দুঃখ সাগর মন্থন শেষ ভারতলক্ষ্মী আয় মা আয়

বাণী

দুঃখ সাগর মন্থন শেষ ভারতলক্ষ্মী আয় মা আয়
কবে সে ডুবিলি অতল পাথারে উঠিলি না আর হায় মা হায়॥
	মন্থনে শুধু উঠে হলাহল
	শিব নাই পান কে করে গরল
অমৃত ভান্ড লয়ে আয় মাগো জ্বলিয়া মরি বিষের জ্বালায়॥
হরিৎ ক্ষেত্রে সোনার শস্যে দুলে না আর তোর আঁচল
শুকায়েছে মাগো মায়ের স্তন্য গাভীর দুগ্ধ নদীর জল।
	চাই না মোক্ষ চাই মা বাঁচিতে
	অক্ষয় আয়ু লয়ে ধরণীতে
চাই প্রাণ চাই ক্ষুধায় অন্ন মুক্ত আলোকে মুক্ত বায়॥

এ কোথায় আসিলে হায়

বাণী

এ কোথায় আসিলে হায়, তৃষিত ভিখারি।
হায়, পথ-ভোলা পথিক, হায়, মৃগ মরুচারী।।
	মোর ব্যথায় চরণ ফেলে
	চির-দেবতা কি এলে,
হায়, শুকায়েছে যবে মোর নয়নে নয়ন-বারি।।
তোমার আসার পথে প্রিয় ছিলাম যবে পরান পাতি’,
সেদিন যদি আসিতে নাথ হইতে ব্যথার ব্যথী।
ধোওয়ায়ে নয়ন-জলে পা মুছাতাম আকুল কেশে
আজ কেন দিন-শেষে এলে নাথ মলিন বেশে!
হায়, বুকে ল’য়ে ব্যথা আসিলে ব্যথা-হারী।।
স্মৃতির যে শুকানো মালা যতনে রেখেছি তুলি’
ছুঁয়ে সে হার ঝরায়ো না ম্লান তার কুসুমগুলি,
হায়, জ্বলুক বুকে চিতা, তা’য় ঢেলো না আর বারি।।

বন্ধু পথ চেয়ে চেয়ে

বাণী

বন্ধু	পথ চেয়ে চেয়ে
	আকাশের তারা পৃথিবীর ফুল গণি
বন্ধু	ফুল পড়ে ঝরে,তারা যায় মরে
	(ফিরে) এলো না হৃদয়-মণি।।
	কত নদী পেল খুঁজিয়া সাগর
	আমিই পাই না তোমার খবর
বন্ধু	সকলেরি চাঁদ ওঠে রে আমারি চির আঁধার রজনী।।
		যমুনার জলও শুকায় রে বন্ধু
		আমার শুকায় না আঁখি-বারি
	এত কান্দন কাঁদিলে গোকূলে হতাম-ব্রজ-কুমারী
		বন্ধু হতাম রাধা প্যারী।
	মহা পারাবার তারও আছে পার
	আমার দুখের পার নাহি আর
বন্ধু	মণি না পাইনু বৃথায় পুষিনু কাল-বিরহের ফণি
		পুষিনু কাল-বিরহের ফণি।।

আঁখি-বারি আঁখিতে থাক

বাণী

আঁখি-বারি আঁখিতে থাক, থাক ব্যথা হৃদয়ে।
হারানো মোর বুকের প্রিয়া রইবে চোখে জল হয়ে।।
	নিশি-শেষে স্বপন-প্রায়
	নিলে তুমি চির-বিদায়,
ব্যথাও যদি না থাকে হায়, বাঁচিব গো কি ল’য়ে।।
	ভালোবাসার অপরাধে
	প্রেমিক জনম জনম কাঁদে,
কুসুমে কীট বাসা বাঁধে শত বাধা প্রণয়ে।।
	আজকে শুধু করুণ গীতে
	কাঁদিতে দাও দাও কাঁদিতে,
আমার কাঁদন-নদীর স্রোতে বিরহের বাঁধ যাক ক্ষয়ে।।

ওরে দেখে যা তোরা নদীয়ায়

বাণী

ওরে দেখে যা তোরা নদীয়ায়
গোরার রূপে এলো ব্রজের শ্যামরায়॥
	মুখে হরি হরি বলে
	হেলে দুলে নেচে চলে
নরনারী প্রেমে গলে ঢলে পড়ে রাঙা পায়॥
ব্রজে নূপুর পরি নাচিত এমনি হরি
কূল ভুলিয়া সবে ছুটিত এমন করি
শচীমাতার রূপে কাঁদিছে মা যশোদা
বিষ্ণু প্রিয়ার চোখে কাঁদে কিশোরী রাধা
নহে নিমাই নিতাই ও যে কানাই বলাই
শ্রীদাম সুদাম এলো জগাই মাধাই-এ হায়॥
আজ এসেছে ভূবন ভুলাতে অসি নাই বাঁশি নাই
ও ভাই এবারে শূন্য হাতে এসেছে ভুবন ভুলাতে।
ও ভাই লীলা পাগল এলো প্রেমে মাতাতে
ডুবু ডুবু নদীয়া বিশ্ব ভাসিয়া যায়॥

আবার শ্রাবণ এলো ফিরে

বাণী

দ্বৈত	:	আবার শ্রাবণ এলো ফিরে তেমনি ময়ুর ডাকে,
		দোলনা কেন বাঁধলে না গো এবার কদম-শাখে।।
স্ত্রী	:	সঙ্গে ল'য়ে গোপ-গোপীরে
পুরুষ	:	ব্রজের কিশোর যাবে ফিরে
দ্বৈত	:	লীলা-কিশোর শ্যাম যে লীলা-সাথীর সাথে থাকে।।
দ্বৈত	:	দোলনা বেঁধে রইবো চেয়ে আমরা মেঘের পানে
		আয় ওরে আয়, নির্জন বনকে জাগাই সেই কাজরি গানে গানে।
স্ত্রী	:	বৃষ্টি ধারায় টাপুর টুপুর
পুরুষ	:	শুনব তাহার পায়ের নূপুর
দ্বৈত	:	বিজলিতে তার চপল চাওয়া দেখব মেঘের ফাঁকে।।