বাণী

আরক্ত কিংশুক কাঁপে, মালতীর বক্ষ ভরি’
চন্দ্রের অমৃত স্পর্শে উঠিতেছে শিহরি’ শিহরি’।।
		নীরব কোকিলের গুঞ্জন
চৈত্র পূর্ণিমা রাত্রি, বাড়িয়াছে বক্ষের স্পন্দন,
মোদের নাচের নূপুরের ছন্দ কভু চপল কভু মৃদুমন্দ,
বসন্ত-উৎসব সজ্জা অন্তরাল হতে মৃদু ভাষে
সুন্দর গুঞ্জন ধ্বনি কেন ভেসে আসে।
মমতার মধু-বিন্দু ক্ষরিল মোরা মধু খেয়ে বলিলাম — আহা মরি।।
ধরণীর অঙ্গ হতে বাসরের সজ্জা পড়ে খুলি’
গভীর আনন্দে মোরা চাহি দুটি আঁখি তুলি,
চৈত্রের পূর্ণিমা রাত্রি এলো ফিরি
প্রিয় তুমি কেন চ’লে গেলে ধীরি ধীরি।
তুমি ফিরে এলে মোরা লভিতাম অমৃতের স্বাদ চন্দ্রের অমিয়া পান করি।।

নাটক : ‘মদিনা’

বাণী

বনে মোর ফুল-ঝরার বেলা, জাগিল একি চঞ্চলতা।(অবেলায়)
এলো ঐ শুকনো ডালে ডালে কোন অতিথির ফুল-বারতা।।(এলো ঐ)
বিদায়-নেওয়া কুহু সহসা এলো ফিরে,
জোয়ার ওঠে দুলে, মরা নদীর তীরে,
শীতের বনে বহে দখিনা হাওয়া ধীরে
			জাগায়ে বিধুর মধুর ব্যথা।।(পরানে)
রুদ্ধ বাতায়ন খুলে দে, চেয়ে দেখি
হেনার মঞ্জরি আবার ফুটেছে কী?
হারানো মানসী ফিরেছে লয়ে কি
			গত বসন্তের বিহ্বলতা।।(পরানে)

বাণী

মাধব গোবিন্দ শ্রীকৃষ্ণ মুরারি॥
কহ নাম মুখে গাহ সুখে দুখে
মণিহারই করে গেঁথে রাখ বুকে
	গোলকে হরি তার সখা সাথী প্যারী॥
পেল না ব্রহ্মা শিব ধেয়ানে যাহারে
বাঁধিল গোকুলে গোয়ালিনী তারে
	যুগে যুগে সে যে প্রেমের ভিখারি॥
লীলা রসে তাহার ডুবে রও অবিরাম
এ সংসার হবে রে সুমধুর ব্রজধাম
	ধরিবেন হৃদয়ে তোরে গিরিধারী॥

বাণী

		উদার প্রাতে কে উদাসী এলে।
		প্রশান্ত দীঘল নয়ন মেলে’।।
		স্নিগ্ধ সকরুণ তোমার হাসি
		আঘাত করে যেন আমারে আসি’,
পাষাণ সম তব মৌন মূরতি মোর বুকে বিষাদের ছায়া কেন ফেলে।।
		উন্মন ভিখারি গো বল মোর কাছে
		শূন্য হৃদয় তব কোন মন যাচে,
অশ্রু তুষার ঘন বিগ্রহ তব গলিয়া পড়িবে প্রেমে কার মালা পেলে।।

বাণী

ভুল করিলে বনমালী এসে বনে ফুল-ফোটাতে।
বুলবুলি সে ফুলও ফোটায় বন-মাতানোর সাথে সাথে।।
		আঘাত দিলে, দিলে বেদন
		রাঙাতে হায় পারলে না মন,
প্রেমের কুঁড়ি ফুটলো না তাই, পড়লো ঝ’রে নিরাশাতে।।
আমায় তুমি দেখলে নাকো, দেখলে আমার রূপের মেলা
হায় রে দেহের শ্মশান-চারী, শব নিয়ে মোর করলে খেলা,
শয়ন-সাথী হ’লে আমার, রইলে নাকো নয়ন-পাতে।।

গজলের সুরে কৃষ্ঞপ্রেম

বাণী

আহ্‌মদের ঐ মিমের পর্দা উঠিয়ে দেখ্ মন।
(আহা) আহাদ সেথা বিরাজ করেন হেরে গুণীজন।।
যে চিন্‌তে পারে রয় না ঘরে হয় সে উদাসী,
সে সকল ত্যজে ভজে শুধু নবীজীর চরণ।।
ঐ রূপ দেখে পাগল হ’ল মনসুর হল্লাজ,
সে ‌‘আনল্ হক্‌’ ‌‘আনল্ হক্‌’ ব’লে ত্যজিল জীবন।।
তুই খোদ্‌কে যদি চিন্‌তে পারিস্‌ চিন্‌বি খোদাকে,
তুই দেখ্‌রে তাই তোরই চোখে সেই নূরী রওশন।।