বাণী

লুকোচুরি খেলতে হরি হার মেনেছ আমার সনে
লুকাতে চাও বৃথা হে শ্যাম, ধরা পড় ক্ষণে ক্ষণে।।
গহন মেঘে লুকাতে চাও অম্‌নি রাঙা, চরণ লেগে
যে পথে ধাও সে পথ ওঠে ইন্দ্রধনুর রঙে রেঙে,
চপল হাসি চম্‌কে বেড়ায় বিজলিতে নীল গগনে।।
রবি-শশী-গ্রহ-তারা তোমার কথা দেয় প্রকাশি’
ঐ আলোতে হেরি তোমার তনুর জ্যোতি মুখের হাসি।
হাজার কুসুম ফুটে’ ওঠে লুকাও যখন শ্যামল বনে।
মনের মাঝে যেম্‌নি লুকাও, মন হয়ে যায় অম্‌নি মুনি,
ব্যথায় তোমার পরশ যে পাই, ঝড়ের রাতে বংশী শুনি
দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে লুকাও আমার এই নয়নে
দুষ্টু তুমি দৃষ্টি হয়ে থাক আমার এই নয়নে।।

বাণী

লক্ষ্মী মা তুই ওঠ্ গো আবার সাগর জলে সিনান করি’।
হাতে ল’য়ে সোনার ঝাঁপি, সুধার পাত্রে সুধা ভরি’।।
আন্ মা আবার আঁচলে তোর নবীন ধানের মঞ্জরি সে,
টুনটুনিতে ধান খেয়েছে, খাজনা মাগো দিব কিসে।
ডুবে গেছে সপ্ত-ডিঙা, রত্ন বোঝাই সোনার তরী।।
ক্ষীরোদ-সাগর-কন্যা যে তুই, খেতে দে ক্ষীর সর মা আবার,
পান্তা লবণ পায় না ছেলে, জননী তোর এ কোন বিচার?
কার কাছে মা নালিশ করি, অনন্ত শয়নে হরি।।
তোরও কি মা ধর্‌ল ঘুমে নারায়ণের ছোঁয়াচ লেগে,
বর্গী এল দেশে মাগো, খোকারা তোর কাঁদে জেগে।
এসে এবার ঘুম পাড়া মা, মাগো ভয়ে ক্ষিদেয় মরি।।
কোন্‌ দুখে তুই রইলি ভুলে বাপের বাড়ি অতল-তুলে,
ব্যথার সিন্ধু মন্থন শেষ, ভ’রল যে দেশ হলাহলে।
অমৃত এনে সন্তানে তোর, বাঁচা মা, তোর পায়ে ধরি।।

বাণী

লহ সালাম লহ, দ্বীনের বাদশাহ, জয় আখেরি নবী।
পীড়িত জনগণে মুক্তি দিতে এলে হে নবীকুলের রবি।।
	তুমি আসার আগে ধরার মজলুম
	করিত ফরিয়াদ, চোখে ছিল না ঘুম,
ধরার জিন্দানে, বন্দী ইনসানে আজাদি দিতে এলে হে প্রিয় আল-আরবি।।
	তব দামন ধরি’ যত গোনাহগার,
	মাগিল আশ্রয়, তুমিই করিবে পার।
	মানুষ ছিল আগে বন্য পশু প্রায়
	কাঁদিত পাপে তাপে অভাব ও বেদনায়,
শান্তি-দাতা রূপে সহসা এলে তুমি ফুটিল দুনিয়াতে নব বেহেশ্‌তের ছবি।।

বাণী

উপস্থাপকের বক্তব্যঃ [লেডিস্ এ্যান্ড জেন্টেল্‌ম্যান !
আজ আমাদের এই প্রীতি সম্মিলনে আপনারা যে অনুগ্রহ ক’রে যোগদান করেছেন, তার জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজকের অনুষ্ঠানে সর্ব প্রথমেই আপনাদের অভিবাদন করবেন লোক-প্রিয় হাস্যরসিক শ্রী রঞ্জিত রায়। তিনি পরিবেশন করবেন ‘নাচের চুম্বক’। অর্থাৎ প্রত্যেক শ্রেণীর নৃত্যের সারটুকু। ইয়েস্ রেড়ি বয়, ওয়ান ! টু !!]
লাম্ পম্ লাম্ পম্, লাম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্ পম্।
দুর্বল ডান্সের লম্-ফম্, ফম্ ঝম্-ফম্ ভুড়ি কম্‌-পম্
মারে ডম্‌ফাই দিল্লী বোম্বাই হনুলুলু হংকং॥
বাঁশের কঞ্চি এগার ইঞ্চি নাচে মেমের বোন্‌ঝি,
হ্যাঁদা-খ্যাঁদার পরান ছ্যাঁদা, ভিজল ঘামে গেঞ্জি,
	তার ভিজল ঘামে গেঞ্জি।
কেৎরে চক্ষু দেখে মট্‌কু, আরে ও-চামারু ছক্‌কু —
	সে চোম্‌ড়ায় দাড়ি গুম্‌ফম্॥
ল্যাংড়া-লেংড়ি হিল্লায় ঠেংরি, উস্‌খুস্‌, করে চ্যাংড়া-চেংড়ি।
যেন এই ট্যাংরার হাটে গল্‌দা চিংড়ি ঝুড়িতে খেলে পিং-পং॥