বাণী

শূন্য এ–বুকে পাখি মোর আয় ফিরে আয় ফিরে আয়!
তোরে না হেরিয়া সকালের ফুল অকালে ঝরিয়া যায়।।
		তুই নাই ব’লে ওরে উন্মাদ
		পান্ডুর হ’ল আকাশের চাঁদ,
কেঁদে নদী–জল করুণ বিষাদ ডাকে: ‘আয় ফিরে আয়’।।
		গগনে মেলিয়া শত শত কর
		খোঁজে তোরে তরু, ওরে সুন্দর!
তোর তরে বনে উঠিয়াছে ঝড় লুটায় লতা ধূলায়!
		তুই ফিরে এলে, ওরে চঞ্চল
		আবার ফুটিবে বন ফুল–দল
ধূসর আকাশ হইবে সুনীল তোর চোখের চাওয়ায়।।

বাণী

অধীর অম্বরে গুরু গরজন মৃদঙ বাজে।
রুমু রুমু ঝুম্ মঞ্জীর-মালা চরণে আজ উতলা যে॥
এলোচুলে দু’লে দু’লে বন-পথে চল আলি,
মরা গাঙে বালুচরে কাঁদে যথা বন্-মরালী।
		উগারি’ গাগরি ঝারি
		দে লো দে করুণা ডারি
ঘুঙট উতারি’ বারি ছিটা লো গুমোট সাঁঝে॥
তালীবন হানে তালি, ময়ুরী ইশারা হানে,
আসন পেতেছে ধরা মাঠে মাঠে চারা-ধানে।
মুকুলে ঝরিয়া পড়ি’ আকুতি জানায় যূথী
ডাকিছে বিরস শাখে তাপিতা চন্দনা-তুতি।
		কাজল-আঁখি রসিলি
		চাহে খুলি ঝিলিমিলি,
চল, লো চল সেহেলি, নিয়ে মেঘ-নটরাজে॥

নাটকঃ ‘সেতুবন্ধ’

বাণী

মোর শ্যাম সুন্দর এসো।
প্রেমের বৃন্দাবনে এসো হে ব্রজধাম-সুন্দর এসো।।
এসো হৃদয়ে হৃদয়েশ মোর নয়নের আগে এসো হে।
মোর নব-অনুরাগে এসো শ্যাম কোটি-কাম-সুন্দর এসো।।
রস মানস গঙ্গার কূলে রসরাজ এসো এসো হে।
এসো মুরলী বাজায়ে এসো হে, এসো ময়ূর নাচায়ে এসো হে মধাব,
মধু-বনমাঝে, এসো এসো হে।।
মোর মুখের ভাষায় এসো, মোর প্রাণের আশায় এসো।
নবীন নীরদ ঘনশ্যাম রূপে রূপ-পিপাসায় এসো
এসো মদন-মোহন শোভন অভিরাম-সুন্দর এসো।।

বাণী

চোখের জলে মন ভিজিয়ে যায় চলে ঐ কোন্ উদাসী।
বুকে কেন নীরব বীণা মুখে কেন নেইকো হাসি।।
	আকাশে চাঁদ তারার মেলা
	বনের পথে রঙের ডালা
তবু কেন আঁখিতে ওর উথলে পড়ে অশ্রুরাশি।।
	বনের হাওয়ায় বাজিয়ে বেণু১,
	ছড়িয়ে চলে ফুলের রেণু
বিদেশিকে আন্‌না ডেকে সাধ হয়েছে ভালবাসি।।

১. ফুলেল হাওয়া

বাণী

এসো প্রিয়, মন রাঙায়ে ধীরে ধীরে ঘুম ভাঙায়ে
মন মাধবী বন দুলায়ে, দুলায়ে, দুলায়ে।।
শোন ‘পিউ পিউ’ ডাকে পাপিয়া
মোরে সেই সুরে ডাক ‘পিয়া, পিয়া’
তব আদর-পরশ বুলায়ে, বুলায়ে, বুলায়ে।।
	যদি আন কাজে ভুলে রহি
	চলে যেও না হে মোর বিরহী
দিও প্রিয়, কাজ ভুলায়ে, ভুলায়ে, ভুলায়ে।।

বাণী

পেয়ে কেন নাহি পাই হৃদয়ে মম
হে চির-সুদূর প্রিয়তম॥
		তুমি আকাশের চাঁদ
আমি	পাতিয়া সরসী-ফাঁদ
জনম	জনম কাঁদি কুমুদীর সম॥
		নিখিলের রূপে রূপে
		দেখা দাও চুপে চুপে
এলে না মূরতি ধরি তুমি নিরুপম॥