কীর্তন

  • সখি সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল

    বাণী

    সখি, সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল আবার মাধবীলতা।
    মাধবী চাঁদ উঠেছে আকাশে, আমার মাধব কোথা।
    রাধা আজ নিরাধারা সখি রাধামাধব কোথা।
    মধুপ গুঞ্জরে মালতী-বিতানে, নূপুর-গুঞ্জরণ নাহি শুনি কানে।
    মোর মনো-মধুবনে মধুপ কানু কই –
    আনন্দ-রাস নাই – রাসবিহারী নাই, আমি আর রাধা নই।
    সখি পূর্ণ রাসে আমি জনম লভিয়া পুষ্প আহরণ তরে,
    কৃষ্ণ-পূজার লাগি পুষ্প আহরণ তরে ধেয়েছিনু বনে অনুরাগ ভরে,
    বৃন্দাবনচারী কৃষ্ণে না পেয়ে, রাধা কাঁদে ব্রজ-পথে ধেয়ে ধেয়ে –
    ‘প্রাণবল্লভ আমার কই গো, সখি আমায় বলে দে গো।’
    রাধা হ’ল আজি অশ্রুর ধারা
    কৃষ্ঞ-আনন্দিনী রাধা বিনোদিনী কবে হবে শ্রীকৃষ্ণ-হারা।।
    
  • সুবল সখা এই দেখ্ এই পথে

    বাণী

    সুবল সখা! এই দেখ্ এই পথে তাহার, সোনার নূপুর আছে পড়ে,
    	বৃন্দাবনের বনমালী গেছে রে ইে পথ ধরে।
    	হরি চন্দন গন্ধ পথে পথে পাই
    	ঝরা ফুলে ছেয়ে আছে বনবীথি তাই।
    	ভ্রমে ভ্রমর শ্রীচরণ-চিহ্ন ঘিরে
    	রাঙ্গা কমল ভ্রমে, ভ্রমে শ্রীচরণ-চিহ্ন ঘিরে।
    	ভাসে বাঁশির বেদন তার মৃদু সমীরে।
    	তারে খুঁজবো কোথায় — সেই চোরের রাজায় খুঁজবো কোথায়?
    	তারে খুঁজলে বনে, মনে লুকায়, চোরের রাজায় খুঁজবো কোথায়?
    	সুবল রে —
    	শ্রীদাম দেখেছে তারে রাখাল দলে,
    	গোপিনীরা দেখিয়াছে যমুনা-জলে।
    	বাঁশরি দেখেছে তারে কদম শাখায়
    	কিশোরী দেখেছে তারে ময়ূর পাখায়।
    	বৃন্দা এসেছে দেখে রাজা মথুরায়,
    	যশোদানন্দ বলে কোলে সে ঘুমায়।
    	জানি না কোথায় সে দে রে দেখায়ে দে কোথা ঘনশ্যাম
    	কবে বুকে পাব তারে, মুখে জপি যাঁর নাম।।
    
  • হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম

    বাণী

    নারদ	:	হৃদি-পদ্মে চরণ রাখো বাঁকা ঘনশ্যাম।
    ধ্রুব	:	বাঁকা শিখী-পাখা নয়ন বাঁকা বঙ্কিম ঠাম॥
    নারদ	:	তুমি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে!
    ধ্রুব	:	অধরে মুরলী ধরি দাঁড়ায়ো ত্রিভঙ্গে॥
    নারদ	:	সোনার গোধূলি যেন নিবিড় সুনীল নভে
    		পীতধড়া প’রো কালো অঙ্গে (হরি হে)
    ধ্রুব	:	নীল কপোত সম চরণ দুটি
    		নেচে যাক অপরূপ ভঙ্গে (হরি হে)
    উভয়	:	যেন নূপুর বাজে
    		হরি সেই পায়ে যেন নূপুর বাজে।
    		বনে নয় শ্যাম মনোমাঝে যেন নূপুর বাজে।
    		ঐ চরণে জড়ায়ে পরান আমার
    		(যেন) মঞ্জির হয়ে বাজে॥
    

    চলচ্চিত্রঃ ‘ধ্রুব’ (ধ্রুব ও নারদের গান)

  • হের আহিরিণী মানস-গঙ্গা

    বাণী

    কৃষ্ণ	: হের আহিরিণী মানস-গঙ্গা দুকূল পাথার।
    রাধা	: হরি ভয়ে মরি একা নারী কিসে হব পার।।
    কৃষ্ণ	: পারের কাণ্ডারি আমি প্যারী এসো আমার নায়।
    রাধা	: ওগো একেলা গোপের কুলবধু আমি, তুমিও তরুণ মাঝি তায়।।
    কৃষ্ণ	: যৌবন ভার ভারি পসার রাধে! তবু নাহি ভয়।
    রাধা	: ওইটুকু তরী, ভয়ে মরি হরি, ভার যদি নাহি সয়।
    উভয়ে	: হের মানস-গঙ্গায় উঠিয়াছে ঢেউ ঝড় বহে অনিবার।।
    রাধা	: নাই পারের কড়ি পারে যাব কি করি,
    কৃষ্ণ	: দিয়ে মন বাঁধা পারে চল কিশোরী।
    উভয়ে	: মোরা ভেসেছি অকূলে প্রেমের গোকুলে কুলের ভয় কি আর।।