌ছি আজান গগন-তলে আঁধার-রাতের মিনার-চূড়ে।।
    সরাই-খানার্‌ যাত্রীরা কি
    ‘বন্ধু জাগো’ উঠ্‌ল হাঁকি’?
    নীড় ছেড়ে ঐ প্রভাত-পাখি
    			গুলিস্তানে চল্‌ল উড়ে’।।
    তীর্থ-পথিক্‌ দেশ-বিদেশের
    আর্‌ফাতে আজ জুট্‌ল কি ফের,
    ‘লা শরীক আল্লহু’ মন্ত্রের
    			নাম্‌ল কি বান পাহাড় ‘তূরে’।।
    আজকে আবার কা’বার পথে
    ভিড় জমেছে প্রভাত হ’তে,
    নামল কি ফের্ হাজার স্রোতে
    			‘হেরার’ জ্যোতি জগৎ জুড়ে।।
    আবার ‘খালেদ’ ‘তারেক’ ‘মুসা’
    আনল কি খুন-রঙিন ভূষা,
    আস্‌ল ছুটে’ হাসীন ঊষা
    			নও-বেলালের শিঁরিন সুরে।।
    
  • ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে

    বাণী

    ভেসে যায় হৃদয় আমার মদিনা পানে।
    আসিলেন রসুলে-খোদা প্রথম যেখানে।।
    উঠিল যেখানে রণি’, প্রথম তকবির ধ্বনি
    লভিনু মণির খনি যথায় কোরানে।।
    যথা হেরা গুহার আঁধারে প্রথম
    ইসলামের জ্যোতি লভিল জনম,
    করে অঝোর ধারায় যথা খোদার রহম,
    ভাসিল নিখিল ভুবন যাহার তুফানে।।
    লাখো আম্বিয়া আউলিয়া বাদশা ফকির
    যথা যুগে যুগে আসি’করিল ভিড়
    তারি ধূলাতে লুটাবো আমি নোয়া’ব শির;
    নিশিদিন শুনি তাঁরি ডাক আমার পরানে।।
    
  • ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির

    বাণী

    ভোর হোল ওঠ্ জাগ্ মুসাফির আল্লা-রসুল বোল্‌
    গাফ্‌লিয়াতি ভোল্ রে অলস্ আয়েশ আরাম্ ভোল্॥
    	এই দুনিয়ার সরাইখানায়
    	জনম্ গেল ঘুমিয়ে হায়
    ওঠ রে সুখ-শয্যা ছেড়ে মায়ার বাঁধন খোল্॥
    দিন ফুরিয়ে এলো যে রে দিনে দিনে তোর
    দীনের কাজে অবহেলা কর্‌লি জীবন ভোর।
    	যে দিন আজো আছে বাকি
    	খোদারে তুই দিস্‌নে ফাঁকি
    আখেরে পার হবি যদি পুল্ সেরাতের পোল্॥
    
  • মদিনায় যাবি কে আয় আয়

    বাণী

    	মদিনায় যাবি কে আয় আয়।
    উড়িল নিশান দিনের বিষাণ বাজিল যাহারে দরওয়াজায়।।
    	হিজরাত ক’রে যে দেশে
    	ঠাঁই পেলেন হজরত এসে
    	খেলিতেন যথায় হেসে 
    	হাসান হোসেন ফাতেমায়।।
    হজরতের চার আসহাব যথা করলেন খেলাফত,
    মসজিদে যাঁর প্রিয় মোহাম্মদ করতেন এবাদত;
    ফুটল যথায় প্রথম ধীর খালেদের হিম্মত,
    খোশ এলেহান দিতেন আজান বেলাল যথায়।।
    	যার পথের ধূলির মাঝে
    	নবীজীর চরণের ছোঁয়া বাজে,
    	তৌহিদেরি ধ্বনি বাজে
    	যার আসমানে, যার লু হাওয়ায়।।
    
  • মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী

    বাণী

    মদিনার শাহানশাহ্ কোহ্-ই-তূর-বিহারী
    মোহাম্মদ মোস্তফা নবুয়তধারী॥
    আল্লার প্রিয় সখা, দুলাল মা আমেনার
    খাদিজার স্বামী, প্রিয়তম আয়েশার
    আস্‌হাবের হাম্‌দম্‌, ওয়ালেদ ফাতেমার,
    বেলালের আজান, খালেদের তলোয়ার,
    কেয়ামতে উম্মত শাফায়ত-কারী॥
    তৌহিদ-বাণী মুখে, আল-কোরআন হাতে
    খোদার নূর দেখি যাঁর হাসির ইশারাতে
    যাঁর কদমের নীচে দুলে কত জিন্নাত,
    যে দু’হাতে বিলালো দুনিয়ায় খোদার মোহাব্বত
    হো মেরাজের দুলহা আল্লার আর্শচারী॥
    নয়নে যাঁর সদা খোদার রহমত ঝরে
    সংসার মরুবাসী পিয়াসার তরে
    আনিল যে কওসর সাহারা নিঙাড়ি’॥