নৃত্য-সম্বলিত

  • বেল ফুল এনে দাও চাই না বকুল

    বাণী

    বেল ফুল এনে দাও চাই না বকুল
    চাই না হেনা, আনো আমের মুকুল।।
    গোলাপ বড় গরবী এনে দাও করবী
    চাইতে যূথী আন টগর — কি ভুল।।
    কি হবে কেয়া, দেয়া নাই গগনে;
    আনো সন্ধ্যামালতী গোধূলি-লগনে।
    গিরি-মল্লিকা কই’ চামেলি পেয়েছে সই
    চাঁপা এনে দাও, নয় বাঁধব না চুল।।
    
  • মদির আবেশে কে চলে ঢুলুঢুলু আঁখি

    বাণী

    মদির আবেশে কে চলে ঢুলুঢুলু আঁখি।
    			মদির কার আঁখি
    হেরিয়া পাপিয়া উঠিছে পিউ পিউ ডাকি’।।
    আল্‌তা-রাঙা পায়ে আল্পনা আঁকে,
    পথের যত ধূলি তাই বুক পেতে থাকে,
    দু’ধারে তরুলতা দেয় চরণ ফুলে ফুলে ঢাকি’।।
    তা’রি চোখের চাওয়ায় গো দেলা লাগে হাওয়ায়,
    তালীবন তাল দিয়ে যায় তাল-ফের্‌তায় দোলা লাগে হাওয়ায়।
    আকুল তানে গাহে বকুল-বনের পাখি।।
    তারি মুখ-মদের ছিটে যোগায় ফুলে মধু মিঠে
    চাঁদের জৌলুসে তাহারি রওশন্‌ মাখি’।।
    
  • মিনতি রাখো রাখো পথিক থাকো থাকো

    বাণী

    মিনতি রাখো রাখো পথিক থাকো থাকো,
    	এখনি যেয়ো না গো, না না না।
    ক্ষণিক অতিথি বিদায়ের গীতি
    	এখনি গেয়ো না গো, না না না।।
    চৈতী পূর্ণিমা চাঁদের তিথি,
    পুষ্প পাগল এ বনবীথি,
    ধূলায় ছেয়ো না গো, না না না।।
    বলি বলি ক'রে হয়নি যা বলা,
    যে কথা ভরিয়াছিল বুকের তলা;
    সে কথা না শুনে সুন্দর অতিথি হে
    	যেতে চেয়ো না গো, না না না।।
    
  • মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে নেচে যায়

    বাণী

    মোমের পুতুল মমীর দেশের মেয়ে নেচে যায়।
    	বিহবল–চঞ্চল–পায়।।
    	খর্জুর–বীথির ধারে
    	সাহারা মরুর পারে
    বাজায় ঘুমুর ঝুমুর ঝুমুর মধুর ঝঙ্কারে।
    	উড়িয়ে ওড়না ‘লু’ হাওয়ায়
    	পরী–নটিনী নেচে যায়
    	দুলে দুলে দূরে সুদূর।।
    সুর্মা–পরা আঁখি হানে আস্‌মানে,
    জ্যোৎস্না আসে নীল আকাশে তার টানে।
    	ঢেউ তুলে নীল দরিয়ায়
    	দিল–দরদী নেচে যায়
    	দুলে দুলে দূরে সুদূর।।
    
  • যায় ঝিলমিল্ ঝিলমিল্ ঢেউ তুলে

    বাণী

    যায়	ঝিল্‌মিল্ ঝিল্‌মিল্ ঢেউ তুলে দেহের কূলে
    	কে চঞ্চলা দিগঞ্চলা মেঘ-ঘন-কুন্তলা।
    	দেয় দোলা পুব-সমীরণে বনে বনে দেয় দোলা।।
    	চলে নাগরি দোলে ঘাগরি
    	কাঁখে বরষা-জলের গাগরি
    	বাজে নূপুর-সুর-লহরি
    	রিমি ঝিম্‌, রিম ঝিম্, রিম ঝিম্‌ চল-চপলা।।
    	দেয়ারই তালে কেয়া কদম নাচে
    	ময়ূর-ময়ূরী নাচে তমাল-গাছে।
    	এলায়ে মেঘ-বেণী কাল-ফণি
    	আসিল কি দেব-কুমারী নন্দন-পথ-ভোলা।।
    

  • রেশমি চুড়ির তালে

    বাণী

    রেশমি চুড়ির তালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে
    ‘পিউ কাহাঁ পিউ কাহাঁ’ ডেকে ওঠে পাপিয়া।।
    	আঙিনায় ফুল-গাছে
    	প্রজাপতি নাচে,
    ফেরে মুখের কাছে আদর যাচিয়া।।
    	দুলে দুলে বনলতা
    	কহিতে চাহে কথা,
    বাজে তারি আকুলতা — কানন ছাপিয়া।।
    	শ্যামলী-কিশোরী মেয়ে
    	থাকে দূর নভে চেয়ে,
    কালো মেঘ আসে ধেয়ে — গগন ব্যাপিয়া।।
    
  • সখি বাঁধো লো বাঁধো লো

    বাণী

    সখি বাঁধো লো বাঁধো লো ঝুলনিয়া।।
    নামিল মেঘলা ঘোর বাদরিয়া।।
    চল কদম তমাল তলে গাহি কাজরিয়া
    চল লো গৌরী শ্যামলিয়া।।
    বাদল-পরীরা নাচে গগন-আঙিনায়,
    ঝমাঝম বৃষ্টি-নূপুর পায়।
    শোনো ঝমঝম বৃষ্টি নূপুর পায়
    এ হিয়া মেঘ হেরিয়া ওঠে মাতিয়া।।
    মেঘ-বেণীতে বেঁধে বিজলি-জরীন্‌ ফিতা,
    গাহিব দু’লে দু’লে শাওন-গীতি কবিতা,
    শুনিব বঁধুর বাঁশি বন-হরিণী চকিতা,
    দয়িত-বুকে হব বাদল-রাতে দয়িতা।
    পর মেঘ-নীল শাড়ি ধানী-রঙের চুনরিয়া,
    কাজলে মাজি’ লহ আঁখিয়া।।
    
  • সুরের ধারার পাগল-ঝোরা

    বাণী

    সুরের ধারার পাগল-ঝোরা নামিল সখি মোর পরানে।
    	ভরি’ মোর নিশীথ নিঝুম,
    	বাজে নূপুর কার রুমুঝুম,
    	মোর চোখে নাহি ঘুম —
    পাষাণ টুটে লো যায় ছুটে মন-তটিনী মোর সাগর পানে।।
    পান্‌সে চাঁদের জোছনাতে ঐ বেলের কুঁড়ি মুঞ্জরে,
    মন যেতে চায় ফুল-বিছানো বকুল-বীথির পথ ধ’রে।
    	আজ চাইবে যে, দিব তাকে
    	সেই ফুল ছুঁয়ে এই আপনাকে,
    অরুণ-রাগে হৃদয় জাগে, ভাসিয়া যাব নৃত্যে গানে।।
    
  • হরি নাচত নন্দদুলাল

    বাণী

    (হরি) নাচত নন্দদুলাল
    শ্যামল সুন্দর মদন মনোহর
    নওল কিশোর কানাইয়া গোপাল।
    নাচত গিরিধারী ময়ূর মুকুট পরি
    দিকে দিকে ছন্দ আনন্দ পড়িছে ঝরি
    নাচে গোপী সখা বংশীওয়ালা হরি
    রুনুঝুনু বাজওত ঘুঙ্গুর তাল।
    

    নাটিকাঃ ‘মীরাবাঈ’