বাণী

দুঃখ অভাব শোক দিয়েছ হে নাথ তাহে দুঃখ নাই
তুমি যেন অন্তরে মোর বিরাজ করো সর্বদাই॥
	রোগের মাঝে অশান্তিতে
	তুমি থেকো আমার চিতে
তোমার নামের ভজন গীতে প্রাণে যেন শান্তি পাই॥
দুর্দিনেরি বিপদ এলে তোমায় যেন না ভুলি
তোমার ধ্যানে পর্বত প্রায় অটল থাকি, না দুলি।
	সুখের দিনে বিলাস ঘোরে
	ভুলতে নাহি দিও মোরে
আপনি ডেকে নিও কোলে দূরে যদি সরে যাই॥

বাণী

ঢল ঢল তব নয়ন-কমল কাজল তোমারেই সাজে।
শোভে তোমারেই চাঁদের হাসি হিঙুল অধর-মাঝে।।
	ফিরোজা-রঙ শাড়ি চাঁপা রঙে তব
	সেজেছে প্রিয়া কি অভিনব,
সুনীল গগনে গোধূলি রঙ যেন মিশেছে আসিয়া ঊষা ও সাঁঝে।।
কোমলে কড়িতে বাজে কাঁকন চুড়ি
শিথিল আঁচল ল’য়ে খেলে হাওয়া লুকোচুরি,
উষ্ণ কপোল ছুঁয়ে থল্-কমলী আঁউ’রে গেল যে লাজে।।

বাণী

জাগো জাগো, রে মুসাফির হ’য়ে আসে নিশিভোর।
ডাকে সুদূর পথের বাঁশি ছাড় মুসাফির-খানা তোর।।
অস্ত-আকাশ-অলিন্দে ঐ পান্ডুর কপোল রাখি’
কাঁদে মলিন ভোরের শশী, বিদায় দাও বন্ধু চকোর।।
মরুচারী খুঁজিস সলিল অগ্নিগিরির কাছে, হায়!
খুঁজিস অমর ভালোবাসা এই ধরণীর এই ধূলায়।
দারুণ রোদের দাহে খুঁজিস কুঞ্জ-ছায়া স্বপ্ন-ঘোর।।

বাণী

বাসনার সরসীতে ফুটিয়াছে ফুল।
মধু-লোভী মদালস এসো অলিকুল।।
	ভোগের পাত্রে মধু
	প্রাণ ভরে পিও বঁধু,
আনন্দে হয় যদি হোক দিক ভুল।।

রেকর্ড-নাটিকাঃ সুরথ উদ্ধার

বাণী

চিরদিন পূজা নিয়েছ দেবতা এবার মোদের পূজিতে হবে।
বৃথাই কেঁদেছি বৃথাই সেধেছি সহেছি দুঃখ শোক নীরবে।।
	টলেনি পাষাণ বলনি কথা
	কাঁদিয়েছ চিরকাল নিঠুর দেবতা,
কাঁদিতে হবে আজ আমাদের ঘরে সে-পূজার ঋণ সুধিবে এ ভবে।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

দ্বৈত	:	ভুলে রইলি মায়ায় এসে ভবে
		তুই ভুলবি ভুলের খেলা কবে॥
স্ত্রী	:	নিবু নিবু তোর জীবন-বাতি শেষ হলো সুখ-রাতি,
পুরুষ	:	রাত পোহালে সুখের সাথী সঙ্গে নাহি রবি॥
স্ত্রী	:	যাঁর কৃপায় তুই রইলি সুখে ডাক্‌লি না রে তারে
পুরুষ	:	তুই কি নিয়ে হায় তাহার কাছে যাবি পরপারে।
স্ত্রী	:	জমালি যা তুই জীবন ভ’রে পিছু প’ড়ে রবে
পুরুষ	:	দারাসুত লবে বিভব রতন পাপের বোঝা নাহি লবে॥
স্ত্রী	:	স্রোতের মতো সময যে যায় নিয়ে শরণ প্রভুর পায়
পুরুষ	:	কৃপা-সিন্ধুর কৃপা পেলে ত’রে যাবি তুই তবে॥