হৃদয় কেন চাহে হৃদয় আমি জানি মন জানে
বাণী
হৃদয় কেন চাহে হৃদয়, আমি জানি মন জানে জানে নদী কেন যে সে, যায় ছুটে সাগর পানে।। কেহ বারি কেন চাহে, জানে চাতক, জানে মেঘ, জানে চকোর সুদূর নভে, চাঁদ কেন তারে টানে।। কুসুম কেন চাহে শিশির, জানে শিশির, জানে ফুল, জানে বুলবুল আছে কাঁটা, তবু যায় গুল-বাগানে। আঁখি চাহে আঁখি-বারি , মন চাহে মনোব্যথা প্রাণ আছে যার সেই জানে, কেন চাহে প্রাণে প্রাণে।।
চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম
বাণী
চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম (কাঠসিম ঘোড়া নিম, আকুতাকু হিমশিম) বাগ বাজারে লাখো হাজার পঙ্খিরাজ অশ্বের ডিম।। নওয়াবী নেশা রওয়াবী নেশা প্রাণ হয় তরতজা, হায় হায় মদের নেশা গাঁজার নেশা এর কাছে একদম পাঁজা খুলে হৃদয় খিড়কী বাদশার লেড়কী পাঁইজোর যেন বাজায় রিম্ঝিম্।। নলে যেম্নি দম্ দি অম্নি নল-দময়ন্তী লটাপটি করে বুকে হয়ে চরণ পঙ্খি, ও গুরু (ঐ লেগেছে লটাতে পটিতে) শেয়ালের লেজুড় যেমন ঠেসে কামড়ে ধরে কাঁকড়ায় (এই ধরেছে কামড়ে লেজুড় কাঁকড়ায়) চন্ডুর নেশা তেমনি একদিন খেয়ো গিয়ে আখড়ায় প্রেমে মজে ডাইভোর্স ক’রে (তালাক দিয়ে) (দাদা) আমি ছেড়েছি কোকেন আফিম।। আফিম টাফিম সব ছেড়ে দিয়েছি সত্যি বলি এখন ভাল ছেলে হয়ে গিয়েছি জানেন মাল ধরেছি মাল, ভাল করিনি, এ্যাঁ ভাল করিনি!!
নীল যমুনা সলিল কান্তি
বাণী
নীল যমুনা সলিল কান্তি চিকন ঘনশ্যাম। তব শ্যামরূপে শ্যামল হল সংসার ব্রজধাম।। রৌদ্রে পুড়িয়া তপিতা অবনি চেয়েছিল শ্যাম-স্নিগ্ধা লাবনি, আসিলে অমনি নবনীত তনু ঢলঢল অভিরাম চিকন ঘনশ্যাম।। আধেক বিন্দু রূপ তব দুলে ধরায় সিন্ধুজল তব বেণু শুনি’, ওগো বাঁশুরিয়া, প্রথম গাহিল কোকিল পাপিয়া, হেরি কান্তার-বন-ভুবন ব্যাপিয়া বিজড়িত তব নাম; চিকন ঘনশ্যাম।।
আমার আনন্দিনী উমা আজো এলো না
বাণী
(আমার) আনন্দিনী উমা আজো এলো না তার মায়ের কাছে। হে গিরিরাজ! দেখে এসো কৈলাসে মা কেমন আছে॥ মোর মা যে প্রতি আশ্বিন মাসে মা মা ব’লে ছুটে আসে, ‘মা আসেনি’ ব’লে আজও ফুল ফোটেনি লতায় গাছে ॥ তত্ত্ব-তলাশ নিইনি মায়ের তাই বুঝি মা অভিমানে, না এসে তার মায়ের কোলে ফিরিছে শ্মশান মশানে। ক্ষীর নবনী ল’য়ে থালায় কেদে ডাকি, ‘আয় উমা আয়’। যে কন্যারে চায় ত্রিভুবন তাকে ছেড়ে মা কি বাঁচে॥